দাড়ি রাখা কোন পুণ্যও নয় , কোন ধর্ম বিধানও নয় !

দাড়ি রাখা কোন পুণ্যও নয় , কোন ধর্ম বিধানও নয় !


দাড়ি মুসলমানদের সুন্নত না । যারা দাড়িকে শুধু মাত্রই মুসলিমদের  ও নবিজীর সুন্নত বলে ধারণা করেন তাদের কাছে বিবেচনার বিষয়।  তাই যদি হত তাহলে যারা মুসলমান ঘরে জন্ম নিত শুধু মাত্র তাদেরই দাড়ি গজাত। কিন্তু না, আমরা দেখি সৃষ্টির শুরু থেকেই সব সুস্থ পুরুষের দাড়ি গজায় ধর্ম, রঙ ও গোত্র না দেখেই। ধরে নিলাম সবাই জন্মসূত্রে মুসলমান হয়ে জন্মায়। তাহলে এখন যে ভিন্ন মতের তাদের দাড়ি কেন গজায়? ভিন্ন ধর্ম অনুসারীরা দাড়ি লম্বা করে, তারাও কি ইসলামের সুন্নত পালন করে? না। 

আর এমন না যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রথম দাড়ি গজিয়ে ছিল, তাই সেটা উনার সুন্নত, আর তাই যারা উনার অনুসারী মানে মুসলিম তাদেরই শুধু দাড়ি গজাবে। কিন্তু বাস্তব ভিন্ন। তাই এটা বলা যায় জন্ম গত দেহের বিষয় গুলো শুধু মাত্রই কোন মতের অনুসারীদের একার না, তা সবার। তবে এটা ঠিক যে মুসলমানির যে বিষয় তা শুধু মাত্রই মুসলমানের। আল্লামা ইকবাল ও কাজী নজরুল ইসলামের  জ্ঞানের বানী শুনে বাহবা দেই, কিন্তু তাদের ছবি দেখে মনে মনে অনেকেই বলে, ওনাদের দাড়ি কই।

 যতই মোল্লারা কাফের বলুক না কেন উনারা নিজ নিজ দেশের জাতীয় কবির পদে সমাসীন, আর তা শুধু মাত্রই তাদের অন্তরের সত্য ধারণের জন্য। কবি কাজী নজরুল ইসলামের লিখা গজল না হলে মুসলমানের ইদুল ফিতরের ইদ জমেনা।  যদি শুধু মাত্র দাড়ি না রাখার কারনে কাফির উপাধী পায়, তবে তাঁর গজল কেন ভাললাগে? তিনি এই দাড়ি চাষিদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন,  টুপি,টিকি, দাড়ি রেখে সদা বলো যেন তুমি পাপি নও, তবে কেন এত ঘনঘটা যদি দেবতা ঠাকুর হও? চার দিকে দাড়ি রাখা ট্রেডমার্কা ভড়ং ভাড়ং এর ধুম, পুলিশি পোশাক পরিয়া পাপের আসামী হয়েছে গুম।  এই দাড়িত্ব, টিকিত্ব কে তিনি পশুর লেজ গজানো বুঝিয়েছেন তাঁর একটা প্রবন্ধে।  টুপিত্ব, টিকিত্ব, দাড়িত্ব তে আল্লাহ থাকেনা।  আল্লাহ একেবারে ক্লিন। দুই ত্ব বাদ দিলে মানবতা বাঁছে।  

ইসলামের আগে আরব পৈত্তলিকদের কাছে দাড়ির বিশেষ কদর ছিল,  যার যত লম্বা দাড়ি সমাজে তার সন্মান বেশি, এদের মধ্যে আবু সুফিয়ান,  আবু জাহেল, আবু লাহাবও ছিল। একটি ঘটনা পড়েছিলাম (কারো কাছে সুত্র থাকলে দেবেন) রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় সাহাবিদের বলেন যে তোমরা সবার দাড়ি কেটে ফেল, কেন না যুদ্ধের ময়দানে কে মুসলিম আর কে কাফের সনাক্ত করা কঠিন।  তখন সেই নতুন মুসলিম রা নারাজ হয়,  যা ছিল তাদের বংশ পরম্পরার রীতি।  তখন হজরত উমর রাঃ এসে বলেন যে, আমরা এক মুঠো পরিমান দাড়ি রাখি যাতে ময়দানে মুসলিমের ছোট আর কাফেরদের লম্বা ঝুলানো দাড়ি দেখে চেনা যায়।  

অবশেষে নবীজির অনিচ্ছা সত্ত্বেও মেনে নেন, পাছে না আবার সদ্য মুসলমানরা দাড়ির কারনে পিছনের জীবনে ফিরে যায়।  আমার একটা প্রশ্ন রইল যে আমাদের নবিজির যে  লম্বা দাড়ি ছিল, প্রমাণ পেশ করতে। এমন না যে, তিনি বলেছেন মুছ খাট কর দাড়ি ছেড়ে দাও, বা উনার দাড়ি ঘন ছিল, উমর একমোঠ দাড়ি রেখে ছেটে ফেলে ইত্যাদি ইত্যাদি।  কেননা এগুলো লম্বা দাড়ি ছিল এর প্রমান বহন করেনা। আমি দাড়ি রাখতেও কাউকে উৎসাহিত করিনা আবার অনুৎসাহিতও করি না। যার যার বিষয়  কিন্তু যারা  এই দাড়িকে ইসলামের বুজর্গের  চিহ্নমনে করেন আর বলেন ইসলামী লেবাস কই তাদের বলি আসলে ইসলাম লেবাসের মধ্যে না, থাকে  অন্তরে।

 আল্লাহ বলেন আমি তোমাদের বাইরে দেখিনা, আমার দৃষ্টি তোমাদের অন্তরে।ধন- সম্পদ  ' স্বামী-স্ত্রী' সন্তান-সন্ততি  ইত্যাদি কোন কাজে আসবেনা পবিত্র কলব ছাড়া ২৬ঃ৮৯-৯০।  এ আয়াতের যুক্তি মতে প্রমানিত হয় যেহেতু স্বামী- স্ত্রী,সন্তান- সন্ততি,  ধন - সম্পদ কোন কাজে লাগবেনা সেহেতু  দাড়িও কোন কাজে লাগবেনা ।   আমরা শরিরের লোম, চুল নখ কাটি এটা স্বাভাবিক বিষয়।। অবশেষে এটাই বলা যায় যে লেবাস (দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবি) নিজ নিজ দেশের ভৌগোলিক ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। সত্যিকার মুসলমান হতে হয় অন্তরে আর সেটাই রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়েছিলেন। লেবাসপরস্তির সাথে ইমানের সম্পর্ক নাই, ইমান ও তাকওয়া এগুলো অন্তরের সাথে সম্পর্কিত । 

 দাড়ি নামাঃ

দাড়ি  শুধু নবীগন, রাসুলগন, ওলি- মজ্জুবগন রাখেনি ,   শয়তানও এই  রকম দাড়ি রাখে  । নবীর অনুসারিরা নবীর সুন্নাত পালন করে, আদম কাবায় সিজদা দিয়ে ইবলিশ মুক্ত হয়ে । শয়তানের অনুসারিরা শয়তানের সুন্নত পালন করে, আদম কাবায় সিজদা না দিয়ে।  দাড়ি  শয়তানের  ছিল আছে থাকবে। মানব রুপেই সে মানব কে পথ ভ্রষ্ট করবে সে অনুমতি নিয়েছে, আল্লাহও দিয়েছেন ৩৮ঃ৭৫-৮৫/৭ঃ১১-২০/১৫ঃ৩০-৪২/১৭ঃ৬২।

আবার ৬ঃ১১২ আয়াতে বলা হয়েছে প্রত্যেক নবীর দুশমন ছিল মানুষ জাতীয় শয়তান ও জীন জাতীয় শয়তান, বিধায় শয়তান মানব রুপ ধারন করতে সক্ষম নিশ্চিত এবং শয়তান মানুষ ও জীনের অন্তরে থাকার অনুমতি নিয়েছে এবং আল্লাহও দিয়েছেন, কিয়ামাত পর্যন্ত শয়তান মানুষকে ধোকা দেবে,  যে কায়দায় সে পথচ্যুত হয়েছে সেই কায়দায় ১৫ঃ২৯-৪২/ ৩৮ঃ৭২-৮৫/৪ঃ১১৯/ ৭ঃ১১-২০/ ১৭ঃ৬২ ।  যেহেতু শয়তান মানব রুপ ধরতে সক্ষম, সেহেতু তার দাড়িও  থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।  শয়তান প্রথমে মানুষ কে বলে কুফুরি করো,  যখন সে কুফুরি করে তখন সে বলে আমি দায়িত্ব হতে মুক্ত। আমি তো আল্লাহকে ভয় পাই ৫৯ঃ১৬। এখানেও প্রমানিত হয় যে শয়তান মানব আকৃতি ধরেই মানুষ কে ধোকা দিয়ে তার দায়িত্ব পালন করে।  কারবালার প্রান্তরে অগনিত এই রকম দাড়িওয়ালা শয়তান,শয়তানের সন্তানগন ছিল,  

নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে বেইমানি করা মির্জাফর ও তার অনুসারিগন , এই  চকচকে  দাড়িওয়ালা ভড়ং ভাড়ং এর দল কারবালার প্রান্তরে নবী বংশ ধ্বংশ ,  উহুদ, বদর যুদ্ধে মানুষ হত্যা ,  তিন খলিফা হত্যা, পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফরদের মত বেইমানদের বেইমানী ,  ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে নারী ধর্ষক, খুনি, গুমকারক , সুদখোর , ঘুষখোর ,  নারী পাচারকারি,  সমকামি,  , পাকিস্তানি সৈন্যদের ক্যাম্পে  ক্যাম্পে নারী,খাশি, মুরগি, গরু, মহিষ সরবরাহকারী ,  ধন - সম্পদ লুটকারি,  , অগ্নিসংযোগকারি  সহ অনংখ্য  নোংরা ক্রিয়াকারিদেরও দাড়ি, টুপি,লেবাস ছিল । এই সমস্ত ধর্মজীবিরা মানবতার ভাইরাস।  ধর্মের আগাছা।  শস্যের চেয়ে আগাছা বেশি, ধর্মের চেয়ে দাড়ি,  টুপি, টিকি, জুব্বা, তসবিহ, জপমালা, পৈতা  আলখেল্লাহ বেশি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে বহু শয়তান দাড়ি রেখে নৃশংশ হত্যা, ধর্ষন, লুট, দেশের সার্বভৌমত্বের  বিরোধীতা,  বেইমানি করেছিল। আর শয়তান শুধু মালাউন ( অন্যান্য ধর্মাবলম্বী) দেীর উপর থাকেনা। সকল মানুষের ও জীনের উপর শয়তান থাকে ২৬ঃ২২০-২২৩।       শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু ২ঃ১৬৮/২০৮/৪ঃ১০১/৬ঃ১৪২ ৪৩ঃ৩৬/৬২/৩৬ঃ৬০/১২ঃ৫/ ১৭ঃ৫৩/বিধায় এই প্রকাশ্য শয়তান গুলিও দাড়িওয়ালা। দাড়ি দিয়ে শয়তান মুক্তির উপায় নেই। আদম কাবায় সিজদাই ইবলিশ মুক্তির  পথ বা সিরাতাল মুস্তাকিমের পথ ১৫ঃ৪১। যে  সিজদা না দিয়েই ইবলিশ কাফির ২ঃ৩৪/ ১৫ঃ৩০-৩৪/৩৮ঃ৭৪/৭ঃ১১-১২/৩০ঃ১১৬/১৭ঃ৬১-৬২/ ১৮ঃ৫০ এবং সে সিজদা এখনো রহিত হয়নাই।

দাড়ি পৌত্তলিক, মালাউন বা  অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের , পশুদেরও গজায়, রশুন, পিঁয়াজ, বটগাছ, ভেঁড়া, ছাগল ইত্যাদিরও গজায়  ।  তাই বলে দাড়ি রাখা সুন্নত হয় কেমনে?  সুন্নত বলতে কি নবীজি সাঃ যা করেছেন, রেখেছেন, বলেছেন সেটাই বুঝায়?  এমন বুঝ যদি কেউ হৃদয়ে লালন করে তবে কুরআনের কিছু আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক হয়।  কারন সুন্নত শব্দের অর্থ বিধান,নিয়ম,রীতি- নীতি,  ক্রিয়া বা কর্মপদ্ধতি দলিল ১৭ঃ৭৭/৪৮ঃ২৩/৩৫ঃ৪৩/৩৩ঃ৩৮/৩৩ঃ৬২/ ৪০ঃ৮৫/ ৪ঃ২৬/১৫ঃ১৩ আয়াত।  তাছাড়া দাড়ি রাখা যদি সুন্নত বা ক্রিয়া পদ্ধতি হয়, ছোয়াব থাকে তবে নবী মুহাম্মাদ সাঃ ধনাঢ্য, অধনাঢ্য, অসহায় ১৩-১৪ জন মেয়েকে বিবাহ করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাঁদের অন্তত একটা সদ্গতি করেছিলেন। 

 কথিত দাড়িওয়ালার দল এই সুন্নত কে এড়িয়ে যায় কেন বুঝিনা।  আবার নবীজি সাঃ ওফাত পরবর্তি সময়ে কোন বিষয় - সস্পত্তি নিজ নামে রেখে যাননি।  তবে কথিত দাড়িওয়ালারা নিজেদের বৈধ, অবৈধ সম্পদের ধন-ভান্ডার  পরকে বিলিয়ে দিয়ে নিঃস্ব হয়ে মৃত্যুবরন করে কি সেই সুন্নত পালন করেন?  উত্তর আসবে না বা শুন্য।  তবে ভোগের সুন্নত গুলি আঁকড়ে ধরবেন, ত্যাগের সুন্নত গুলি আঁকড়ে ধরবেননা, সেটা কি হয়?  বিধায় দাড়ি রাখা কোন সুন্নত বা বিধান নয়, যার যার রুচিবোধের ব্যাপার।  কুরআনে দাড়ি রাখার কোন নির্দেশ নেই। মুসা আঃ এর ভাই হারুন আঃ এর ২০ঃ৯৪ আয়াতে দাড়ি ও চুল  ধরে তাঁর ভাই টানাটানি করছিল তাঁর ভুলের মাসুল হিসেবে ,  বিধায় এই অপমান ও নির্যাতনের ক্রিয়া হতে মুক্তির জন্য দাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছিলেন।  এটা দাড়ি লম্বা রাখার নির্দেশ বুঝায়না, কিংবা দাড়ি ছেড়ে দেয়া বলতে দাড়ি লম্বা করে ঝুলিয়ে রাখা বুঝায়না নিশ্চিত।  দাড়ি, টুপি, টিকি, জুব্বা সম্পর্কে সুফি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রহঃ লিখেছেন,  

টুপি পরে টিকি রেখে সদা বল যেন তুমি পাপি নও,  

তবে কেন এত ঘন ঘটা যদি দেবতা ঠাকুর হও? 

চৌদিকে দাড়ি রাখা টুপি টিকি জুব্বা পরা 

ট্রেড মার্কা ভড়ং ভাড়ং এর ধুম

পুলিশি পোশাক পরিয়া পাপের আসামী হয়েছে গুম।

  পাপ কবিতা।  

প্রসঙ্গ :  দাড়ি

ইসলামের অন্যতম দেশগুলোর মধ্যে মিশর একটি; কিন্তু এটি মুসলিম দেশ হওয়া সত্বেও সে দেশে দাড়ি রাখা সম্পূর্ণ হারাম । মিশরের আলেমগণ দাড়ি রাখাকে ইসলাম বিরুদ্ধ ধর্ম চর্চা বলে মনে করেন, তাই তারা নিজেরাও পৌত্তলিকদের সামাজিক প্রথা মুখে দাড়ি চাষাবাদ করেন না এবং সমগ্র দেশেও দাড়ি রাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রেখেছেন ।

সে দেশের ইসলামী ফাউন্ডেশন এবং সরকার কর্তৃক দাড়ি রাখাকে সম্পূর্ণ Banned (ব্যান্ড) করা হয়েছে ! তবু বিশেষ কোন কারণে বা প্রয়োজনে কেউ যদি সে দেশে দাড়ি রাখতে চায় তাহলে সরকারী নিয়মে লাইসেন্স করে তারপর দাড়ি রাখতে হয় । দাড়ি না রাখার কারণ হিসেবে মিশরের মাওলানারা বলে থাকেন যে, দাড়ির ভিতর নাকি শয়তান থাকে ।

জানি না মিশরীয় (মাসরী) মাওলানাগণ কিভাবে সেটা টের পেয়েছেন, তবে পরবর্তি পর্বে আমি তুলে ধরবো- দাড়ির ভিতর বা আড়ালে যে কিভাবে শয়তান লুকিয়ে থাকে ।

দাড়ি নবী  (স.) এর সুন্নত হতে যাবে কোন দুঃখে ? কেবল মহানবীর আমল থেকেই কি দাড়ি গজানো আরম্ভ হয়েছিল ? এবং রসুলের যুগ থেকেই কি দাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের প্রথা শুরু হয়েছিল ? নাকি এই দাড়ি পুরুষ মানুষের এবং কিছু সংখ্যক পশুদের জন্মগত সুন্নত, যার আরম্ভ আদিকাল থেকেই ?

এই দাড়ি ইহুদি, শিখ, পৌত্তলিক তথা আবুজাহেলের সুন্নত (বিধান) হতে পারে, রসুলের নয় । কারণ রসুলের ১৭ সুন্নতের ভিতর দাড়ির কোন অস্তিত্ব নেই, আর এটা মোল্লাদের অস্বীকার করার কোন উপায় নেই । তাছাড়া মুখের সামান্য কটা চুল রসুলের সুন্নত বা ধর্ম কর্ম বলে মেনে নেয়া চরম যুক্তিহীন এবং তা অন্য ধর্ম ও জ্ঞানীদের কাছে হাস্যকর বিষয়ও বটে ।

মূলত দাড়ি ছিল আরবদেশে নেতা নির্ধারণের মাপকাঠি এবং পৌত্তলিকদের কালচার বা প্রথা, যা রসুলেরও নয়, কুরআন সম্মতও নয় । কিন্তু পরবর্তিতে অন্যান্যধর্মাবলম্বীদের ট্রেডিশনকে মৌলবাদ কর্তৃক মুসলিম ধর্মের লগো বা আইকন এবং রসুলের সুন্নত বা সাইনবোর্ড বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে মাত্র । এ কাজে এজিদের দরবারে পালিত ভাড়াটে আলেমদের বেশ অবদান রয়েছে ।এছাড়া সুন্নত বলতে নবী রাসুল যা করেছেন, বলেছেন, রেখেছেন শুধু তাকেই বুঝায়না।  সুন্নত মানে বিধান, নিয়ম, রীতি- নীতি ১৭ঃ৭৭/ ৪৮ঃ২৩/ ৩৫ঃ৪৩/৩৩ঃ৩৮/৩৩ঃ৬২/ ৪০ঃ৮৫ আয়াত।

কারণ কুলাঙ্গার ইয়াজিদের বেশ লম্বা দাড়ি ছিল, দাড়ি ছিল তার পিতা কুচক্রি মুয়াবিয়ার । মুয়াবিয়ার অবৈধ পিতা (আসল নয়) আবুসুফিয়ানেরও লম্বা দাড়ি ছিল এবং দাড়ি ছিল তাদেরই পূর্বপুরুষদের বংশীয় অভিজাত বা ঐতিহ্য । সুতরাং সে আদর্শ যেন সমাজ থেকে একেবারে মুছে না যায় সেটারই আজীবন মেয়াদী কঠোর ব্যবস্থা নিলেন ভাড়াটে আলেমরা রসুলের নামে কিছু জাল হাদিস তৈরির মাধ্যমে ।

মহানবির ওফাতের প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ বছর পর বোখারী সাহেব রচনা করলেন:

"দাড়ি আল্লাহর নূর" (আল হাদিস)

"দাড়ির চুল প্রতি ৭০ হাজার ফেরেস্তা ঝুলে থাকে" (হাদিস)

"দাঁড়ি রাখা মহানবির সুন্নত বা বিধান" (হাদিস)

"গোঁফ ভিজা পানি বা খাদ্য খাওয়া হারাম" (হাদিস)..ইত্যাদি..

উক্ত হাদিসের আলোকে আবু জাহেল, আবু লাহাব, আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই, মীর জাফর, সালমান রুশদী সহ এমন অনেককেই কাফের, মোরতাদ, মোনাফেক বলার কোন যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না এবং ফেরাউন, আবু সুফিয়ান, কুলাঙ্গার ইয়াজিদ সহ কারবালার খুনিদের ধর্মদ্রোহী বা অধার্মিক বলে অপবাদ ও গালি দেয়ার প্রশ্নই আসে না ।

কারণ: দাড়ি আল্লাহর নূর, তা তাদের আছে; কারণ: দাড়ির চুল প্রতি ৭০ হাজার ফেরেস্তা ঝুলে থাকে, সেটা তাদের ঝুলছে; কারণ: মুখে দাড়ি রাখা সুন্নত, সেটাও তারা পালন করেছেন । হাদিসে এ কথাও রসুলের নামে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যে: যারা রসুলের সুন্নতের অন্তত একটি পালন করবেন, তাদের জন্য দোজখ হারাম । আর হাদিসের এ শর্তটিও দাড়ি রাখার মাধ্যমে তারা পালন করেছেন ।

সুতরাং উল্লেখিত বেহেস্তবাসী সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের উপর লানত নয় বরং নতুন করে তাদের নামে শ্রদ্ধা ও আদবের সহিত ইতিহাস রচনা করতে হবে; যেহেতু তাদের মুখে আল্লাহর নূর বিরাজ করতো এবং দাড়ি নামক প্যারাসুট ধরে ফেরেস্তা ঝুলে থাকতো (ফেরেস্তারা হয়ত শয়তান পাহারা দিত, যেহেতু মাসরী আলেম সস্প্রদায়ের দাবী এই দাড়ির ভিতর শয়তান বসবাস করে) !

উল্লেখ্য যে, হরমোনজনিত সমস্যার কারণে আজকাল কিছু মহীলাদের মুখেও আল্লাহর নূর তথা দাড়ি গজাতে দেখা যায় এবং হাদিস অনুযায়ী মহীলাদের সুন্নতে ফেরেস্তাও ঝুলতে দেখা যায় ।

ইসলামে যদি দাড়ির বিশেষ কোন ভূমিকা থাকতো তাহলে অবশ্যই হযরত বেলাল (র.) দাড়ি রাখতেন। কিন্তু তিনি রসুলাল্লাহ কর্তৃক মনোনিত ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হওয়া সত্বেও তাঁর মুখে কেন দাড়ির চিহ্নমাত্রও ছিল না ?

অচথ রসুল ঘোষণা করেছেন, সবার আগে বেহেস্তে প্রবেশ করবেন হযরত বেলাল, এমনকি মহানবীরও আগে । তবে কি দাড়ি না রাখার কারণেই তাকে এই সম্মানে ভূষিত করা হলো ???আবার শুধু হরমোন জনিত কারনে পুরুষ ও কিছু মহিলার দাড়ি গজায়।  কিন্তু বেশির ভাগ নারী লোকের দাড়ি গজায়না।  তাহলে এই দাড়ি নামক লম্বা চুলের অনুপস্থিতিতে দাড়িহিন নারীরা বেহেস্ত হতে বঞ্চিত হবে?  

 লেখা  ফরহাদ রহমান। 

উপরোক্ত আলোচনা হতে এটা প্রতিয়মান হয় যে, দাড়িকে যারা রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত বলে চালিয়ে দিতে চান তারা মুলত মুয়াবিয়া, এজিদ ও ওহাবি সমর্থক এবং মতভেদ সৃষ্টিকারি ব্রিটিশের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার পক্ষিয় সম্প্রদায়।  যাদের বাহিরে লেবাসে সরল আর অন্তরে গরল। তাদের অপকর্মই তাদের ইমানের গভিরতার প্রকাশ আজ জনসম্মুখে। কেননা তারাই আজ ছদ্মবেশে নবীজি সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শান মান কে ছোট করছে, মুছে ফেলতে চাইছে মুহাম্মদি ইসলাম  পবিত্র আহলে বায়াতের শান মান গোপন। 

দাড়ি ছিল তদানিন্তন পৌত্তলিক আরব সমাজে নেতা নির্বাচনের প্রধান মাপকাঠি । স্কেল বা ফিতা দিয়ে দাড়ি মেপে আরব দেশে নেতা নির্বাচন করা হতো । এ জন্য পৌত্তলিকদের মধ্যে আদিকাল থেকেই দাড়ির প্রতিযোগিতা চলতো । সেই থেকেই দাড়ি রাখা সামাজিক ও ধর্মীয় বিধান (সুন্নত) হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে । আবু জাহেলের দাড়ি সবচেয়ে লম্বা ছিল বিধায় তিনিই সমাজ নেতার দায়িত্ব পেয়েছিলেন । সে যুগে যারা মূর্তি পূজা ও অগ্নি পূজা করতো এবং নানা প্রকার দেব-দেবীর উপাসনা করতো তাদের মুখেও কথিত সুন্নত তথা দাড়ি ছিল । এক  কথায় নবি মুহাম্মদ সাঃ ছাড়া আরবের প্রায় সব লোকেরাই তখন দাড়ি রাখতো । একমাত্র মুহাম্মদ (স.) ছিলেন ব্যতিক্রম, যিনি প্রতিমাপূজারী, আরবদের দাড়ি রাখা প্রথাকে পালন করতেন না । সুতরাং ধর্মীয় সুন্নত বলে কথিত এই দাড়ি রসুল কর্তৃক আমদানীকৃত (?) নতুন কোন প্রথা বা ধর্ম বিধান নয় । বরং সেটা ছিল আরবদের স্বভাবধর্ম বা ট্রেডিশন বা কালচার এবং নেতা নির্ধারণের মাপকাঠি মাত্র ।

ইসলামের প্রথম দশকে একদিন মহানবি (স.) সাহাবাদেরকে ডেকে বললেন যে, আজ থেকে তোমাদের সবার দাড়ি কেটে ফেলতে হবে । উপস্থিত সবাই যেন তাজ্জব বনে গেলো ! অতঃপর সাহাবাগণ এর কারণ জিজ্ঞেস করায় মহানবি (স.) ব্যক্ত করলেন যে: দেখো, পৌত্তলিকগণ সবাই দাড়ি রাখে, বর্তমানে বেশ সংখ্যক ইহুদি, পৌত্তলিক ও খৃষ্টান থেকে মুসলিম হয়েছে এবং সবার মুখেই দাড়ি রয়েছে; দিন দিন আমাদের সংখ্যা বাড়ছে । শত্রু-মিত্র প্রত্যেকের মুখেই দাড়ি থাকার কারণে সবাইকে চিনে রাখা আমাদের ক্ষেত্রে একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে । তাছাড়া পথে ঘাটে চলাফেরায়, যুদ্ধের মাঠে মুসলিমদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়; এমতাবস্থায় কে মুসলিম আর কে অমুসলিম তা সনাক্ত করা মোটেই সহজ নয়; তাই মুসলিমরা দাড়ি কেটে ফেললে যে কোনো অবস্থায় দেখামাত্র সনাক্ত করা যাবে খুব সহজেই ।

রসুলের মুখে এ বক্তব্য শুনে উপস্থিত সভাসদ যেন প্রচন্ড সমস্যায় পড়লেন । তারা নিজেদের মধ্যে কানা-ঘুষা করে মহানবির কাছে সময় চেয়ে নিলেন যে, এ জন্য তাদেরকে ভেবে দেখতে হবে । অতঃপর কোনো এক সময় তারা মহানবির নিকট এসে তাদের অপারগতা প্রকাশ করে বললেন যে, মহানবির নির্দেশে তাদের যাবতীয় ধন-সম্পদ ত্যাগ করতে রাজি, যুদ্ধে জীবন দিতে রাজি, বিবি ত্যাগ ও দেশ ত্যাগ করতেও রাজি; পরিবর্তে মহানবি যেন এই দাড়ি কাটার আদেশটি রহিত করেন । বাপ-দাদা চৌদ্দ পুরুষের অভিজাত জড়িত এই দাড়িতে; সুতরাং এটা কেটে ফেলা তাদের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয় এবং এটা তারা কিছুতেই মানতে পারবে না । উম্মতের এমন বিরোধী আচরণে মহানবি ভাবনায় পড়ে গেলেন এবং হৃদয়ে আঘাতও পেলেন বটে ।

রসুলাল্লাহ (স.) এর বয়স যখন ৫৩ বছর, তখন বদরের যুদ্ধ সংঘঠিত হয় । আরবের লোকেরা তখন সবাই দাড়ি রাখতো; কেবল রসুলাল্লাহ (স.) এর মুখে কোন দাড়ি ছিল না । এক পর্যায়ে রসুল নির্দেশ দিলেন সব মুসলিম সৈন্যদের দাড়ি ফেলে দিতে হবে । যুদ্ধের মাঠে যেন সহজেই দূর থেকে চেনা যায়- দাড়িওয়ালা কাফির সৈন্য, আর দাড়ি ছাড়া মুসলিম সৈন্য । দাড়ি আলোচনা সভায় হযরত উমর তখন প্রস্তাব দিলেন: শত্রু-মিত্র চেনাই যখন বিষয়, তাহলে আমরা মুসলিমরা দাড়ি ছোট করে শুধু একমুঠ রাখি, তবেই চিনতে আর অসুবিধা হবে না যে- অল্প তথা একমুঠ দাড়িওয়ালা সৈনিক আমাদের, আর লম্বা দাড়িওয়ালা সৈনিক শত্রুদের ।

রসুল নিরুপায় হয়ে সেটাই মেনে নিলেন, যদিও দাড়ি-প্রিয় হযরত উমরের শেষ সিদ্ধান্তটিও রসুলের মনমত ছিল না । সেই থেকেই মুসলমানদের মাঝে একমুঠ দাড়ি রাখার প্রথা শুরু হয় এবং আজও পর্যন্ত আরববাসীগণ এমন কি ইরানিরাও এই নিয়ম পালন করে আসছে; যদিও দাড়ি রাখা কোন পুণ্যও নয় বা কোন ধর্ম বিধানও নয় । আর সে কারণেই দেখা গেেছে কোরানে হাজার হাজার আয়াতের ভিতরে দাড়ির মাহাত্ম্যযুক্ত এমন একটি ছোট বাক্যও নাই ।

নবি যেহেতু দাড়ি কেটে ফেলতে আদেশ করেছেন, সেহেতু সমগ্র মুসলিম বিশ্বের কর্তব্য বীনা বাক্যে নবির আদেশ পালন করা । কেননা, এ নির্দেশ কেবল নির্দিষ্ট কালের জন্য নয়, বরং এ চিরন্তন আদেশটি মহাকালের জন্য । আর নবির নির্দেশই খোদার নির্দেশ । কোরান ঘোষণা করছে যে: নবি কোন কথা নিজ হতে বলেন না, নবির সব কথাই খোদার কথা । সুতরাং নবি যা নিষিদ্ধ করেন পরবর্তিতে সেটা পালন করা নিঃসন্দেহে হারাম । সমসাময়িক পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে সে যুগে যেটাই ঘটে থাকুক না কেন, আমাদেরকে দেখতে হবে দাড়ি প্রসঙ্গে মূলত নবির প্রথমত হুকুম কি ছিল এবং নবি কী চেয়েছিলেন । নবির প্রেমিক হিসেবে প্রাধান্য দিতে হবে নবির ইচ্ছাটুকুকেই, বাহিরের কোন মতকেও নয়, চৌদ্দ পুরুষের কোন কালচার বা ট্রেডিশনকেও নয় ।

মহানবি যে একপ্রকার বাধ্য হয়েই অনিচ্ছা থাকা সত্বেও একমুঠ দাড়ি রাখাকে সমর্থন দিয়েছিলেন উপরোক্ত বিবরণে তার যুক্তিযুক্ততা খুঁজে পাওয়া যায় । ধর্মের উপর দেহের বিভিন্ন স্থানের, চুল-পশমের গুরুত্বও নেই, ভূমিকাও নেই বিধায় মহানবী তাদের অনুরোধ রক্ষা করেছিলেন । তাছাড়া সামান্য কয়টা অর্থহীন পশম বা লোমের কারণে ইসলামের শিশুলগ্নেই নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি করে মুসলিম ঐক্যকে নষ্ট করার কোন মানেই হয় না, তাই মহাজ্ঞানী মোহাম্মদ বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে আরবদের বাপ দাদা ও চৌদ্দ পুরুষের বিশেষ ট্র্যাডিশন দাড়ি চাষাবাদকে অজ্ঞদের জন্য রেখেই দিলেন, আর ইশারা ইঙ্গিতে অনেক কিছুই রেখে গেলেন কেবল জ্ঞানীদের জন্য...!!!

: "দাড়ির ভিতর শয়তান থাকে" (মিশরীয় মতবাদ)

সহায়ক গ্রন্থ সমূহ: আরবজাতির ইতিহাস, সিয়াসিত্তাহ, সংস্কার বা কোরান বনাম শরিয়ত, ইসলামের ইতিহাস, জুলফিকার, ইসলামী বিশ্বকোষ, আলোক শিশু, দ্যা হিস্ট্রি অব ইসলাম ইত্যাদি গ্রন্থসমূহ ।

সংগ্রহিত।

চেতন হোক বিবেক, জাগ্রত হোক মানবতাবোধ।

লেখকঃ আব্দুল গাফফার।

রাসুল (সাঃ) পাক দাঁড়ি মোবারক রেখেছেন উম্মতদের জন্য দাঁড়ি রাখা সুন্নত.!! কিন্তু রাসুল (সাঃ) কেমন দাঁড়ি মোবারক রেখেছেন এটা মোল্লারা না দেখলেও বা কোনো হাদিসে না থাকলেও এর ব্যাখ্যা খুব ভালো ভাবে কত বড় বা কেমন করে রাখতে হবে সেটার মসলা খুবই চমৎকার ভাবে বলে থাকেন.?? রাসুল (সাঃ) খেঁজুর খেয়েছেন উম্মতদের জন্য খেঁজুর খাওয়া সুন্নত.!? রাসুল (সাঃ) পাক, মেসওয়াক করতেন উম্মতদের জন্য মেসওয়াক করা সুন্নত!! রাসুল (সাঃ) পাক লাউ খেয়েছেন উম্মতের জন্য লাউ খাওয়া সুন্নত.?? রাসুল (সাঃ) পাক মধু খেয়েছেন উম্মতের জন্য মধু খাওয়া সুন্নত‌‌.!! রাসুল (সাঃ) মেহেদী ব্যবহার করতেন উম্মতের জন্য মেহেদী ব্যবহার করা সুন্নত.!! এ সকল খাবারের জিনিস বা কি কি ব্যবহার বা পছন্দ করতেন রাসুল (সাঃ) পাক, এগুলোর মসলা মোল্লা সাহেবারা খুবই ভালো ভাবে দিয়ে থাকেন.???আসলে সুন্নত কি?  সুন্নতের অর্থ কি,কি কি সুন্নত? আমরা তাই জানি না জানার চেষ্টাও করি না।।মৌলবাদী সুন্নত নামে যা প্রচার করছে তাই যদি মেনে নেই তাইলে কিছু কথা না বললে নয়.....

আর কি কোন সুন্নত নাই? বহু বিবাহ,বাল্যবিবাহ, বিধবা বিবাহ,বয়স্ক বিবাহ,রাতের আধারে হিজরত করা,গরিব হালে থাকা,খানা কম খাওয়া,নম্র সুন্দর ব্যবহার,আদব,হজম করার শক্তি এগুলা কি সুন্নত না? আজ আমরা খালি মারামারি করি,কাফের ফতুয়া দেই,একজন আরেকজনের শত্রু, মুসলমান মুসলমানকে কাটছে এগুলা কোন সুন্নত?? অর্থের বিনিময়ে কোরান বিক্রি  এটা কোন সুন্নত?  

 আর ইমাম হোসাইন (আঃ) পাকের পবিত্র শাহাদাতের খবর শুনে রাসুল (সাঃ) ইমাম হোসাইন (আঃ) পাকের আগমনের দিন থেকেই কান্না শুরু করলেন, নবী পাকের উফাত হওয়ার আগ পর্যন্ত কান্না করলেন, সেটার বেলায় মোল্লা সাহেবদের বা কিছু দরবারের পীর সাহেবদের কোনো ভালো মসলা খুঁজে পায়না থাকার পড়েও ?? উল্টা কেউ কান্না মাতম রোনাজারী করলে, মোল্লা সাহেবেরা শিরিক বেদাত শিয়া।। বিভিন্য রকম মসলা খাঁড়া করায়।। এখন কথা হলো রাসুল (সাঃ) পাক'যা যা পছন্দ করতেন সব কিছুই যদি উম্মতদের জন্য খাওয়া বা পছন্দ করা সুন্নত হয়.? 

আর যেখানে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ পাক পবিত্র আহলে-বায়েত পাকদের মহাব্বত করা ফরজ করেছেন, (সুরা: শুরা, আয়াত:২৩)" আর রাসুল (সাঃ) পাক তিনার পবিত্র আহলে-বায়েত' আলী,ফাতেমা, হাসান, হোসাইন (আঃ) পাকদের দুনিয়ার সব কিছু থেকেও বেশি পছন্দ করতেন, আর সব চেয়ে বেশি মহাব্বত করতেন আর এমন মহাব্বত করতেন যাদের কে নিজের কলিজার টুকরা বলেছেন,!! যদি খেঁজুর খাওয়া মেসওয়াক করা রাসুল (সাঃ) যা যা পছন্দ করতেন সব কিছুই যদি রাসুল (সাঃ) পাকের সুন্নত হয়.!?? তাহলে পবিত্র আহলে-বায়েত পাকদের পছন্দ করা মহাব্বত করা তাদের শোকে কান্না করা মাতম করা আল্লাহর ফরজ, রাসুল (সাঃ) পাকের সুন্নত নয় কি.!????


মজ্জুবদের দাড়ি আর কাঠ মোল্লাহর দাড়ি এক নয়। 


 উপরের আলোচনা হতে বুঝা গেল দাড়ির মধ্যে কোন কিছু নেই।  দাড়ি মজ্জুব, নবী, রাসুল, ওলি, ভন্ড,  প্রতারক,  বর্নচোরা সবাই রাখে।  ইমান ও সৎ কর্ম এবং রাসুলের আনুগত্যই মানুষকে ডাইরেক্ট জান্নাত দেবে মর্মে কুরআন হতে জানা যায়।  দাড়ি জান্নাত দেবে মর্মে কোন আয়াত নেই।  দাড়ি যদি জান্নাত দেয় তবে খুনি মুয়াবিয়া, ইয়াজিদ, মির্জাফর, ৭১ এ গনধর্ষক,  গনহত্যাকারি, লুন্ঠন কারিরা,  ইবলিশ ও তার অনুসারিরা জান্নাতের যোগ্য হয়ে যায়।  কিন্তু না, তা হবেনা,  বিধায় দাড়ি নিয়ে বাহাবা নেয়ার কোন উপাদান নেই।  তাই যদি হতো তবে কুরআনের এতো গুলি আয়াতের মধ্যে দাড়ি রাখা ফরজ মর্মে আয়াত আসতো।  হজের সময় অপ্রয়োজনীয়,  অবাঞ্চিত লোম পরিস্কার করার নির্দেশই রয়েছে।  

আসলে দাড়ি হাব্বা হোব্বা জুব্বা,জুরির পোশাক,   এসবের সাথে ইসলামের কি কোন সম্পর্ক রয়েছে?

আসলে ধর্ম মানাটা পুরোপুরি নিজের তকদিরের উপর নির্ভর করে৷ দেখা এবং শুধু জ্ঞান দিয়ে কখনো ধর্ম পালন করা যায় না৷ তা যদি সম্ভব হতো তাহলে আবু জাহেল আবু লাহাব অনেক বড় ধর্মীয় নেতা হতো৷ কারণ তারা নিজ চোখে দয়াল নবীজি সাঃ কে দেখেছেন এবং সেই সময়কার আরবে তারাই বেশী জ্ঞানী বলে বিবেচিত ছিল!ধর্ম হলো একান্ত নিজের বিশ্বাসের উপর কুরআন ভিত্তিক দলিলের উপর নির্ভর করে৷👌

আমাদের আলেম সমাজের মুখে একটি কথা কম বেশী আমরা সকলে শুনে থাকি আর তাহল আমাদের দয়াল নবীজি সাঃ এর  সুন্নত নাকি দাঁড়ি রাখা! দাঁড়ি টুপি হাব্বা জুব্বা এইসব নাকি আমাদের নবীজির সুন্নত!

ভাই আমি সবিনয়ে এইসব তথা কথিত আলেমদের কাছে জানতে চাই, আমার দয়াল নবীজি সাঃ এর অাগমনের অনেক বছর আগে আবু জাহেল আবু লাহাবের জন্ম তারা কার সুন্নত হিসাবে দাড়ি রেখেছিল?

দয়াল নবীজিসাঃ এর  জন্মের বহু বছর পূর্বে হতে আরবদের ঐতিহ্য ছিল যার মুখে যত সুন্দর এবং লম্বা দাড়ি থাকবে সেই লোকটি হবে আরবদের নেতা৷সেই সুবাধে ইতিহাসে আমরা জানতে পারি যে আবু লাহাবে সৌন্দর্য ও লম্বা দাড়ির কারণে তিনি বার বার আরবদের নেতা নির্বাচিত হতো এবং তাকে সুন্দরের বাবা বলে উপাধি দেওয়া হয়ে ছিল৷

প্রিয় শ্রদ্ধেয় আলেম সমাজ আপনাদের কাছে জানতে চাই আমার দয়াল নবীজি সাঃ কত বছর বয়স হতে দাড়ি রেখেছিলেন দয়া করে পাঠকের সুবিধার্থে বলে দিবেন ?

বিজ্ঞ আলেম সমাজ দাড়ি যদি ইসলাম ধর্মের এতই গুরুত্ব বহন করে তাহলে কেন হযরত বেলালের(রা) মুখে দাড়ি ছিল না?  নবীজি সাঃ কোন এক  যুদ্ধের   প্রারম্ভে মুসলমানদেরকে সকলকে দাড়ি কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন কেন?

দাড়ি টুপি, টিকি হাব্বা-জুব্বা যদি ইসলামের পরিমাপক হয়ে থাকে তাহলে অন্য ধর্মের লোকেরা এই লেবাস পরিধান করলে তারা কি মুসলমান হয়ে যাবে?

 এই প্রশ্লগুলির উত্তর কোন আলেমরা দেবেনা৷তারা আমাকে ভুল পথের পথিক হিসাবে চিহ্নিত করে সমাজে আমার বিরুদ্ধে  বলে বেড়াবে৷কারণ তারা কুরআন দিয়ে সত্য খুঁজতে চায়না। তারা উমাইয়া-  আব্বাসীয় রাজবংশের  বানানো হাদিসকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে৷তারা তাদের বিবেককে একবারও সত্য অনুসন্ধানের কাজে ব্যবহার করতে চায় না৷

অথচ কুরআনে স্পষ্ট বলা হয়েছে যারা বিবেক বুদ্ধি কাজে লাগায়না তারা নিকৃষ্ট জানোয়ার ৮ঃ২২। তারা  একবার জানার চেষ্টা করে না যে কুরআন ব্যাতীত  হাদিস কখনো অনুসরন করা যাবেনা৷ কারণ দয়াল নবীজি সাঃ এর  জীবনটাই হলো পুর্নাঙ্গ একটি অাল কুরআন৷👌

আজ বেশীর ভাগ ইসলাম ধর্মের মানুষ ইমান ও কর্মকে গুরুত্ত্ব না দিয়ে আনুষ্ঠানিক ইবাদতকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে মরার পর আরাম আয়েশী জীবন কাটানোর জন্য বেহেস্তের হুরদের নেশায় মত্ত ৷ সেইজন্য আল্লাহ কুআরনে সুরা নিসায় পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে হে মানুষ তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমার সালাতের  ধারে কাছে যেওনা৷৪ঃ৪৩ আয়াত।  👌

 নবীজি সাঃ প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন ফরজ করেছেন৷কারণ মানুষ জ্ঞান অর্জন না করলে তাদের হৃদয় চক্ষু খোলেনা৷আর কোন মানুষ  হৃদয় চক্ষু  ব্যতীত সত্য মিথ্যা ফারাক করা সম্ভব হয়না৷মানুষের হৃদয় চক্ষু উদয় নাহলে তাদের বিবেক জাগ্রত হয়না মানুষ বিবেকের কারণে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ৷তাই পৃথিবীর শ্রেষ্ট আদালত হলো মানুষের বিবেক,।বিবেকহীন মানুষ পশুর চাইতে অধম, নিকৃষ্ট জানোয়ার ৮ঃ২২। 

তাই প্রত্যেক মানুষকে নিজের বিবেককে জাগ্রত রাখতে হবে৷কোন মানুষের বিবেক জাগ্রত  নাহলে তার পক্ষে কখনো সঠিক ধর্মকর্ম  পালন করা সম্ভব নয়৷ বিবেকহীন মানুষ অন্ধের  মত অনুমানের উপর ধর্মকর্ম করে থাকে যেইটা মানুষকে অধর্মের দিকে বেশী ধাবিত  করে৷বতর্মানে বেশীরভাগ মানুষ অনুমানের উপর ভর করে ধর্ম  পালন করে থাকে। সেই জন্য তারা ধর্মের সঠিক স্বাদ পায়না৷

প্রতিটা ধর্মে খোঁজ করলে দেখতে পাবেন সত্যকে দুরে রাখার জন্য কিছু কিছু মানুষ সহজ কর্মকে ধর্মীয় কর্ম বলে চালিয়ে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তের জালে আটকিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ তাদের ফায়েদা টুকু হাসিল করে যাচ্ছে৷ প্রকৃত পক্ষে তারা কোন ধর্মের অনুসারি নহে৷ তেমনি কিছু লেবাসী মুসলমানগন নবীজি সাঃ এর  জীবন কর্মের সাথে সম্পর্কহীন  তেমন কত গুলি কর্মকে ইসলাম ধর্মে অন্তর্ভুক্ত করে সহজে বেহেস্ত পাওয়ার লোভ ফেলে সহজ সরল মুসলমান দেরকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে৷

উৎসঃ=

সহায়ক গ্রন্থসমুহঃ= ১.  আরব জাতির ইতিহাস,  ২. সিয়াসিত্তাহ,  ৩. সংস্কার বা কোরান বনাম শরীয়ত, ৪. ইসলামের ইতিহাস,  ৫. জুলফিকার,  ৬.  ইসলামী বিশ্বকোষ, ৭.আলোক শিশু, ৮. দ্যা হিস্ট্রি অব ইসলাম,  ইত্যাদি গ্রন্থসমুহ । 

 সত্য ধর্মকে কখনো ঢাঁকঢোল পিঠিয়ে প্রচারের প্রয়োজন পড়ে না৷প্রতিটা মানুষের চরিত্র ও কর্মের মাঝে ফুঁটে ওঠে তার নিজ ধর্ম৷

পরিশেষ বেশী কিছু লিখে সময় নষ্ট না করে এতটুকু বলতে পারি দাড়ি টুপি হা্ব্বা-জুব্বা এইসব লেবাসগুলি কখনো ইসলামের নীতি আদর্শকে বহন করেনা৷এইসব কিছু মানুষের দৈহিক সৌন্দর্যের জন্য , কখনো ধর্মের মৌলিক কোন কর্ম হতে পারেনা৷

 নবীজি সাঃ বিধবা নারীকে বিবাহ করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে সম্মানিত করেছেন। সেইটিত নবীজি সাঃ এর  একটি সুন্নাহ, কই এটিতো আপনারা কেউ পালন করেন না? নবীজি সাঃ সব সময় লম্বা চুল রাখতে ভালোবাসতেন, কই সেটা আপনারা কয়জনে পালন করেন? ওফাতের সময় কোন ধনসম্পদ, জমি জমা বিষয় সম্পত্তি রেখে যাননি,  কই, আপরারা তো মরার সময় নিঃস্ব হয়ে মরে সেই সুন্নত নামের বানানো হাদিসগুলি পালন করেন না? 

এভাবে লিখতে গেলে হাজারের উপরে লেখা যাবে যাহা আপনারা একটিও পালন করেন না। কিন্তু আবু লাহাব আবু জাহেলের রেখে যাওয়া দাঁড়ি কে মুসলমানের অনেক মূল্যবান ঈমানের পথিক বলে প্রচার করে থাকেন কেন। দয়াল নবীজি সাঃ এর আবির্ভাবের পূর্বে আরবের মানুষেরা অধিক দাড়ি প্রিয় ছিল। তখন তারা এটিকে কার সূন্নাত মনে করতেন?

পরিশেষে এটুকু বলতে পারি দাড়ি প্রতিটি মানুষের শরীরের সৌন্দর্যের একটি উপাদান মাত্র। এর সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। কেউ ইচ্ছা করলে দাড়ি রাখতেও পারে আবার কেউ ইচ্ছা করলে নাও রাখতে পারে এতে ধর্ম বিশ্বাসের উপর কোন আঘাত বা প্রভাব পড়েনা এটা আমার মত। কারণ কুরআনে দাড়ি রাখার নির্দেশ মর্মে  তেমন কোনো আয়াত আমি অন্তত পাই নাই। অবশ্যই ইসলাম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা  ও দেহের সৌন্দর্যটাকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। 

♦ সুন্নত সম্পর্কে বিভ্রান্তি নিরসনঃ

➡️আমরা রীতিমত সুন্নত শব্দটির অপব্যখ্যা করে যাচ্ছি,। বেশির ভাগ লোকের ধারনা, একমাত্র নবী মুহাম্মাদ সাঃ তাঁর জঅবদ্দশায় যা কিছু করেছেন,  সে ক্রিয়া গুলিকে সুন্নাত বলে।  কিন্তু না,  এই বুঝ সম্পুর্ন রুপে ভিত্তিহিন,  সংকীর্ণতা ও অসার্বজনিনতা প্রকাশ পায়।  তাদের দবিতে মনে হয় সুন্নত শব্দটি শুধু নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর জন্য সৃষ্টি  এবং শব্দটির ব্যবহার হয়তো আগে ছিলনা আরবি ভাষায়।  কিন্তু না,  ভাষার উৎপত্তি বিশ্লেষনে জানা যায় মানুষের প্রয়োজনে ভাষার সৃষ্টি এবং আরবি ভাষাটিও একই প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি এবং সুন্নত শব্দটি আরবি ভাষার উৎপত্তিকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।  বিধায় সুন্নত শব্দটি সার্বজনিন অর্থ  সর্বকালেই ব্যবহৃত হয়েছে এবং কুরআনেও শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ।  

আসুন দেখি সুন্নত বিষয়ে কুরআন কি বলে। 

সুন্নাতের আভিধানিক অর্থ রীতি-নীতি/নিয়ম/ কর্মপদ্ধতি   

কুরআনিক অর্থ হলো কারও আদর্শকে বা ক্রিয়ায়া পদ্ধতিকে সুন্না বলে নিম্নের আয়াতটি লক্ষ করি।

An-Nisa' ৪ঃ২৬ 

আল্লাহ তোমাদের জন্য সবকিছু পরিস্কার বর্ণনা করতে এবং তোমাদেরকে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের হেদায়েতের আদর্শসমূহ /সুনানাসমূহ প্রদর্শন করতে ও তোমাদেরকে ক্ষমা করতে চান এবং আল্লাহ মহাজ্ঞানী, বিজ্ঞানময়।( সুন্নাহর বহু বচন সুনান)  

➡️আমরা জানি একমাত্র এই কুরআনের মাধ্যমে(৬ঃ১৯) আল্লাহ সব কিছু সুস্পষ্ট বর্নণা করেছেন(১৮ঃ৫৪),তাহলে (৪ঃ২৬) অনুসারে আমি কুরআনে এমন কোন পূর্ববর্তী নবীদের আদর্শ/রীতি নীতি/সুন্না পায় নি যেখানে আল্লাহ বর্ণনা করেছেন -কোন নবী কিভাবে কতটুকু দাড়ি রেখেছেন,কে জুব্বা, টুপি পরেছেন,,কে গাছের ডাল দিয়ে দাত মেসোয়াক করেছে,কে কিভাবে ঘুমিয়েছেন,খেয়েছেন,ব্যাক্তিগত কোন বিষয়ই তিনি নবীদের ব্যাপারে বর্ননা করেননি।তাহলে এগুলো কি করে নবীর সুন্নত হতে পারে।

বরং তিনি বর্ননা করেছেন নবীদের আল্লাহর ব্যপারে তাকওয়া,তাদের ঈমান,তাদের আল্লাহর প্রতি আনুগত্য,তাদের দাওয়াতি আদর্শ,তাদের কুরআনিক  অর্ডার পালনে একানিষ্ঠতা ইত্যাদি

তাহলে কি বলতে পারি না প্রচলিত সকল ফেকা,হাদিস এগুলো  রসূলের নামে চালানো হচ্ছে।

তারা এ সকল অসার সুন্নাত মেন রীতিমত কুরআন বিরোধী সুন্নাত পালন করে যাচ্ছে। Al-Hijr 15:13

তারা কুরআনে বিশ্বাস করবেনা এবং অতীতে পূর্ববর্তীদেরও এই সুন্নাত বা নিয়ম বা প্রক্রিয়া ছিল  ।

মন্তব্যঃ সুন্নত বলতে কর্মপন্থা বা ক্রিয়াকে বুঝলে সঠিক হয়।  নিয়ম বুঝলে ১৭ঃ৭৭ আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক হয়।  কারণ ১৭ঃ৭৭ তে বলা হয়েছে আল্লাহর নিয়ম / বিধানের পরিবর্তন নেই।  তাই যদি হয় তবে এতগুলি কিতাব নাজিলের দরকার কি ছিল?  এটা দ্বারা তো নিয়ম পরিবর্তন বুঝায়।  কিন্তু যদি সুন্নত দ্বারা ক্রিয়া বা প্রক্রিয়াকে বুঝানো হয় তবে সাংঘর্ষিক হয়না।  কারণ আল্লাহর ক্রিয়া বা সৃষ্টি ক্রিয়া-কর্মের কোন পরিবর্তন নেই।  একই নিয়েমে সব কিছু সৃষ্টি, স্থিতি, লয় হচ্ছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post