হাদীসের নামে যত বিভক্তি, যত বিভ্রান্তি

 

হাদীসের নামে যত বিভক্তি, যত বিভ্রান্তি


হাদীসের নামে যত বিভক্তি, যত বিভ্রান্তি


আমরা বেশিরভাগ মানুষ ফরজ ওয়াজিব সুন্নত মুস্তাহাব মাকরুহ ও হারাম এককথায় যাবতীয় প্রচলিত পরিচিত ধর্মীয় রীতি রেওয়াজ এর বেশির ভাগেরই অন্যতম প্রধান ভিত্তি হচ্ছে হাদীস এবং ফিকাহ । হাদিসের আলোকে যেটাকে সুন্নত, মুস্তাহাব , মাকরুহ , বলা হচ্ছে ফিকাহর দৃষ্টিকোণ থেকে আবার সেটাকে ফরয-ওয়াজিব হারাম বলা হচ্ছে ।

টিভিতে অনলাইনে যত মাসলা মাসায়েলের অনুষ্ঠান দেখবেন বেশিরভাগ মসলার ভিত্তি হচ্ছে হাদিস এবং ফিকাহ এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হাদিস বলতে বুঝাচ্ছে বুখারি ,মুসলিম -তিরমিজি- আবু দাউদ- নাসাঈ- ইবনে মাজাহ - বাইহাকি- এসব হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হাদিস । এবং ফিকাহ মানে ইমাম আবু হানিফা -শাফি- মালেক - আহম্মদ ইবনে হাম্বল এর মত । কিন্তু এসব হাদীস বা ফিকাহ সিদ্ধান্ত পালনের বাদ্ধবাদকতা কতটুকু এসব হাদীস গ্রন্থের অনুমোদনের ভিত্তিক কারণ এসব হাদীস গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে নবীজির ইন্তেকালের কয়েকশো বছর পর ।

সুতরাং এটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত যে নবীজির আনুগত্য এবং তার সিরাত সুন্নতের অনুসরণ বাধ্যতামূলক ।
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।
 [ সুরা ইমরান ৩:৩১ ]
قُلْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَالرَّسُولَ فإِن تَوَلَّوْاْ فَإِنَّ اللّهَ لاَ يُحِبُّ الْكَافِرِينَ
বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না। [ সুরা ইমরান ৩:৩২ ]

>> কিন্তু নবীর সুন্নতের নির্ভুল নির্ভেজাল বিবরণ কেবলমাত্র কোরানেই আছে আমরা হাদিস বলতে নবীজির কথা কাজ এবং অনুমোদনকে বুঝি । নবিজি বলেছেন- কি করেছেন- কি করতে নিষেধ করেছেন- বা কি অনুমোদন দিয়েছেন ।
আল্লাহ নবীকে যা বলতে বলেছেন যা করতে বলেছেন বা জা করতে নিষেধ করেছেন তা ত কোরআন এই আছে ,
সূরা আল ইমরান এর এ ২ আয়াত এর শুরুতে কুল কোন শব্দটি এসেছে যার অর্থ আল্লাহ বলেছেন, হে নবী আপনি বলুন - কোরআনের কত গুলো আয়াত আছে যাতে আল্লাহ নবীকে বলতে বলেছেন- তেলাওয়াত করতে বলেছেন -আদেশ করতে ও নিষেধ করতে বলেছেন - শুধু কুল শব্দটি কতগুলো আয়াত এর শুরুতে এসেছে ধারণা করতে পারেন ( কুল) শব্দটি 332 বার আয়াতের শুরুতে এবং এরই ধারাবাহিকতায় নবিকে সাঃ কে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেছেন- আপনি এটা করুন এটা - করবেন না ।

এমন করেন- করবেন না- অনেক অনেক উদাহরন দেয়া যাবে কোরআন দিয়ে সুতরাং নবীজির কথা কাজ অনুমোদনের স্পষ্ট বিবরণ কোরআনেই আছে ।

সাহাবীরা হাদিস মুখস্ত করে রেখেছিলেন যা কয়েক জেনারেশন পরে ইমাম বুখারি -মুসলিম - তিরমিজি- ইত্যাদি ইমামরা তা সংগ্রহ করে সংকলন করেছেন ।
এই ঐতিহাসিক সত্য religious truth না
আপনাকে সহজ করে বলি ,
মনে করেন আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা এখনো অনেকে জীবিত তবে এর নির্ভেজাল সত্য যানা কঠিন । মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামীপন্থী মুক্তিযোদ্ধারা বই লিখেছেন -বিএনপিপন্থী মুক্তিযোদ্ধারাও লিখেছেন -গোলাম আযম নিজামী ও লিখেছেন- মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় ইন্ডিয়ান পাকিস্তানি জেনারেল সাংবাদিকরা লিখেছেন - ইউরোপ-আমেরিকার অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক শিক্ষক গবেষক কূটনৈতিক রাও লিখেছেন- সবাই যার যার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ও জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধকে মূল্যায়ন করেছেন - এখন আপনি কনটা সত্য বলে মানবেন । বা মানছে সবাই নিজ নিজ দলের বিশ্বাসে বিশ্বাসী । অপরের টা কেউ স্বীকার করতে চাচ্ছে না ।

religious truth মানে এটা তোমাকে বিশ্বাস করতেই হবে। তা আমার বোধগম্য হোক বা না হোক । যেমন আলিফ লাম মিম এর অর্থ কি জানি, না। কিন্তু এটা যে কোরআন এর অংশ তা অবিশ্বাস করার কোন সুযোগ নেই । এক বা একাধিক সাহাবির বরাদ দিয়ে ইমাম বুখারি বা মুসলিম যা বলেছেন তাকে নবীজির বক্তব্য হিসেবে বিশ্বাস করা । এবং এই সব হাদিস বা বক্তবকে কোন ধর্মীয় বিধি-নিষেধ এর একমাত্র ভিত্তি হিসেবে আমাদের religious obligation মধ্যে পড়ে ? আমাদের religious obligation কি ?

আমান্তু বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহি ও কুতুবিহি ওয়া রাসুলিহি>>>
আল্লাহর উপর বিশ্বাস- তার ফেরেশতাগণের উপর বিশ্বাস- তার কিতাব সমূহের উপর বিশ্বাস- এবং তাঁর রাসুলগণের উপর বিশ্বাস- কোরআনে উল্লেখ আছে এর বাইরে স্পেসিফিক কাউকে নবি হিসেবে বিশ্বাস করার কোন অবকাশ কি আছে । যে কয় জন ফেরেস্তার আসমানী কিতাবের উল্লেখ আছে এর বাইরে কোন কিছুকে অনুমোদনের একটি আর কারো আছে নবীজির হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবীর সংকলনকারী ইমামদেরকে কোরআন অনুমোদন দিয়েছে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু নামে আদও কোন সাহাবি ছিলেন এবং তিনি সত্য বাদি বিসস্ত ছিলেন এটা বিশ্বাস করা কি আমাদের ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে । যদি পরে তাহলে তো বলতে হবে >> আমান্তু বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহি ও কুতুবিহি ওয়া রাসুলিহি অয়াসসাহাবিদি অয়া আবু হুরাইরা অয়া ইমাম বুখারি অয়া সাফি অয়া ইমাম হাম্বলি আজমাইন  ইত্যাদি ।

পবিত্র কোরআন মাহফুজের সংরক্ষিত জিবরাঈল আল আঃ ছাড়া আর কোন অহি বাহক ফেরেস্তা নাই । যার উপাধি হচ্ছে জিবরাঈল আমিন । আমিন অর্থ সত্য বাদি বিশ্বস্ত । আল্লাহ্‌ সবচেয়ে বিশ্বস্ত ফেরেশতাকে নির্বাচন করেছেন । আর মানুষের কাছে আল্লাহর মেসেজ পৌঁছে দেয়ার জন্য একমাত্র মেসেঞ্জার অফ গড হচ্ছেন প্রফেট সল্লাল্লাহু সল্লাম । কখনো কি এমন হয়েছে যে নবীজী ঘুমাচ্ছিলেন অসুস্থ বা বেস্ত ছিলেন হযরত আয়েশা হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর কাছে দিয়ে গেছেন । কোরআনের কোন আয়াতকে হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত । না তাহলে তাদের বর্ণিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে অনেক ফরয-ওয়াজিব বা হারাম প্রচলিত যে কোরআনে ঘুনাক্ষরে উল্লেখ নেই । এমন কি লক্ষ লক্ষ্য তাবে - তাবেঈন দের কথা কাজ অ অনুমোদন ও হাদিস ।

বাংলাদেশের আহালে হাদিস এর সবচেয়ে বড় আলেমদের এক জন আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ বলেছেন প্রায় ৩ লাখ জাল হাদিস আছে । হাদীসের নামে জালিয়াতি ডঃ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার এর বই পরলে দেখবেন অনেক বহুল প্রচলিত হাদীস জাল ।

হাদিসের আরেকটি বড় ভিত্তি হিসেবে বিদায় হজের ভাষণ ট্রান্সক্রিপ্ট কে লিখেছেন জ্ঞান অর্জনের জন্য চীন দেশে যাও প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মহাদ্দিস্রা হাদীসগুলোকে জাল বা বানোয়াট হাদিস বলেছেন ।

হাদিসের বিশুদ্ধতা নির্ণয়এ বড় বড় মুহাদেস মুফতি দাবি দার দেরি গলদঘর্ম অবস্থা । এই যে হানাফি - শাফেয়ী- মালেকি - হাম্বলি - এত এত মাযহাব ও তরিকা ফেরকা এর ভিত্তিতে কি ? যে হাদিস একজন সহি বলছেন আরেকজন জাল বলছেন ।
শুধু জাল হাদিসই যদি হয় ৩ লাখ এর ভেতর থেকে জয়ীফ- হাসান -সহি- জাল হাদিস বের করা কেমন কঠিন ব্যাপার ।

এতো জাল হাদীস কারা তৈরি করল কেন তৈরি করল এসব হাদীসের ভিত্তিতে নতুন নতুন দল উপদল তৈরি । নতুন নতুন রিতি রেওয়াজ চালু নতুন নতুন বিধি-নিষেধ আরোপ করে স্বতন্ত্র মাজহাব প্রবর্তন । নতুন নতুন তরিকা দরবার রাজনৈতিক অর্থনৈতিক মতবাদ প্রবর্তন করা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন । আবার যাদের তরিকার স্বপক্ষে কোন হাদিস কমন পরেনি তারা অগত্যা জনৈক বাদশা জনৈক বুযুর্গের বরাত দিয়ে বহুত ফায়দা হাসিলের নানান কিচ্ছা কাহিনী বানিয়ে নিচ্ছেন যদিও এই জনৈক বুযুর্গের কোন নাম ঠিকানা পোস্টাল কোড ফোন নম্বর কিছুই নাই ।

আলেহাদিসের লোকেরা ফিক হি বিশ্লেষণ বাদ দিতে মাজহাব এর ইমামদের মত প্রত্যাখ্যান করেছেন । তারা কেবল কোরআন ও হাদীস পালনের পক্ষপাতী কিন্তু আলেহাদিসের সবচেয়ে বড় তিনজন পন্ডিত নাসিরুদ্দিন আলবানী ,আব্দুল্লাহ ইবনে উসাইবিন , আব্দুল আজিজ ইবনে বায এদের মধ্যে কমপক্ষে 400 বিষয়ে মতপার্থক্য আছে । এর কারণ কি? হাদিস কোনটা সহি কোনটা জাল । নবীজির ইন্তেকালের পরে মুসলিম বিশ্বের ক্ষমতা ও আধিপত্য নিয়ে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান বিষয়ক ইসলামের ইতিহাসে বহুমুখী বর্ণনা আছে । প্রথম চারজন খলিফা কে আমরা সুন্নি মুসলমানরা বিশ্বাস করি ।

যদিও শিয়া মুসলিম দের বিশ্বাস সম্পুন্ন উল্টা । খলাফায়ে রাশেদিনের পরে উমাইয়ারা প্রায় ১০০ বছর বিশ্ব শাসন করে । উমাইয়া বা ইয়াজিদরা ছিল সম্পুন্ন সেকুলার তারা বাইজেন্টাইনদে আদলে রিলিজিয়াস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ব্যবস্থা গড়ে তোলে এবং তারই অংশ হিসেবে শরিয়া আইন প্রণয়ন করেন । যা মূলত বর্তমান জননিরাপত্তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো ক্ষমতার নিরাপত্তায় ব্যবহার করা হয় । যা বর্তমান সৌদি আরব ইরান আফগানিস্তানের জনগণের মৌলিক অধিকার হরণের হাতিয়ার । এর আব্বাসিয় শাসন আমল ওসমানীয় শাসন আমল বা অটোম্যান সম্রাজ্জো । তারা কি সৎ সত্য বাদি ও বিশ্বস্ত ছিলেন । অব্বশই না । পারশ্য বা তুর্কিরা প্রশ্নয় উঠে না । ক্রুসেডের সময় মুসলমানদের বেশির ভাগ অঞ্চল খিস্টান্দের দখলে চলে যায় । এভাবে বহুবার বহুভাবে ক্ষমতার পালাবদল হয় ।
 
চেঙ্গিশ মঙ্গল গজনী কামাল পাশা পার্শিয়ান তুর্কেমেনিস্তান ধর্মের ঊর্ধ্বে কত কত রাজনৈতিক শক্তির উত্থান পতন। এ সময় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হয়। ধর্মবিশ্বাসকে ডিলিট করা হয় পলিউড করা হয় । সবাই নিজের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিধি বিধান প্রণয়ন করে আল্লাহর বিধান বলে চালিয়ে দেয় । কেউ বিরোধিতা করতে পারে না কারণ তা ধর্মের অবমাননা দণ্ডনীয় অপরাধ' । মোগলরা ছিলা শিয়া মুসলিম এর মধ্যে আকবর ত নিজেই দ্বীনে এলাহী নামে নতুন ধর্ম প্রবর্তন করেন । এমনকি নবাব আলি বদ্দি খান , সিরাজউদ্দৌলা, মোহাম্মদ আলি জিন্না , আল্লামা ইকবাল , শেখ সাদি , জালালুদ্দিন রুমি , আয়াতুল্লা খমেনি , এরাও শিয়া মুসলমান যাদের কে আমাদের সুন্নি আলেমরা মুসলমান- ই মনে করে না । শিয়াদের সাথে বিয়ে কেউ বৈধ মনে করে না ।
ইসলাম তো শুধু একটা ধর্মে নয় এটা একটা রাজনৈতিক শক্তি একটা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রাজনৈতিক অর্থনৈতিক স্বার্থ মানুষকে অন্ধ করে ফেলে ।

এখন আপনি হয়তো বলবেন সব হাদিস রাজনৈতিক অর্থনৈতিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নয় নতুন কিছু না করলে তো আপনার তরিকার দলই তৈরি হবে না । এবং বাকিদের গোমরা / বাতিল বলতে পারবেন না । এক তরীকার লোক আছে তারা হলুদ খায় না হলুদ দেয়া তরকারি টাকা দিলেও তারা কোন খাবার খাবে না ।

আরেক তরিকার লোকেরা স্যুট-টাই দাড়ি-টুপি সবমিলি্যে একেবারে সম্পূর্ণ লেটেস্ট ফিটেস্ট ব্লুটুথ বয় । এমন একেক তরিকায় একেক রেওয়াজ এই সব হচ্ছে মস্তাতাত্তিক বিভাজন । কেউ হানাফি মাজহাব কায়েম করে । কেউ মওউদুদি মাজহাব । কেউ আলহানি মাঝহাব । দিন শেষে দান বাক্সও, ডনেশন , বাইতুল মাল , ভোট চাই ভোটারে দোয়া চাই সকলের ।

সূরা আদ্ব-দ্বোহা - Surah Adh-Dhuha আয়াত 11
হাদিস কে বৈধতা দিতে যা কোরআনের এই আয়াত ব্যবহার করেন ।
وَأَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ
ওয়াম্মা বিনিয়ামাতি রাব্বিকা ফাহাদ্দিস
অর্থঃ এবং আপনার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা প্রকাশ করুন।
ফাহাদ্দিস থেকে হাদিস পাওয়া গেছে ।
কিন্তু এখানে ফাহাদ্দিস শব্দের অর্থ হল বর্ণনা করা / হাদিস নয় ।
হাদিস অর্থ > কথ বার্তা / বর্ণনা বা নেরেসন ।

সুরা লোকমান আয়াত ৬
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ
একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।
দেখুন এখানে لَهْوَ الْحَدِيثِ
লাহুয়াল হাদিস মানে > অবান্তর কথাবার্তা কিচ্ছা কাহিনী বা বানোয়াট গল্প বলা হয়েছে ।
ওয়াম্মা বিনিয়ামাতি রাব্বিকা ফাহাদ্দিস
অর্থঃ এবং আপনার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা প্রকাশ করুন।

Surah Adh-Dhuha আয়াত 11
এখানে পালনকর্তার নেয়ামতের কথা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে । বুখারি মুসলিম ইত্যাদি হাদিস নয় ।
প্রতিপালকের নিয়ামত হচ্ছে কোরআন শরিফ ( আবু দাউদ শরফ নয় )
কোরআনের সর্ব শেষ নাজিল কৃত আয়াত
الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا
আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।

সূরা আল মায়েদাহ আয়াত ৩
কোরআনের সমাপনি আয়াতে আল্লাহ্‌ বলছেন এই কোরআন -ই আমাদের জন্য আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত বা জীবন বিধান । যা সম্পূর্ণ এবং পরিপুন্ন ।

আমি অবশ্যই নবীজির হাদিস মানি কিন্তু নবীজির কথা কাজ এবং অনুমোদনের বিবরণ ত কোরআনে -ই আছে তা প্রমাণ করবে ইনশাল্লাহ । হাদিসের প্রয়োজনীয়তা উপযোগিতা নিয়ে যাবতীয় যুক্তি-প্রমাণের সারাংশ হচ্ছে এ যে কোরআনের সব কিছু ক্লিয়ার করে বলা হয়নি । কিন্তু এটা জলজ্যান্ত মিথ্যাচার । চলুন দেখে কোরআন কি বলছে ,

সূরা আল বাক্বারাহ আয়াত ২
ذَلِكَ الْكِتَابُ لاَ رَيْبَ فِيهِ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত।

আশ-শুআ'রা আয়াত ২
تِلۡکَ اٰیٰتُ الۡکِتٰبِ الۡمُبِیۡنِ
এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।

আন-নূর আয়াত ৩৪
وَ لَقَدۡ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکُمۡ اٰیٰتٍ مُّبَیِّنٰتٍ وَّ مَثَلًا مِّنَ الَّذِیۡنَ خَلَوۡا مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَ مَوۡعِظَۃً لِّلۡمُتَّقِیۡنَ
নিশ্চয় আমি তোমাদের কাছে নাযিল করেছি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ এবং তোমাদের পূর্বে যারা চলে গেছে তাদের দৃষ্টান্ত ও মুত্তাকীদের জন্য উপদেশ।

হা-মীম আস-সাজদা (ফুসসিলাত) আয়াত ৩
کِتٰبٌ فُصِّلَتۡ اٰیٰتُهٗ قُرۡاٰنًا عَرَبِیًّا لِّقَوۡمٍ یَّعۡلَمُوۡنَ
এক কিতাব, যার আয়াতগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যাকৃত, আরবী ভাষার কুরআন, জ্ঞানসম্পন্ন মানুষদের জন্য।
অর্থাৎ, হালাল কি এবং হারাম কি? অথবা আনুগত্য কি এবং অবাধ্যতা কি? কিংবা নেকীর কাজ কোন্গুলো এবং শাস্তি পেতে হয় এমন কাজ কোনগুলো?

সূরা আল আন-আম আয়াত ৩৮
وَ مَا مِنۡ دَآبَّۃٍ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَا طٰٓئِرٍ یَّطِیۡرُ بِجَنَاحَیۡهِ اِلَّاۤ اُمَمٌ اَمۡثَالُکُمۡ ؕ مَا فَرَّطۡنَا فِی الۡکِتٰبِ مِنۡ شَیۡءٍ ثُمَّ اِلٰی رَبِّهِمۡ یُحۡشَرُوۡنَ
আর যমীনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণী এবং দু’ডানা দিয়ে উড়ে এমন প্রতিটি পাখি, তোমাদের মত এক একটি উম্মত।
আমি কোন কিছু লিখতে ছাড়িনি। অতঃপর সবাই স্বীয় প্রতিপালকের কাছে সমবেত হবে।

সূরা নাহল আয়াত ৮৯
وَيَوْمَ نَبْعَثُ فِي كُلِّ أُمَّةٍ شَهِيدًا عَلَيْهِم مِّنْ أَنفُسِهِمْ وَجِئْنَا بِكَ شَهِيدًا عَلَى هَـؤُلاء وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ تِبْيَانًا لِّكُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً وَبُشْرَى لِلْمُسْلِمِينَ
সেদিন প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে আমি একজন বর্ণনাকারী দাঁড় করাব তাদের বিপক্ষে তাদের মধ্য থেকেই এবং তাদের বিষয়ে আপনাকে সাক্ষী স্বরূপ উপস্থাপন করব। আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ।

সুতুরাং কোরআনের সব কিছু ক্লিয়ার করে বলা হয়নি । কিন্তু এটা জলজ্যান্ত মিথ্যাচার ।

সূরা কাহফ আয়াত ১০৯
قُل لَّوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ أَن تَنفَدَ كَلِمَاتُ رَبِّي وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهِ مَدَدًا
বলুনঃ আমার পালনকর্তার কথা, লেখার জন্যে যদি সমুদ্রের পানি কালি হয়, তবে আমার পালনকর্তার কথা, শেষ হওয়ার আগেই সে সমুদ্র নিঃশেষিত হয়ে যাবে। সাহায্যার্থে অনুরূপ আরেকটি সমুদ্র এনে দিলেও।


যেমন একটা দেশের সংবিধান ছোট্ট একটা বই কিন্তু সংবিধানে প্রতিটা দেশের সর্বোচ্চ ময় । আপনি এক মিলিয়ন আইন বানাতে পারেন কিন্তু তার সংবিধানের সীমার বাইরে যেতে পারবেনা।ঠিক তেমনি আপনি এক বিলিয়ন বিধি বিধান প্রণয়ন করতে পারেন কিন্তু তা কোরআনের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারবেনা ।
 
কোরআন যেটাকে হারাম বলেনি সেটাকে হারাম বা যেটাকে বাধ্যতামূলক বলেনি সেটাকে আবশ্যকীয় বলার কোন সুযোগ নেই ।

সূরা ইউনুস 59 নম্বর আয়াত
বল-তোমরা কি ভেবে দেখেছ আল্লাহ যে রিযক তোমাদের জন্য পাঠিয়েছেন, তোমরা তার কতকগুলোকে হারাম আর কতককে হালাল করে নিয়েছ। বল, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এর অনুমতি দিয়েছেন? না তোমরা আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছ?

আপনি কোরআনের বহির্ভূত যাবতীয় রীতি রেওয়াজ ধর্ম থেকে বাদ দিলে ধর্মবিরোধী অভিযোগ ভিত্তিহীন হয়ে পড়বে কারণ যারা ধর্মের সমালোচনা করছে তারা মূলত ধর্মের নামে যেসব প্রচলিত চর্চা তার সমালোচনা করছে ।
আপনি অবশ্যই দাড়ি রাখতে পারেন পুরুষের সৌন্দর্য ব্যক্তিত্বের প্রতি দাড়ি রাখতে নিষেধ করা হয়নি টুপি-পাগড়ি পছন্দের হলে কোনো সমস্যা নেই । কিন্তু আপনি দাড়ি রাখা কি ফরজ না ওয়াজিব বা ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার মধ্যে ফেলতে পারেন না । কারণ কোরআনে দাড়ি রাখতে বলা হয়নি নবীজির দাড়ি ছিল বলে আমরা জানি কিন্তু আবুজেহেলের যেমন ছিল সব কাফের-মুশরিকদের ছিল ইহুদি ধর্মের লোকেরা সময়ের আবর্তে দাড়ি রেখেছেন ।

আমি রেফারেন্স দিয়েছি আপনারা বিস্তারিত চেক করে দেখবেন ।
কোরআনে ফরজ হারাম পাপ-পুণ্য পানিশমেন্ট বেহেশত ও দোযখ এমন কোনো শব্দ দিয়ে আল্লাহ্‌ বলে দিয়েছেন । যা করতেই হবে না করলে শাস্তি পেতে হবে । আবার কি করলে তার জন্য কি পুরষ্কার রয়েছে । তা কোরআনে স্পস্ট করে বলে দিয়েছেন্ন ।

তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে , সুদকে হারাম করা হয়েছে বা 'কুতিবা আলাইকুমুস সিয়াম' তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে এমন শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে যেগুলো শাস্তিযোগ্য অপরাধ সেখানে পাপকাজ ঘৃণ্য শয়তানের কাজ যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি অপমানজনক শাস্তি জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করা ।

এ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে জান্নাত থেকে পুরস্কৃত হওয়া উত্তম প্রতিদান এমন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে সূরা ইউনুস আয়াত 59 হে নবী আপনি বলুন আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে আপনি কোন কিছুকে হালাল এবং কোন কিছুকে হারাম বলার কোন সুযোগ আছে বলুন আল্লাহ আপনাকে সে অনুমতি দিয়েছে না আপনি আল্লাহর নামে কিছু বানিয়েছেন ।

সুতরাং তা হালাল বা হারাম বলার কোনো অবকাশ নবীকেও দেয়া হয়নি । আমাদের বেশির ভাগ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই বোন খুবই আশাহত হবেন বেহেশত ও দোযখ পুরস্কার এর সাথে সম্পর্কিত কার্যক্রমের তালিকা দেখলে কারণ তারা দিনভর বেহেশতের চাবি বানানোর দোযখ এর  আগুন নেভানোর জন্য যা যা করেন তার বেশিরভাগই কোরআন অনুমদনের সিলেবাসের বাইরে ।

সূরাঃ আল-আন'আম ১১৪
আমি কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে বিচারক হিসেবে তালাশ করব? অথচ তিনিই তোমাদের নিকট বিস্তারিত কিতাব নাযিল করেছেন। আর যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছিলাম তারা জানত যে, তা তোমার রবের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে নাযিলকৃত। সুতরাং তুমি কখনো সন্দেহকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।

একজন বলবেন এই হাদিস সহি এটা নামলে সে কাফের আরেক জন বলবে এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট হাদিস সে জাহেল শেষ পর্যন্ত আমার হুজুর পীর যেটাকে সহি বলবে সেটাই আমার কাছে সহি । তব বিচার বিশ্লেষণের পর যে হাদীসগুলো সর্বসম্মতিক্রমে বিবেচিত তা আমরা সাধারণত ঐতিহাসিক সত্য হিসেবে মানতে পারি । কিন্তু কেবলমাত্র সেসব হাদীসের ভিত্তিতে ফরয-ওয়াজিব হারামের বিধান আরোপ করা কোরআনের পরিপন্থী এবং কোরআনের সাথে শরিক করার শামিল বলে আমি মনে করি । এখন অয় ত বলবেন , এত বড় বড় আলেম , মুফতিরা সারাজীবন লেখাপড়া করে কি সত্য উতঘাটন করতে পারেনি । কারো জীবনের সারাজীবনএর লেখাপড়া সত্যের মাপকাঠি নয় ।

অনেক বড় বড় জ্ঞানী রা সারাজীবন পড়াশোনা করেও কোরআনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না হাদিস তো পরের বিষয় । সারাজীবন পড়াশোনা করে হিন্দু ধর্মের পন্ডিত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে বাবরি মসজিদ রাম মন্দির ছিল এবং ভগবান রামের জন্মস্থান যদিও তাদের কাছে কোন এভিডেন্স নেই ।

ইরানের আয়াতুল্লাহ রা সারাজীবন পড়াশোনা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে কালেমার সাথে আলী অলিউল্লাহ না পড়লে এবং আবু বকর ওমর ওসমান সহ তাদের অনুগত সাহাবীদের কাফের বিশ্বাস না করলে আপনি মুসলমাননি না । আস্তাগফিরুল্লাহ  সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাপকাঠি নয় । আপনি অন্ধভাবে অনুসরণ করে পথভ্রষ্ট হবে ।

সূরাঃ ৬/ আল-আন'আম আয়াত ১১৬
তুমি যদি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের অনুসরণ কর তাহলে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে ফেলবে, তারা তো কেবল আন্দাজ-অনুমানের অনুসরণ করে চলে, তারা মিথ্যাচার ছাড়া কিছু করে না।
আমাদের বেশিরভাগ মানুষই বৃত্তের বাইরে পরিচিত দিগন্তের বাইরে ভাবতে চায় না তারা 50 বছর ধরে ছুটছে কিন্তু 50 মিনিট বসে ভাবতে চায় না কেন ছুটছে এই বেশিরভাগের পছন্দ অনুযায়ী কথা বলতে পারলে আপনি অনেক সম্মান পাওয়ার যোগ্য ।

এই লেখা আমি তাদের জন্য লিখছি যারা গভীর মনোযোগী এবং মাথা খাটাতে আগ্রহী


কোরান শরিফ নিয়ে কবি শঙ্কর দয়াল শর্মার হিন্দি ভাষায় লিখা কবিতা।
[ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও হিন্দি ভাষার খ্যাতিমান কবি]
শঙ্কর দয়াল শর্মা (জন্ম ১৯ আগস্ট ১৯১৮ - মৃত্যু ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৯) ভারতের নবম রাষ্ট্রপতি। তিনি ২৫ জুলাই ১৯৯২ থেকে ২৫ জুলাই ১৯৯৭ পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন ।
(বাংলা অনুবাদ নিম্নে দেয়া হল)
কুরআন শরিফ
আমল করার কিতাব ছিলো,
দোয়ার কিতাব বানিয়ে দিয়েছো।
অনুধাবন করার কিতাব ছিলো,
পাঠের কিতাব বানিয়ে দিয়েছো।
জীবিতদের জীবনবিধান ছিলো,
মৃতদের ইশতাহার বানিয়ে দিয়েছো।
যেটা ছিলো জ্ঞানের কিতাব,
মূর্খদের হাতে ছেড়ে দিয়েছো।
সৃষ্টির জ্ঞান দিতে এসেছিলো এটা,
স্রেফ মাদ্রাসার পাঠ্য বানিয়ে দিয়েছো।
মৃত জাতিদের বাঁচিয়ে তুলতে এসেছিলো এটা,
মৃতের জন্যে দোয়ার কাজে লাগিয়ে দিয়েছো।
হে মুসলমানেরা, এ তোমরা কী করেছো?
হিন্দি ভাষায়
কোরান শরিফ
আমল কি কিতাব থি,
দুয়া কি কিতাব বনা দিয়া।
সমঝ্নে কি কিতাব থি,
পড়নে কা কিতাব বনা দিয়া।
জিন্দাওঁ কা দস্তুর থা,
মুর্দাওঁ কা মনশুর বনা দিয়া।
জো ইলম্ কি কিতাব থি
উসে লা-ইলমোঁ কে হাথ থমা দিয়া।
তশখীর-এ-কয়েনাৎ কা দর্স দেনে আয়ি থি,
সির্ফ মদ্রাসোঁ কা নিসাব বনা দিয়া।
মুর্দা কওমোঁ কো জিন্দা করনে আয়ি থি,
মুর্দোঁ কো বখশ্ওয়ানে পের লগা দিয়া।
অয় মুসলমানোঁ, ইয়ে তুম নে ক্যা কিয়া?
কেন এই কবিতা? করোনা কেন?
মহাপ্রভু আমাদের সৃষ্টিকর্তা পালনকর্তা আল্লাহ, পৃথিবীর প্রথম মানব আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আ:) কে তাঁর প্রতিনিধি (খলিফা) করে সৃষ্টিকরে সেই জান্নাত থেকে (সুখময় অন্য জগতের গ্রহ) আমাদের আদি মাতা হযরত হাওয়া (আ:)সহ দু:খময় পৃথিবী নামক এই গ্রহে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেন।তার বংশধর মানবজাতিকে পরিচালনার জন্য ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনে আরো বহু ম্যাসেন্জার (রাসুল) পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।কোন কোন নবীর কছে মানবজাতির পরিচালনার জন্য গাইড বইও প্রেরণ করেছেন। এভাবে যুগোপযোগী করে সর্বমোট ১০৪ খানা আসমানী কিতাব প্রেরণ করেছেন।

মানবজাতির জন্য সর্বশেষ রাসুল (ম্যাসেঞ্জার) হলেন ১৪০০ বছর আগে অর্থাৎ ৫৭০ খৃষ্টব্দে আরবে জন্মগ্রহনকারী সর্বশ্রেষ্ট মহামানব আলআমিন হযরত মুহম্মদ (স:) এবং তার কাছে প্রেরিত সর্বশেষ আসমানী কিতাব হল মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। পৃথিবীর শেষ সময় বা কিয়ামত পর্যন্ত এই গ্রন্থ মানবজাতির একমাত্র চলার পথের সার্বিক বিধান। এই বইতে আছে সৃষ্টির অতীত ঘটনাবলী, ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা, আছে আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক তথ্য। এই কুরআন পড়ে মর্মার্থ অনুধাবন করে ভারতের প্রাক্তন নবম রাষ্ট্রপতি পন্ডিত শঙ্কর দয়াল শর্মা (১৯ আগস্ট ১৯১৮ - ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯৯। তিনি ২৫ জুলাই ১৯৯২ থেকে ২৫ জুলাই ১৯৯৭ পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন) হিন্দি ভাষার উপরের কবিতাটি লিখেন। যার ভাব এবং কার্যকারিতা এখনও অম্লান।

আল্লাহর বিধিমত না চলে নিজের মনগড়া পথে (অত্যাচারী, অহংকারী, পরের ক্ষতিকারী, হিংসাকারী, পরকালের সাথে সম্পর্কবিহীন) চলার কারণে আজকে করোনা নামক আল্লাহর গজব পৃথিবীতে এসেছে-পৃথিবীবাসীকে শুধরাবার জন্য, সৃষ্টিকর্তার দাস বা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বপালনের তাগাদা দেয়ার জন্য। এবং পরিশেষে কুরআনের নির্দেশনা মেনে চলে শেষ বিচারের দিনে নাযাত (মুক্তি) পেয়ে আদি নিবাস জান্নাতের বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ নেয়ার জন্য।
মন্তব্যঃ এতো সুন্দর এবং যুক্তিসংগত কবিতা যিনি লিখলেন তিনি কেন ইসলাম গ্রহণ করলেন না??? ইসলামের এতো কাছে এসেও ইসলাম কবুল না করে কাফের অবস্থাতেই ১৯৯৯ সালে মৃত্যুবরণ করে চিরস্থায়ী জাহান্নামের অধিবাসী হলেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post