ফাতওয়া ও বাস্তবতা! হারাম ও সময়ের ব্যবধানে হালাল ! আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে অনেক কিছুই হারাম ছিল,কিন্তু সময়ের ব্যবধানে তা কিভাবে যেন হালাল হয়ে গেল!
আমার এ ধর্ম সংক্রান্ত আলোচনার লেখা ও কথা উদ্দেশ্য কারো সাথে তর্কে জেতা নয় । ধর্ম সম্পর্কে আপনাদেরকে একটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয়া । যাতে কেউ ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আপনাকে হিপনোটাইজ করতে না পারে । লক্ষ্য করে দেখবেন বহু মানুষী আল্লাহ্কে ভয়ংকর কিছু মনে করে কারন আল্লাহ্ কে ভালবাসার চেয়ে আল্লাহ্কে ভয় এর কোথায় আমরা বেশি শুনি ।
★.**দৃশ্যপট-১-**
৮০ দশকে সাঈদী সাহেবের মাহফিল ফিতার ক্যাসেটের
মাধ্যমে রেকর্ড হতো,ওলামারা সমালোচনা করলেন, এটি জায়েয নেই। পরে তা প্রয়োজনে জায়েয হলো!
★. **দৃশ্যপট-২-**
৯০ দশকে ফিতা ক্যাসেটের পাশাপাশি chp শুরু করলো ক্যামেরা রেকর্ড। ওলামাদের তীব্র বিরোধিতা।
এটি জায়েয হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই।কিন্তু বর্তমানে তা মারাত্মক ভাবে জায়েয হয়ে গেলো!
★.** দৃশ্যপট-৩-**
রাজনীতি হারাম,নারী নেতৃত্ব হারাম। সময়ের ব্যবধানে তা অনেকটা আরামেই পরিণত হয়েছে! শীর্ষ আলেমরা এখন নারী নিয়ে একই টেবিলে বসছেন,কথা বলছেন!
★. **দৃশ্যপট-৪-**
টেলিভিশন হারাম,যারা টেলিভিশনে যায় তারাও হারাম।
কিন্তু এখন তো খোলামেলা সুন্দরী উপস্থাপিকার সাথে টক শো হচ্ছে। অনেক শীর্ষ আলেমরা একসাথে কথা বলছেন। প্রয়োজনে এখন নিশ্চয় হালাল!
★.**দৃশ্যপট-৫-**
ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হারাম, মোবাইলে কিছুটা জায়েয! এখন সব জায়গায় ক্যামেরা জায়েয!এখন মসজিদের খোতবাও ক্যামেরায় রেকর্ড হচ্ছে। এখন কি বলবেন?
★.**দৃশ্যপট-৬-**
বর্তমান ফিতনা,বিতির রাকাত সংখ্যা, তারাবী রাকাত সংখ্যা, পর্দায় মুখ খোলা রাখা না রাখা, নফল নামাজে কুরআন দেখে পড়া না পড়া ইত্যাদি।
আমার কাছে মনে হয়, এই জাতীয় ফতোয়া বক্কাতাদের বক্তব্যের পরে পড়ার টেবিলে বসে এসব বিষয় নিয়ে ঝগড়া না করে গভীর গবেষণার মাধ্যমে ভারসাম্য পুর্ন সিদ্ধান্তে আসা এখন সময়ের দাবী।
এ প্রজন্ম আলেমরা কাদা ছোড়াছুড়ি করতে করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দিয়ে দিচ্ছেন,হিংসা ছড়াচ্ছেন। নতুন প্রজন্ম আরো আধুনিক ও আরো গভীর জ্ঞানী হবে নিশ্চয়।
গবেষণা যদি সুদূর প্রসারি চিন্তা ও উদারচিন্তার আলোকে না হয়, তাহলে জাতির কাছে হাসির খোরাক হতে হবে! এক সময় সবই জায়েয হয়ে যাবে, তখন কি হবে?