শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলেও, আওয়ামী লীগ জোর করে তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে চায় কেন?

 ধরুণ আজকের তারিখ ২৭.০৩.১৯৭১।সন্ধ্যে ৭টা বেজে ৩০ মিনিট।

আপনি রেডিওতে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনছেন। আমিও শুনছি।আমার প্রথম প্রশ্ন হবে- Who is Mr.Ziaur Rahman?? কোনো এক জ্ঞানীব্যক্তি হয়তো বলবেন তিনি পাকিস্তান মিলিটারির একজন অফিসার।

আপনার কি মনে হয় শুধুমাত্র এতোটুকু আমাকে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত করতে পারবে!!

এটা দিবালোকের মতো সত্য যে জিয়া নামক এক মানবসন্তান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন যিনি পরবর্তীতে সেক্টর কমান্ডার এবং দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় আপনি সেই ইতিহাসটুকু মনে করার চেষ্টা করছেন —যিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি মেজর জিয়াউর রহমান।

বচনভঙ্গি, ব্যক্তি পরিচয় কিংবা সামরিক অফিসার, এর কোনোটাই ঐ সময়ের বাঙালির জন্য প্রভাবক ছিলোনা যদিনা ঘোষণায় on behalf of Sheikh Mujibur Rahman এই কথার উল্লেখ না থাকতো।

মুজিব এখানে একটা ব্র্যান্ড, যে ব্রান্ডের নাম শুনে বাঙালি ঘর ছেড়ে যার যা আছে তাই নিয়ে নেমে পড়েছিলো। ঘোষণা এখানে একটা প্রোডাক্ট যা মুজিব নামের প্যাকেটে মোড়ানো ছিলো। জিয়াউর রহমান একজন বিক্রেতা যিনি চট্টগ্রাম কালুরঘাট রেডিও স্টেশনে এসে প্রোডাক্টটি বিক্রি করেন ।

ঠিক এই জায়গাতে আওয়ামীলীগ তাদের ব্র্যান্ড শেখ মুজিবের মার্কেটিং করতে গিয়ে সেলার জিয়াউর রহমানকে যাচ্ছেতাই বকেন। আর বিএনপি ব্র্যান্ডকে অস্বীকার করে সেলারকে ব্র্যান্ড থেকে এগিয়ে রাখেন।

আর আমরা আম জনতা কামড়াকামড়ি উপভোগ করি, যা শ্রেয়।অথচ মুজিব কিংবা জিয়া কেউই যুদ্ধব্যবসায়ী ছিলেন না, যেভাবে আমরা ব্যবসা করি।

আওয়ামীলীগ পরচর্চার সময় ভুলে যান জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন সফল সেক্টর কমান্ডার। বরং তাকে ঠেলতে ঠেলতে অবশেষে পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেন।

ওদিকে বিএনপি ভুলে যায় মুজিব আর জিয়ার দায়িত্ববোধটা দেশের প্রতি এক ছিলোনা কখনোই। মুজিব একটা গল্পগুচ্ছ, জিয়াউর রহমান তার বহুল পঠিত গল্প ছুটি। কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতার সাথে তার মৃত্যুর পরে একজন ডিরেক্টরের তুলনা করাটা নিছক ধৃষ্টতা।

লক্ষণীয় ব্যাপার এটাও যে, ৭১'র মুজিব বাংলাদেশিদের ,স্পেসিফিকলি বর্তমান আওয়ামীলীগের নয়।বঙ্গবন্ধু যে ১৬৭ আসন পেয়েছিলেন তা প্রায় সমগ্র বাংলাদেশ।বর্তমান বিএনপিও সেই মুজিবকে নিয়ে গর্ব করবার অধিকার রাখে।কেননা ৭০'র নির্বাচনে হয়তো বিএনপি নামের দল ছিলোনা তবে যারা এখন বিএনপি করেন তাদের পূর্বসূরিরা অবশ্যই সেই ১৬৭ আসনের ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত ছিলো তা বলা যায়।

আফসোস!! ছাত্রলীগ সমুদ্রসম মুজিবকে নদীসম করে ফেলেছে, আর ছাত্রদল তারই স্নেহাশিস জিয়াকে তার সমতুল্য করতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post