হিন্দু ধর্মের যে ধর্মীয় বিষয়গুলি অযৌক্তিক ও কুরুচিপূর্ণ!

হিন্দু ধর্মের যে ধর্মীয় বিষয়গুলি অযৌক্তিক ও কুরুচিপূর্ণ!
হিন্দু ধর্মের যে ধর্মীয় বিষয়গুলি অযৌক্তিক ও কুরুচিপূর্ণ!

 ঊনবিংশ শতাব্দীতে Hinduism বা হিন্দুধর্ম শব্দটি ইংরেজি ভাষায় সূচিত হয় ভারতীয়দের ধর্ম বিশ্বাস, দর্শন এবং সংস্কৃতিকে বোঝানোর জন্য। ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী অনুসারীর দিক থেকে খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামের পর হিন্দুধর্ম পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম। সবচেয়ে বেশি পরিমাণ হিন্দু ধর্ম অনুসারী বাস করে ভারতে যা প্রায় ১.০৩ বিলিয়ন।

১।সতীদাহ প্রথা

সতীদাহ প্রথার স্রষ্টাকৃষ্ণ।কৃষ্ণ অন্যায় ভাবে যুধিষ্টিরকে দিয়ে মিথ্যা কথা বলান, ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ না থামিয়ে সুকৌশলে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন এবং যার ফলে লাখ লাখ যুবক-সৈন্য, শিশু, নারী, বৃদ্ধ -বৃদ্ধার মৃত্যু হয় -- লাখ লাখ নারী হয় বিধবা।

মহাভারতের যুদ্ধশেষে লাখ লাখ সৈন্য মারা যায়। আর তার যুবতী স্ত্রীরা রয়ে যায় শূন্য হাতে। কৃষ্ণ তখন যুধিষ্ঠিরকে বিধান দেয় -- " যদি এই সব স্ত্রীগন বেঁচে থাকে তবে সমাজে ব্যভিচারিতায় ভরে যাবে এবং খাত্রজ বর্ন ধারন করবে। এছাড়া স্বামীর সম্পত্তিতে এদের অধিকার জন্মাবে। তাই এদের মৃত স্বামীর সঙ্গে সহমরন দেওয়া হোক " ( ব্যাসদেব মহাভারত, সত্যম পাবলিকেশন, 1993 সংস্করন, পৃষ্ঠা-- 473)।

২।লগ্নভ্রষ্টা প্রথা।

ভাস্করাচার্য নামক এক গণিতবিদ ছিলেন।তার হাতেই পাটিগণিত,বীজগণিত,জ্যামিতি ও ত্রিকোণমিতির ব্যপক উন্নতি সাধন হয়।

তার মেয়ের বিয়ের দিন মেয়ে দেয়ালে পিট ঠেকিয়ে কাঁদছে।কারণ তার স্বামী তাকে বিয়ে না করেই চলে গেছে।বিয়ের লগ্ন পেড়িয়ে গেছে।তার আর সারাজীবনে বিয়ে হবে না।আর সারাজীবনে সে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না।

ভাস্করাচার্য তার মেয়ের কষ্টে নিজেও কেঁদে ফেললেন আর বললেন,মা কাঁদিস না।আমি তোর নামে একটা বই লিখবো আর সেই বইয়ের নাম হবে"লীলাবতি"।তুই মারা যাবার পরেও সেই বই হাজার বছর ধরে তোর নামকে জীবিত করে রাখবে।

"লীলাবতি" পৃথিবীর একমাত্র গণিত বই যা কোনো মানুষের নামে নামকরণ করা হয়েছে।এই লীলাবতী বই পুরো বিশ্বের পাটিগণিত,বীজগণিত,জ্যামিতি ও ত্রিকোণমিতির ভিত্তি তৈরি করে।


হুমায়ুন আহমেদ এ ঘটনা শোনার পর তীব্রভাবে ব্যথিত হন এবং তার ও শাওনের প্রথম মেয়ে সন্তানের নাম লীলাবতী রাখেন।তিনি লীলাবতী নামে বইও লিখেছেন।

লগ্নভ্রষ্টা প্রথার প্রচলন হয় এজন্য যেন পাত্রীপক্ষের লোক যাতে বিয়ের সময় যৌতুক প্রদানে গরিমসী না করে।

৩।বর্ণবৈষম্য/বর্ণবিভেদ

গীতায় কৃষ্ণ বলেছেন, " আমি চার বর্ন সৃষ্টি করলাম, উৎকৃষ্ট স্থান মাথা থেকে ব্রাহ্মনের , - - - - নিকৃষ্ট স্থান পায়ের তলা থেকে শূদ্রের জন্ম " ( ৪/১৩, মূল সংস্কৃত গীতা, সত্যম পাবলিকেশন, ১৯৯৩ সংস্করন ) । কৃষ্ণ আরো বলেছে --" পাপ যোনি অর্থাৎ পতিতার ( বেশ্যা) গর্ভে শূদ্রের জন্ম " (৯/৩২,গীতা)।

অর্জুনকে উপদেশ কালে কৃষ্ণ বলে --- "হে অর্জুন, কখনো নারীকে বিশ্বাস করবে না, কখনো শূদ্রকে বিশ্বাস করবেনা। কারন তারা সর্বদা নিন্মগামি, নরকের দ্বার " ( পৃষ্ঠা ১০৩, গীতা) ।



২০১৪ সালে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর নিতিনকে হত্যা করা হয় উচ্চবর্ণের একটা মেয়ের সাথে শুধু কথা বলার অপরাধে। [4] নিতিনের মা বলেছেন, যেভাবে পাগলা কুকুরকে মারা হয়, সেভাবে আমার ছেলেকে মারা হয়েছে।

আর উচ্চবর্ণের মেয়ের সাথে বন্ধুত্বের অপরাধে রোহানের মাথা কেটে শরীরটা আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় ২০০৯ সালে। কেন তারা তাকে হত্যা করল? মেয়েটি মারাঠা এবং তারা মহর, এ কারণেই তার ছেলেকে হত্যা করেছে, "রোহানের মা বলেছিলেন।

ক্রেডিটঃ 

মুহাম্মাদ আনিসুর রহমান
 · 2বছর
ভারত কি এখনো জাতপাতে বিভক্ত?
এই লেখায় ভয়াবহ নৃশংসতার ছবি, ভিডিও ও বর্ণনা আছে। সকলের জন্যে উপযোগী নয়। 'অস্পৃশ্যতা দাসত্বের চেয়ে খারাপ'— বলেছেন ভারতীয় দলিত সম্প্রদায়ের অবিসংবাদিত নেতা ড. ভিমরাও আম্বেদকর। ভারতের সংবিধান অস্পৃশ্যতা নিষিদ্ধ করেছে। পৃথিবীর অনেক শ্রেষ্ঠ মানুষের জন্ম হয়েছে ভারতে। অথচ এই দেশটাতে কুৎসিত অস্পৃশ্যতার রীতিনীতি আছে। দলিত বর্ণের একজন মরে গেছে। তার লাশের শেষকৃত্য করতে চলেছে লোকেরা। কিন্তু উচ্চবর্ণের লোকেদের সাফ কথা। এই নিচু জাতের লাশ আমাদের জমি দিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। শেষমেশ পথ এড়ানোর জন্যে লাশটাকে বেঁধে ২০ ফুট নিচে নামতে হল। অপরাধ গুরুতর। মরা গরুর চামড়া ছাড়িয়েছে দলিত সম্প্রদায়ের সাত সদস্য। কিন্তু এই "পাপ" 'গো-রক্ষক' কমিটির সচেতন সদস্যরা সইতে পারেনি। নির্মমভাবে পিটানো হয় ছেলেগুলোকে। " আমাদের ছেলেদের নির্মমভাবে বেত মারার ঘটনার দুই বছর হলো। অথচ এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার কিছুই করলো...আমরা সুবিচার পাইনি এবং অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।" মার খাওয়া ছেলেদের বাবা বালু সারভাইয়া জানান। গুজরাতের গীর সোমনাথ জেলার দুটি গ্রামের তিনশরও বেশি ক্ষুব্ধ দলিত হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নেন। মরা গরুর চামড়া ছাড়ানোর চেয়ে ঘোড়া চড়ার অপরাধকে ছোট করে দেখেন না গুজরাটের ওইসব উচ্চ বর্ণের অমানুষেরা। প্রদীপ রাঠোর ২১ বছরেই জীবন দিল। নিচু বর্ণের মানুষ হয়েও ঘোড়ার মালিক হওয়ার অপরাধে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ২০১৮ সালে। ২০১৪ সালে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর নিতিনকে হত্যা করা হয় উচ্চবর্ণের একটা মেয়ের সাথে শুধু কথা বলার অপরাধে। নিতিনের মা বলেছেন, যেভাবে পাগলা কুকুরকে মারা হয়, সেভাবে আমার ছেলেকে মারা হয়েছে। আর উচ্চবর্ণের মেয়ের সাথে বন্ধুত্বের অপরাধে রোহানের মাথা কেটে শরীরটা আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় ২০০৯ সালে। কেন তারা তাকে হত্যা করল? মেয়েটি মারাঠা এবং তারা মহর, এ কারণেই তার ছেলেকে হত্যা করেছে, "রোহানের মা বলেছিলেন। ২০০৯ সালে বাঘ পিম্পলগাঁওয়ে দুই জাতের মধ্যে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এসে লাঠি, তরোয়াল এবং লোহার রড দিয়ে উচ্চবর্ণের লোকদের বিক্ষুব্ধ জনতা ৬৯ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাভ গুরুজীকে হত্যা করা। সাগর শেজওয়াল নামে একজন ২৪ বছর বয়সী নার্সিংয়ের শিক্ষার্থী; ২০১৫ সালের মে মাসে শিরদির কাছে নয়জন মাতাল মারাঠা পুরুষের একটি দল তাকে হত্যা করে। আম্বেদকের প্রশংসায় সাগরের রিংটোনে একটি গান ছিল। মাতাল মারাঠারা ফোন রিংটোনটিতে আপত্তি জানায়। সাগর শেজওয়াল একজন মহর-বৌদ্ধ ছিলেন। পালওয়ঙ্কর বালু ছিলেন একজন ভারতীয় ক্রিকেটার, বাঁ-হাতি স্পিন বোলার। অস্পৃশ্যতার স্বীকার হন তিনি। উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সামনে পায়ের উপর পা তুলে বসায় দলিত গ্রামে চড়াও হয়ে তিন জনকে হত্যা করল সশস্ত্র বাহিনী। গুরুতর জখম ছ’জন। - আনন্দবাজার ২০১৮ ট্রাক্টর দিয়ে পিষে তিনজন দলিতকে হত্যা - দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া ২০১৫ নিম্নবর্ণের’ সহপাঠীর সঙ্গে প্রেম, মেয়েকে খুন করলেন বাবা -এনডিটিভি ২০১৯ নিম্নবর্ণ নিয়ে বিদ্রূপে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা ইন্ডিয়া টুডে ২০১৯ নিম্নবর্ণের বাড়িতে উচ্চবর্ণের আগুন, জীবন্ত দুই শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা ইন্ডিয়া টুডে ২০১৫ উচ্চবর্ণের মেয়ে বিয়ে করায় যুবককে কুপিয় হত্যা -ডয়েসেভেলে ২০১৬ শত শত নির্মম ঘটনার কয়টা শোনার ধৈর্য আমাদের আছে?

৪।ক্ষেত্রজ পুত্র জন্মদান।ক্ষেত্রজ পুত্র বোঝায় ধরুন আপনার স্বামী সন্তান জন্মদানে সক্ষম নন।এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার স্বামীর ভাইয়ের সাথে শুয়ে সন্তান ধারণ করতে হবে।এই পুত্রই ক্ষেত্রজ পুত্র।

৫।বিধবাদের সাদা শাড়ি পড়তে বাধ্য করা,তাদের রঙ লাগাতে,পুনঃবিবাহ করতে নিষেধাজ্ঞা,নিরামিষ ব্যতীত অন্য খাবার খেতে না দেয়া।

৬।মহাভারতে বলা হয়েছে ৭ বছরের মেয়েই বিবাহের জন্য উত্তম।(এতো ছোট মেয়ের সাথে বিয়ে করাটা মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়)

৭।ইন্দ্রের দ্বারা অহল্যাকে ধর্ষণ

৮।দ্রোণাচার্য এর দ্বারা একলব্যকে শিক্ষাদানে অস্বীকৃতি

৯।একলব্যকে অন্যায়ভাবে আঙুল কাটতে বাধ্য করা।

১০।রামের দ্বারা তপস্যাকারী শুদ্র হত্যা

“রাজন! আমি শূদ্রযোনিতে জন্মেছি। এমন তপস্যার দ্বারা সশরীরে দেবত্বলাভ করতে চাই। যখন আমার দেবত্বলাভের ইচ্ছা আছে, তখন আপনি নিশ্চয় জানবেন যে আমি মিথ্যা বলছি না। আমার শূদ্রজাতি, আমার নাম শম্বুক।” (১)

 এইকথা শোনামাত্রই রাম তার খড়গ বের করেন এবং সেই শূদ্রের মুন্ডুচ্ছেদ করেন।

শূদ্রকে হত্যা করতে দেখে দেবতারা রামকে বাহবা দিতে থাকেন, রামের উপর পুষ্পবৃষ্টি করতে থাকেন। দেবতারা রামকে বলেন,

“রাম! তুমি দেবতাদের প্রিয় কাজ করলে, এখন তোমার যেমন ইচ্ছা আমাদের কাছে তেমন বর প্রার্থনা কর। এই শূদ্র তোমারই জন্য দেবত্ব লাভ করতে পারলো না। এটাই আমাদের জন্য পরম সন্তোষের।” (১)

ক্রেডিটঃ আশিক ইকবাল (Ashique Iqbal Ashique Iqbal)

১১।কৃষ্ণের নিজ মামী রাধার সাথে পরকীয়া

১২।কৃষ্ণের দ্বারা গোসলরত নগ্ন নারীদের কাপড় চুরি

১৩।কৃষ্ণের গোপিনী(বান্ধবীদের) সাথে যৌনসঙ্গম

১৪।ব্রহ্মার দ্বারা নিজ কন্যা শতরূপাকে ধর্ষণ ও অজাচার।

শিবপুরাণে

শিবপুরাণের জ্ঞানসংহিতার ৪৯ তম অধ্যায়ে ব্রহ্মাকে তার কন্যা সরস্বতীর প্রতি কামাতুর হয়ে পড়তে দেখা যায়।

শিবপুরাণ মতে, বর্তমানে ব্রহ্মা চতুর্মুখ হলেও পূর্বে তিনি পঞ্চ মুখবিশিষ্ট ছিলেন। একবার শিব ও পার্বতীর সামনে স্রষ্টা ব্রহ্মা অপভ্রংশ শব্দ ব্যবহার করেন, এর ফলে শিব তার একটি মুখ কেটে ফেলেন।

পুরাণ বর্ণনাকার সূতের মুখে ব্রহ্মার মাথা হারানোর কাহিনী শুনে মুনিরা জিজ্ঞেস করেন, “ব্রহ্মার মুখ কেন এমন বিরুদ্ধভাষী হল?” উত্তরে সূত বলেন, “ হে ঋষিগণ! পূর্বকালে ব্রহ্মা নিজ কন্যা সরস্বতীর রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে অনুসরণ করে কাম বিহ্বল চিত্তে তাকে ‘অয়ি সুন্দরী! গমনে নিবৃত্ত হও’ এই কথা বলেছিলেন। তা শুনে সরস্বতী রেগে গিয়ে অভিশাপ দেন , “পিতা হয়ে তুমি যে মুখে ধর্ম বিরুদ্ধ অশুভ কথা বললে, সেই মুখে তুমি বিরুদ্ধভাষী হবে।“(শিবপুরাণ/জ্ঞানসংহিতা/৪৯ অধ্যায়/৭৭-৭৯| অনুবাদক-শ্রী পঞ্চানন তর্করত্ন )(5)

সরস্বতীর এই অভিশাপের পর থেকে ব্রহ্মা তার মুখ দিয়ে ‘অতি কঠোর দুষ্ট শব্দ’ উচ্চারণ করতেন। আর শিব ও পার্বতীর সামনে এমন দুষ্ট শব্দ ব্যবহারের ফলেই পিতামহ ব্রহ্মা তার পঞ্চম মুখ হারান।

পঞ্চবিংশ ব্রাহ্মণে

পঞ্চবিংশ ব্রাহ্মণে প্রজাপতি তার কন্যা উষার সাথে মিলিত হতে চেয়েছিলেন-

“প্রজাপতি তার নিজকন্যা উষাকে অধিকার করতে আকাঙ্ক্ষা করেছিলেন। তিনি তার বীজ হারিয়ে ফেলেছিলেন; সেটা পৃথিবীতে পড়ে গিয়েছিল; তিনি সেটাকে শক্তি দিলেন, (এই ভেবে): ‘আমার এটা যেন নষ্ট না হয়’। তিনি এটাকে সঠিকভাবে স্থাপন করলেন এবং এর থেকে গবাদি পশু তৈরি করলেন।“(পঞ্চবিংশ ব্রাহ্মণ ৮/২/১০) (3)

শতপথ ব্রাহ্মণে

শতপথব্রাহ্মণেও প্রজাপতি তার কন্যা আকাশ অথবা উষার সাথে সহবাস করেছিলেন-

“১. প্রজাপতি তার কন্যা আকাশ অথবা উষার প্রতি কামার্ত হয়েছিলেন। ‘আমি কি তার সাথে মিলিত হব’ এই ভেবে তিনি তার সাথে মিলিত হলেন। ২. দেবতাদের চোখে এটা অবশ্যই পাপ ছিল। ‘নিজের মেয়ে, আমাদের বোনের প্রতি এমন আচরণ যে করে (সে পাপ করে)’, তারা ভাবলেন। ৩.তারপর দেবতারা পশুদের অধিপতি (রুদ্রকে) বললেন, “নিজের মেয়ের সাথে, আমাদের বোনের সাথে যে এমন আচরণ করে সে নিশ্চয় পাপ করে । বিদ্ধ কর তাকে রুদ্র, লক্ষ্য স্থির করে তাকে বিদ্ধ কর। তার অর্ধেক বীজ মাটিতে পড়েছিল…” (শতপথ ব্রাহ্মণ ১/৭/৪/১-৩(4)

পুরাণ বর্ণনাকার সূত বলেন, “ বিপ্রগণ! পূর্বে প্রজাপতি কামুক হয়ে মোহক্রমে বাক নামের নিজকন্যার প্রতি আসক্ত হন। কন্যা বাক প্রজাপতির কামুক মনোভাব বুঝতে পেরে লজ্জায় মৃগীরূপ ধারণ করেন। তখন ব্রহ্মাও হরিণ হয়ে তার সাথে রমণ করতে অভিলাষী হন। বাগদেবী হরিণীরূপে গমন করলে, মৃগরূপী ব্রহ্মাও তার অনুগমন করেন।“ [স্কন্দ পুরাণ/ব্রহ্মখণ্ড/সেতুমাহাত্ম্য পর্ব/ অধ্যায় ৪০]

১৫।দূর্গার শিবকে যৌতুক দেয়া।

১৬।কৃষ্ণের ১৬১০০ উপপত্নী রাখা

১৭।যুগিষ্ঠিরের নিজ স্ত্রী দ্রোপদীকে জুয়ায় বাজি রাখা

১৮।কৃষ্ণের মিথ্যা বলে অশ্বথামার পিতাকে হত্যা


১৯।দেবতাদের সাথে কুন্তির সঙ্গম ও সন্তান জন্মদান(কর্ণ,অর্জুন)
২০।দেবতাদের সাথে মাদ্রীর সঙ্গম ও সন্তান জন্মদান

২১।জতুগৃহে পঞ্চপাণ্ডব দ্বারা নিষ্পাপ মা ছেলেদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা

২২।সীতা নিষ্পাপ জানা সত্ত্বেও তাকে বনবাস দেয়া

২৩।গর্ভাবস্থায় রামের সীতাকে ত্যাগ

২৪।ধর্ষণের জন্য ধর্ষিতাকেই শাস্তি দেয়া(যদি ধর্ষণ হয়নি।তবুও সীতা সাজাপ্রাপ্ত হয়)

২৫।রাজতন্ত্র।হিন্দু ধর্মে রাজতন্ত্র স্বীকৃত।রাজার ছেলে রাজা হবে।যেমন-দশরথের পুত্র রাম,পান্ডুর পুত্র পঞ্চপান্ডব।এটা ঠিক নয়।বাবা বুদ্ধিমান হলেই ছেলে বুদ্ধিমান হবে এমন কোনো কথা নেই।

২৬।মদ্যপানে বৈধতা

২৭।যম ও যমীর উপাখ্যানঃযমির যমকে কামনা করা।যম আর যমি দুই ভাই বোন ।

২৮।পুত্র সন্তান দ্বারা চিতায় আগুন দেয়া

কুকুর,গাছ,ভুতের সাথে বিয়ে।

২৯।কুকুর,গাছ,ভুতের সাথে বিয়ে।

৩০।ঈশ্বর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না দেয়া।

৩১।কুষ্ঠি মিলিয়ে বিবাহ।

৩২।ভাগ্য নির্ধারণ,রাশিফলে বিশ্বাস

৩৩।নরবলি।মা কালীকে সন্তুষ্ট করার লক্ষে আগে নরবলি হত্যা অর্থাৎ মানুষকে বলি দেয়া হতো।

৩৪।উচ্চ বর্ণের মেয়েদের নিম্নবর্ণের ছেলেদের সাথে বিবাহে নিষেধাজ্ঞা

৩৫।কালীকে নগ্নরূপে পূজা

৩৬।যৌতুক প্রথা।

৩৭।তপস্যাকারীদের তপস্যা ভঙ্গের জন্য মেনকা,উর্বশীকে পাঠানো।

৩৮।দেবতাদের গুরু বৃহস্পতি তার ভ্রাতৃবধূ মমতাকে ধর্ষণ করেন। বৃহস্পতির ভাই ছিলেন উতথ্য ঋষি। তার স্ত্রী হলেন মমতা। একদিন বৃহস্পতি কামাতুর মনে মমতার কাছে উপস্থিত হন। তাকে দেখে মমতা জানান তিনি তার স্বামী অর্থাৎ বৃহস্পতির দাদা উতথ্য ঋষির দ্বারা গর্ভবতী হয়েছেন। এক গর্ভে যেহেতু দুই সন্তানের স্থান হওয়া অসম্ভব এবং বৃহস্পতিও অমোঘরেতাঃ তাই মমতা বৃহস্পতির সাথে মিলিত হতে অসম্মতি জানান। মমতা বৃহস্পতিকে বলেন,

“হে মহাভাগ! আমি তোমার দাদার দ্বারা গর্ভবতী হয়েছি, অতএব সঙ্গম করার ইচ্ছা সংবরণ কর। আমার গর্ভের কুক্ষির মধ্যেই উতথ্যের পুত্র ষড়ঙ্গবেদ অধ্যয়ণ করছে। তুমিও অমোঘরেতাঃ ; এক গর্ভে দুইজনের সম্ভব নিতান্ত অসম্ভব। আজ এই দুষ্কর্ম হতে নিবৃত্ত হও।”

মমতার অসম্মতি সত্বেও দেবগুরু তাকে ধর্ষণ করেন। বৃহস্পতিকে ধর্ষণ করতে দেখে মমতার গর্ভস্থ শিশু বলে ওঠে, “ভগবন! মদন-আবেগ সংবরণ করুন। স্বল্পপরিসরে উভয়ের সম্ভব অত্যন্ত অসম্ভব। আমি পূর্বে এই গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছি, অতএব অমোঘরেতঃপাত দ্বারা আমাকে পীড়িত করা আপনার নিতান্ত অযোগ্য কর্ম হচ্ছে, সন্দেহ নেই।”

বৃহস্পতি গর্ভস্থ শিশুটির কথায় কর্ণপাত না করে তার নিকৃষ্ট কাজ করতে থাকেন। গর্ভস্থ শিশু বৃহস্পতির এই অন্যায় আচরণ দেখে নিজের পা দিয়ে শুক্রের পথ রোধ করেন।বীর্য মমতার গর্ভে প্রবেশ করতে না পেরে মাটিতে পতিত হয়। এতে রেগে গিয়ে বৃহস্পতি সেই শিশুটিকে অন্ধ হওয়ার অভিশাপ দেন।পরে ওই শিশুটির নাম হয় দীর্ঘতমা।

[কালিপ্রসন্ন সিংহ কর্তৃক অনুবাদিত মহাভারত / আদিপর্ব / ১০৪ অধ্যায়]

৩৯। শিবের পার্বতির প্রতি ভালোবাসাশিব নাকি তার শক্তি ব্যাতিত অন্য কাউকে ভালোবাসে না তাই সে গঙ্গার প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিয়েছে , কিন্তু শিব পুরান অনুসারে শিব ও পার্বতিকে বিহার করতে দেখে জয়া শিবকে কামনা করে আর শিব ও তার কামনা পূর্ন করে এবং শিব ও জয়ার সঙ্গমে নন্দির জন্ম । অর্থাৎ নন্দি শিব এর অবৈধ সন্তান।

৪০।বেদ ব্যাস এর জন্ম এক দ্বীপে সত্যবতিকে একা দেখে এক ঋষি তার সাথে মিলিত হয় এই শর্তে যে সে সতীত্ব হারাবে না আর তার সন্তান বড় ঋষি হবে।

৪১।বিচিত্রবীর্য যখন টিউবারকোলেসিসে অকালে মারা যান, তখন বংশরক্ষার জন্য দুই সহোদরা পুত্রবধুর ঘরে শাশুড়ী সত্যবতী পাঠিয়ে দেন তাঁরই কুমারী অবস্থায় পরিত্যক্ত জারজ সন্তান কৃষ্ণদৈপায়ন ব্যাসদেবকে। অর্থাৎ নিয়োগপ্রথায় ধৃতরাষ্ট্র ও পাণ্ডুর জন্ম অম্বিকা ও অম্বালিকার গর্ভে, তাঁদের সম্পর্কে ভাসুর ব্যাসদেব দ্বারা।


তথ্যসূত্রঃ

১।

সতীদাহ প্রথার মূল উদ্দেশ্য কি ছিল?

২।

Redirect Notice

৩।

মুহাম্মাদ আনিসুর রহমান
 · 2বছর
ভারত কি এখনো জাতপাতে বিভক্ত?
এই লেখায় ভয়াবহ নৃশংসতার ছবি, ভিডিও ও বর্ণনা আছে। সকলের জন্যে উপযোগী নয়। 'অস্পৃশ্যতা দাসত্বের চেয়ে খারাপ'— বলেছেন ভারতীয় দলিত সম্প্রদায়ের অবিসংবাদিত নেতা ড. ভিমরাও আম্বেদকর। ভারতের সংবিধান অস্পৃশ্যতা নিষিদ্ধ করেছে। পৃথিবীর অনেক শ্রেষ্ঠ মানুষের জন্ম হয়েছে ভারতে। অথচ এই দেশটাতে কুৎসিত অস্পৃশ্যতার রীতিনীতি আছে। দলিত বর্ণের একজন মরে গেছে। তার লাশের শেষকৃত্য করতে চলেছে লোকেরা। কিন্তু উচ্চবর্ণের লোকেদের সাফ কথা। এই নিচু জাতের লাশ আমাদের জমি দিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। শেষমেশ পথ এড়ানোর জন্যে লাশটাকে বেঁধে ২০ ফুট নিচে নামতে হল। অপরাধ গুরুতর। মরা গরুর চামড়া ছাড়িয়েছে দলিত সম্প্রদায়ের সাত সদস্য। কিন্তু এই "পাপ" 'গো-রক্ষক' কমিটির সচেতন সদস্যরা সইতে পারেনি। নির্মমভাবে পিটানো হয় ছেলেগুলোকে। " আমাদের ছেলেদের নির্মমভাবে বেত মারার ঘটনার দুই বছর হলো। অথচ এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার কিছুই করলো...আমরা সুবিচার পাইনি এবং অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।" মার খাওয়া ছেলেদের বাবা বালু সারভাইয়া জানান। গুজরাতের গীর সোমনাথ জেলার দুটি গ্রামের তিনশরও বেশি ক্ষুব্ধ দলিত হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা নেন। মরা গরুর চামড়া ছাড়ানোর চেয়ে ঘোড়া চড়ার অপরাধকে ছোট করে দেখেন না গুজরাটের ওইসব উচ্চ বর্ণের অমানুষেরা। প্রদীপ রাঠোর ২১ বছরেই জীবন দিল। নিচু বর্ণের মানুষ হয়েও ঘোড়ার মালিক হওয়ার অপরাধে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ২০১৮ সালে। ২০১৪ সালে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর নিতিনকে হত্যা করা হয় উচ্চবর্ণের একটা মেয়ের সাথে শুধু কথা বলার অপরাধে। নিতিনের মা বলেছেন, যেভাবে পাগলা কুকুরকে মারা হয়, সেভাবে আমার ছেলেকে মারা হয়েছে। আর উচ্চবর্ণের মেয়ের সাথে বন্ধুত্বের অপরাধে রোহানের মাথা কেটে শরীরটা আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় ২০০৯ সালে। কেন তারা তাকে হত্যা করল? মেয়েটি মারাঠা এবং তারা মহর, এ কারণেই তার ছেলেকে হত্যা করেছে, "রোহানের মা বলেছিলেন। ২০০৯ সালে বাঘ পিম্পলগাঁওয়ে দুই জাতের মধ্যে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এসে লাঠি, তরোয়াল এবং লোহার রড দিয়ে উচ্চবর্ণের লোকদের বিক্ষুব্ধ জনতা ৬৯ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাভ গুরুজীকে হত্যা করা। সাগর শেজওয়াল নামে একজন ২৪ বছর বয়সী নার্সিংয়ের শিক্ষার্থী; ২০১৫ সালের মে মাসে শিরদির কাছে নয়জন মাতাল মারাঠা পুরুষের একটি দল তাকে হত্যা করে। আম্বেদকের প্রশংসায় সাগরের রিংটোনে একটি গান ছিল। মাতাল মারাঠারা ফোন রিংটোনটিতে আপত্তি জানায়। সাগর শেজওয়াল একজন মহর-বৌদ্ধ ছিলেন। পালওয়ঙ্কর বালু ছিলেন একজন ভারতীয় ক্রিকেটার, বাঁ-হাতি স্পিন বোলার। অস্পৃশ্যতার স্বীকার হন তিনি। উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সামনে পায়ের উপর পা তুলে বসায় দলিত গ্রামে চড়াও হয়ে তিন জনকে হত্যা করল সশস্ত্র বাহিনী। গুরুতর জখম ছ’জন। - আনন্দবাজার ২০১৮ ট্রাক্টর দিয়ে পিষে তিনজন দলিতকে হত্যা - দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া ২০১৫ নিম্নবর্ণের’ সহপাঠীর সঙ্গে প্রেম, মেয়েকে খুন করলেন বাবা -এনডিটিভি ২০১৯ নিম্নবর্ণ নিয়ে বিদ্রূপে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা ইন্ডিয়া টুডে ২০১৯ নিম্নবর্ণের বাড়িতে উচ্চবর্ণের আগুন, জীবন্ত দুই শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা ইন্ডিয়া টুডে ২০১৫ উচ্চবর্ণের মেয়ে বিয়ে করায় যুবককে কুপিয় হত্যা -ডয়েসেভেলে ২০১৬ শত শত নির্মম ঘটনার কয়টা শোনার ধৈর্য আমাদের আছে?

৪।কোরার এই অন্য উত্তর থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে।

https://qr.ae/পগহেচণ


Post a Comment

Previous Post Next Post