ইসলামের স্বর্ণযুগে মুসলিম নারীদের অবদান

 মরক্কোর ফেজ শহরে অবস্থিত ৮৫৯ খ্রীস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত আল-ক্বারাউইইন বিশ্ববিদ্যালয়টি পৃথিবীর প্রাচীনতম, উচ্চতর ডিগ্ৰি প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়, যার শিক্ষা কার্যক্রম এখনও চলমান। এটি কে স্থাপন করেন? ফাতিমা আল-ফিহরী নামের একজন আরব মুসলমান মহিলা।

আল-ক্বারাউইইন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তর

খ্রিস্টীয় ১০ম শতাব্দীতে কর্ডোবার লুবনা ছিলেন একজন নামকরা মহিলা পণ্ডিত ও গণিতজ্ঞ। তাঁর ব্যাকরণ ও কাব্য প্রতিভা ছিল অসামান্য। নিজ যোগ্যতায় তিনি কর্ডোভার খলিফা ২য় আল-হাকামের প্রধান সচিব পদে নিযুক্ত হন। লুবনা পাঁচ লক্ষাধিক বই সম্বলিত বিখ্যাত রাজকীয় গ্রন্থাগারেরও প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ছিলেন।

কর্ডোবার লুবনা

মারিয়াম আল-আস্তুরলাবী ছিলেন খ্রিস্টীয় ১০ম শতাব্দীর একজন মুসলমান মহিলা জ্যোতির্বিদ। তিনি অ্যাস্ট্রোল্যাব নামক যন্ত্রের ডিজাইন ও নির্মাণ করেছিলেন, যার সাহায্যে সূর্য ও গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান নির্ণয় করা হত। তাঁর সম্মানে ১৯৯০ সালে সৌরজগতের গ্রহাণুপুঞ্জের একটি গ্রহাণুর নামকরণ করা হয়েছে।

মারিয়াম আল-আস্তুরলাবী ও তাঁর অ্যাস্ট্রোল্যাব যন্ত্র

এরকম আরও অনেক মুসলমান নারীই ইসলামের স্বর্ণযুগে জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অবদান রেখেছেন। শুধু জ্ঞানবিজ্ঞান নয়, শাসনকার্য পরিচালনায়ও বহু মুসলমান নারী সে আমলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। প্রশ্ন হল, তাহলে তাঁদের নাম কিংবা অবদান আমরা তেমনভাবে জানি না কেন? এর উত্তর হচ্ছে, বিশ্বের সামগ্রিক ইতিহাস যেমন পুরুষতান্ত্রিক, ইসলামের ইতিহাসও তার ব্যতিক্রম নয়।

[ছবি ও তথ্যসমূহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত]

Post a Comment

Previous Post Next Post