ibl dual currency debit card, সহজ পেমেন্ট পদ্ধতি!

ibl dual currency debit card, সহজ পেমেন্ট পদ্ধতি!

 ibl dual currency debit card, সহজ পেমেন্ট পদ্ধতি!  । IBL DUAL CURRENCY DEBIT CARD। ইন্টারন্যাশনাল কোন কোম্পানি থেকে ডোমেইন, হোষ্টিং বা সার্ভিস কিনতে ডলারে পেমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাংলাদেশে পেপাল ব্যবহার করা যায় না, তাই আমার মত নতুন যারা আছে, তাদের বিভিন্ন সময়ে ঝামেলা পোহাতে হয়।

যদি আপনার পাসপোর্ট থাকে, তাহলে সহজেই ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যাংক থেকে ইস্যু করে নিতে পারবেন। অনেকেই প্রি-পেইড কার্ড ব্যবহার করে অনেক সময় পেমেন্ট করতে পারছেন না। তাই, ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সবদিক থেকেই ভালো হবে।

ক্রেডিট নাকি ডেবিট?

যারা ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডের পার্থক্য জানেন না, তারা এই আর্টিকেল টি পড়তে পারেন।

https://www.investopedia.com/articles/personal-finance/050214/credit-vs-debit-cards-which-better.asp

ক্রেডিট কার্ড নিতে হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আপনার একাউন্ট থাকতে হবে, এবং আপনাকে চাকুরি বা ব্যবসার ডকুমেন্ট দেখাতে হবে। অথবা একটা নির্দিষ্ট এমাউন্ট ফিক্সড ডিপোজিট করে, ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে ডকুমেন্টস বা ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজন হবে না। (EBL Customer care এ কথা বলে যতটুকু বুঝলাম, আমার বুঝতে ভুল হলে, দয়া করে সংশোধন করে দিবেন)। যারা প্রচুর শপিং করেন, তারা ক্রেডিট কার্ড বিবেচনা করতে পারেন।

ডেবিট কার্ড নিতে হলে, আপনার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে। এবং আপনি কার্ডের জন্য এপ্লাই করলে পেয়ে যাবেন। ডেবিট কার্ডের নিয়ম পদ্ধতি আমার কাছে ভালো লেগেছে, আপনার বর্তমান ব্যালেন্স থেকে ডলারের জন্য টাকা কাটবে।

প্রত্যেকটা ব্যাংকের আলাদা নিয়ম কানুন থাকতে পারে, যেহুতু আমি IBL থেকে ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড নিয়েছি। অন্য ব্যাংকের সার্ভিস সম্পর্কে জানাতে পারছি না।

সব ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ডেবিট কার্ড ইস্যু করে না। আমার ব্যাংক এশিয়াতে একাউন্ট ছিলো, কিন্তু তারা ডেবিট কার্ড দেয় না দেখে ইসলামি ব্যাংকে একাউন্ট খুলি।

আমার জানামতে ডূয়েল কারেন্সি কার্ড ইস্যু করে, IBL, EBL, DBBL , আরো কিছু ব্যাংক করতে পারে, খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।

কার্ড ইস্যু করতে হলেঃ

আপনাকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে হবে। (ষ্টুডেন্ট একাউন্টে হবে না)

পাসপোর্ট থাকতে হবে (কার্ড ইস্যু করতে পাসপোর্ট লাগে নাই, কিন্তু ডলার ইনডোর্স করার সময় লাগবে)

IBL এর ডুয়েল কারেন্সি কার্ড দুইটি, Visa Gold debit card, and Visa Platinum Debit Card

গোল্ড এবং প্ল্যাটিনাম কার্ডের মধ্যে পার্থক্য হলো, গোল্ড কার্ড দিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা এবং প্লাটিনাম কার্ড দিয়ে একদিনে ২ লক্ষ টাকা এটিএম থেকে তুলতে পারবেন। দুটো কার্ডের মধ্যে বাৎসরিক একটা ফি এর পার্থক্য আছে।

গোল্ড কার্ডের বাৎসরিক ফই- ৫৭৫ টাকা। প্লাটিনাম কার্ডের ফি মনে নেই (৬৩৫ এর আশেপাশে হবে) । তবে, প্লাটিনাম কার্ড ইস্যু করার সময় সম্ভবত ৫০০ টাকা লাগে (আমি সিউর না, আপনি জেনে নিতে পারেন) , যেটা গোল্ড কার্ডে লাগে না।) ডলার সমপরিমাণ এন্ডোর্স করতে পারবেন, তাই আমি গোল্ড কার্ড নিয়েছি।

ডলার ইন্ডোর্স

আপনার আশেপাশে ফরেন্স কারেন্সি ডিপার্টমেন্ট আছে, এমন IBL Branch এ গিয়ে এন্ডোর্স করতে পারবেন। আপনার পাসপোর্ট, কার্ড এবং ৪৫০ টাকা এন্ডোর্স ফি লাগবে। একটা ফর্ম ফিলাপ করবেন, ব্যাস! এন্ডোর্সমেন্ট এর মেয়াদকাল ১ বছর।

আমি মনে করেছিলাম, আলাদাভাবে ডলার বোধহয় কার্ডে জমা রাখতে হয়, পরে দেখলাম আপনি যতটুকু ডলার খরচ করবেন, তার সমপরিমাণ টাকা আপনার একাউন্ট থেকে কেটে নিয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা থাকলেই হলো, যতটুকু খরচ করবেন, ততটুকুই ডলার রেটে টাকা কেটে নিবে। রিফান্ড হলেও সেইম, ডলার টাকায় কনভার্ট হয়ে একাউন্টে চলে আসবে।

ডলার ইন্ডোর্স করার সময় ইচ্ছামত লিমিট দিয়ে আসতে পারবেন, সর্বোচ্চ কত দেয়া যায় সেটা বলতে পারছি না। কারণ আমার আসলে এত দরকার নেই, তাই জিজ্ঞাসা করি নাই। আমি ৩০০০ হাজার ডলার লিমিট দিয়েছি। আপনি চাইলে আরো বেশি দিতে পারেন।

লিমিট কম বা বেশি দেয়াতে কোন অসুবিধা নেই। যদি আপনার ট্রাভেল করার প্রয়োজন হয়, তাহলে ক্যাশ এবং কার্ডে ডলার দুটোরই প্রয়োজন হবে। তাই কথা বলে লিমিট সেট করে নিবেন।

ইন্ডোর্স করার পরে, IBL কল সেন্টারে ফোন করে বলবেন, ই-কমার্স পার্ট একটিভ করে দিতে। এবং ৩ দিন পর থেকে আপনি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।

সুবিধাঃ

ব্যাংক একাউন্টে টাকা থাকলেই, আপনি যেকোন সময় পেমেন্ট করতে পারবেন।

অন্য পেমেন্ট সিষ্টেট ব্যবহার করলে যেমন ব্লক হওয়ার ভয় থাকে, সেটা নেই।

ডলার টাকা কনভার্টের ঝামেলা নেই।

টাকা রিফান্ড আসে। আমি ক্লাউডওয়েস এ কার্ড অথোরাইজ করার সময় ১ ডলার কেটে নিয়ে যায়, এবং পুনরায় সেটা রিফান্ড হয়।

অসুবিধাঃ

ডলারের রেট অনেক বেশি, সম্প্রতি একটা পেমেন্টে ৮৬.৭০ টাকা প্রতি ডলার রেট পড়েছিলো আমার।

IBL Call center এ ফোন দিলে, অনেক সময় ওয়েট করতে হয়। মাঝে মাঝে এমনও হয়েছে, ১০ মিনিট ওয়েট করার পর ফোন কেটে গেছে, অটোমেটিক।

কার্ড দেয়ার সময়, কোন নিরাপত্তার বালাই ছিলো না। বান্ডিল থেকে খুলে হাতে ধরায়া দিছে। এই সিষ্টেম দেখে আমি পুরাই টাস্কিত!

IBL এ যাওয়ার কারণঃ Interest নেয়ার ইচ্ছা নেই।

অন্য ব্যাংক ট্রাই করলে হয়তো কম্পেরাটিভ রিভিউ দেয়া যেতো।

আপাতত, যেটা নিয়ে আছি, সন্তষ্ট আছি।

আমি এই কার্ড দিয়ে এখন পর্যন্ত Cloudways & Copyscape এ পেমেন্ট করেছি। এই কার্ডে পেমেন্ট নিতে পারবেন না, শুধু দিতে পারবেন।

আপওয়ার্ক এবং ফেসবুক বুষ্টিং এ এই কার্ড সাপোর্ট করার কথা, আপনারা খোজ নিয়ে দেখেন সাপোর্ট করে কিনা। একজন সিনিয়র ভাইকে দেখেছিলাম, আপওয়ার্কে পেমেন্ট করতে।

কোন ভুল তথ্য পেলে দয়া করে সংশোধন করে দিবেন। 

Post a Comment

Previous Post Next Post