ধর্মের চেয়ে আগাছা বেশী !

ধর্মের চেয়ে আগাছা বেশী !


কোরআনের আলোকে আমাদের প্রতিদিনের ধর্মচর্চায় নানা অসঙ্গতি নিয়ে আজকের লেখা । ধর্মের অপব্যাখ্যা এবং ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য সামনে আনার চেষ্টা । আমাদের অনেক আত্মীয় বন্ধুবান্ধব পরিচিত অপরিচিত অনেকেই ধর্মের দিকে ঝুঁকছে । আলহামদুলিল্লাহ । 


কিন্তু এদের মধ্যে অনেকেই অরিজিনাল উৎস ( কোরআন )  থেকে ধর্মকে না জানার কারণে বা প্রকৃত সত্য যাচাই করতে না পারার কারণে বা তার প্রয়োজন বুঝতে না পারার কারণে। বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠীর অন্ধ অনুসরণ করে তারা ধর্মের নামে যে বুঝিয়ে দিচ্ছে তাই চিন্তা-গবেষণা ছাড়াই প্রচার করছে বা মানছে ।

যার কাউন্টার ইফেক্ট হিসেবে ধর্ম সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হচ্ছে।  নাস্তিকেরা ইসলাম সম্পর্কে তাদের যত অভিযোগ তা বেশিরভাগ আসলে ইসলামের সাথে সম্পর্কিতই না । কিন্তু অনেক ধর্মপ্রচার এর পক্ষে অদ্ভুত হাস্যকর যুক্তি দিচ্ছেন অথচ বেশিরভাগ প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে এই সব ধর্মের অংশই নয় ।  

প্রতিটি ধর্মের মূল গ্রন্থ গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করলে দেখবেন মু্ক্তচিন্তা প্রগতিশীলতা পরমতসহিষ্ণুতার মানবিক মূল্যবোধের কথা সবচেয়ে বেশি ধর্ম গ্রন্থে বলা হয়েছে। কিন্তু যারা ধর্মের দোকান খুলে বসেছেন তারা আপনাকে ধর্মের প্রকৃত সত্য জানতে দিবে না । আপনাকে চিন্তা-গবেষণা করতে দিবে না । আপ্নাকে বিভিন্ন কৌশলে দূরে শরিয়ে রাখছে ।  অথচ আল্লাহ কুরআনে বলছেন 

সূরা আনফাল আয়াত ২২ 
إِنَّ شَرَّ الدَّوَابَّ عِندَ اللّهِ الصُّمُّ الْبُكْمُ الَّذِينَ لاَ يَعْقِلُونَ
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির, যারা উপলদ্ধি করে না।

لاَ يَعْقِلُونَ 
মানে যারা তার নিজের আকল কে ব্যবহার করেনা । আল্লাহ্‌ মানুষকে চিন্তা বা গবেষণা / ভাল মন্দ বিচার করার জন্য একটি মস্তিষ্ক দিয়েছেন । যারা এর সঠিক ব্যবহার করে না ।  তারা সুধু মানুষের মধে নয় সকল প্রাণী কুলের মধ্যে নিকৃষ্ট জিব । 

আমি হাদিস, ইসলামের ইতিহা্স,‌ ফাজায়েলে আমল, ফিকাহ, কোন কিছুই অস্বীকার করি না । আপ্নাকেও করতে বলছি না । আপনাকে দাড়ি, টুপি , ‌ হিজাব, নেকাব ‌ বা প্রচলিত ধর্মীয় রীতি রেওয়াজ পালনীয় নিরুৎসাহিত ও করছি না ।

আমি শুধু প্রপরশনালিটি বোঝানোর চেষ্টা করছি তুলনামূলক উদাহরণ দিয়ে যেমন  তরকারিতে লবন দিতে হবে একথা তো নতুন করে বলার কিছু নাই এখন এক কেজি মাংস 3 কেজি লবণ দিয়ে আপনি কি মাংস রান্না করছেন নাকি লবণ রান্না করছেন । কোনটা?  কোনটা এক্সট্রা কারিকুলাম একটিভিটিস সেটা বোঝানোর চেষ্টা করছি আমি । 

আমি পরিষ্কার কোরআন থেকে রেফারেন্স দিচ্ছি। যাতে নবীদের সুন্নাত এর বিশদ বর্ণনা আছে। নবীজির নামে কথিত হাদিস কোরানের কোন আয়াতের মাধ্যমে অনুমোদন দিয়েছে ।  কোরআনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ অতিরঞ্জিত আইম্মায়ে মুজতাহিদীন আলেমদের সমালোচনা কে স্বাগত জানাই কিন্তু তা হতে হবে অথেন্টিক রেফারেন্স ভিত্তিক।  

কোরানের বাইরে অতিরিক্ত কোনো নির্দেশনা নবীজির জন্যওত নাজিল হয়নি । কোরআন থেকে খুব সহজেই অনুমান করা যায় ।
যেমন 
সূরা আহযাবের 50 নং আয়াতে নবীজির জন্য বিশেষ বিধান দিয়ে বলা হয়েছে শুধু তোমার জন্য মুমিনদের বা অন্যান্যদের জন্য নয় । এবং কি সে বিধান আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয় ।

সূরা আহযাবের 50
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَحْلَلْنَا لَكَ أَزْوَاجَكَ اللَّاتِي آتَيْتَ أُجُورَهُنَّ وَمَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ مِمَّا أَفَاء اللَّهُ عَلَيْكَ وَبَنَاتِ عَمِّكَ وَبَنَاتِ عَمَّاتِكَ وَبَنَاتِ خَالِكَ وَبَنَاتِ خَالَاتِكَ اللَّاتِي هَاجَرْنَ مَعَكَ وَامْرَأَةً مُّؤْمِنَةً إِن وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ إِنْ أَرَادَ النَّبِيُّ أَن يَسْتَنكِحَهَا خَالِصَةً لَّكَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ عَلِمْنَا مَا فَرَضْنَا عَلَيْهِمْ فِي أَزْوَاجِهِمْ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ لِكَيْلَا يَكُونَ عَلَيْكَ حَرَجٌ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

উপাধ্যায় নবীজির সাহাবীদের বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে দেয়ার প্রয়োজন ছিলনা ১৪০০ বছর পরের মানুষদের জন্য এসব বিধান প্রাসঙ্গিকই না । কারন এখন নবিও নাই নবির পরিবার ও নাই ।  এটা শুধু নবীজিকে আল্লাহ  জানিয়ে দিলেই হতো আর নবীজি সাহাবীদের বলে দিতেন । 

হাদিস নিয়ে পরের পর্বে ধারাবাহিকে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো ।

আমার সব লেখা বা বলার পিছনে সব খানে কোরআন থেকে রেফারেন্স দেওয়াতে অনেকে আমাকে বলে আমি নাকি আহালে কোরআন । আচ্ছা আমি যা বলি তা কি আমার নিজের কথা আমি যা বলি তা ত কোরআন এর কথা ।

সূরা আয-যুমার, ৩৯/২৩।
আল্লাহ অবর্তীণ করেছেন সর্বোত্তম (হাদীস) বাণী সম্বলিত সামঞ্জস্য পূর্ণ একটি কিতাব যা পুনরাবৃত্তি হয়, যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের গা এতে শিউরে ওঠে তারপর তাদের দেহ ও মন আল্লাহর স্মরণে প্রতি বিনম্র হয়ে যায়; এটিই আল্লাহর হেদায়াত, তিনি যাকে চান তাকে এর দ্বারা হেদায়াত দান করেন আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্য কোন পথ প্রদর্শক নেই।

সূরা ইউসুফ, ১১১
অতএব, কুরআন মনগড়া হাদীস নয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ সুবহানুতালা পবিত্র কুরআনে বলেছেনঃ-
لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لأولِي الألْبَابِ مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَى وَلَكِنْ تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
অবশ্যই তাদের বৃত্তান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্য শিক্ষা, এটা (কুরআন) কোন মনগড়া (হাদীস) বাণী নয়, বরং পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী এবং প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ আর হেদায়াত ও রহমত ঐসব লোকদের জন্য যারা বিশ্বাস স্থাপন করে।

এখন কোরআন নিয়ে হাদিসের বানি দেখেন,
আবূ উমামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, তোমরা কুরআন পাঠ কর। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে।
(মুসলিম ১৯১০)

জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, এই কুরআন (কিয়ামতে) সুপারিশকারী; তার সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে। (কুরআন) সত্যায়িত প্রতিবাদী। যে ব্যক্তি তাকে নিজ সামনে রাখবে, সে ব্যক্তিকে সে জান্নাতের প্রতি পথপ্রদর্শন করে নিয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি তাকে পিছনে রাখবে, সে ব্যক্তিকে সে জাহান্নামের দিকে পরিচালিত করবে।
(ইবনে হিব্বান ১২৪, সহীহ তারগীব ১৪২৩)

ইবনে মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি চায় যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে (অধিক) ভালবাসুক (অথবা আল্লাহ ও তাঁর রসূল তাকে ভালবাসুন), সে যেন কুরআন দেখে পাঠ করে।
(বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ২২১৯, সিলসিলাহ সহীহাহ ২৩৪২)

উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিখে অপরকে শিক্ষা দেয়।
(বুখারী ৫০২৭-৫০২৮)

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানবমণ্ডলীর মধ্য হতে আল্লাহর কিছু বিশিষ্ট লোক আছে; আহলে কুরআন (কুরআন বুঝে পাঠকারী ও তদনুযায়ী আমলকারী ব্যক্তিরাই) হল আল্লাহর বিশেষ ও খাস লোক।
(আহমাদ ১২২৭৯, নাসাঈ, বাইহাক্বী, হাকেম, সহীহুল জামে ২১৬৫)

আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কুরআন পাঠকারী মুমিনের উদাহরণ হচ্ছে ঠিক বাতাবী লেবুর মত; যার ঘ্রাণ উত্তম এবং স্বাদও উত্তম। আর যে মু’মিন কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক খেজুরের মত; যার (উত্তম) ঘ্রাণ তো নেই, তবে স্বাদ মিষ্ট। (অন্যদিকে) কুরআন পাঠকারী মুনাফিকের দৃষ্টান্ত হচ্ছে সুগন্ধিময় (তুলসী) গাছের মত; যার ঘ্রাণ উত্তম, কিন্তু স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক মাকাল ফলের মত; যার (উত্তম) ঘ্রাণ নেই, স্বাদও তিক্ত।
(বুখারী ৫০২০, মুসলিম ১৮৯৬)

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পবিত্র কুরআনের পাঠক, হাফেয ও তার উপর আমলকারীকে (কিয়ামতের দিন) বলা হবে, তুমি কুরআন কারীম পড়তে থাক ও চড়তে থাক। আর ঠিক সেইভাবে স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে পড়তে থাক, যেভাবে দুনিয়াতে পড়তে। কেননা, (জান্নাতের ভিতর) তোমার স্থান ঠিক সেখানে হবে, যেখানে তোমার শেষ আয়াতটি খতম হবে।
(আবূ দাঊদ ১৪৬৬, তিরমিযী ২৯১৪, হাসান)

এবার জেনে নিন হাদিস গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রধান শর্ত কি ?
১। তা কোরআনের বক্তবের বিরুধি বা সাংঘসিক বা অসামানজস্য হতে পারবেনা ।
২। তা প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক ধারণা পরিপন্থী হতে পারবে না ।

এখানে বিজ্ঞান মানে বিশেষ জ্ঞান বা গবেষণা লব্ধ প্রমানিত জ্ঞান ।
সক্রেটিস বা রবীন্দ্রনাথের দর্শন যদি আমাদের সময় অপ্রয়োজনীয়' হতো তবে আমরা তাদের নাম জানতাম না । কিন্তু তাদের চিন্তা-দর্শন কালের সীমা ছাড়িয়েছে কারণ আমরা আমাদের যুগের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজে লাগাতে পারছি ।

ফিলিপ কটলার কে আমরা মার্কেটিং এর জনক হিসেবে চিনি বা জানি । অথচ সেই ফিলিপ কটলার বলছেন মার্কেটিং এর জনক নাকি এরেস্টটল । প্রফেসর কটলারের মতে তিনি অ্যারিস্টোটলের ধারণাকে যুগোপযোগী করে উপস্থাপন করেছেন মাত্র। 

সর্বযুগের জন্য নাযিলকৃত কোরআন কাল উরতিন্ন হবে তখন , যখন এ কোরআনকে আমরা আমাদের যুগের জ্ঞান অনুযায়ী ব্যাখ্যা করতে পারব । 

কালোজিরায় মৃত্যু-ছাড়া-সর্বপ্রকার-রোগ-থেকে-মুক্তি-লাভ আছে এটা শুধু আধুনিক যুগের  প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা পদ্ধতির পরিপন্থী নয় । ১৪০০ বছর আগের চিকিৎসা পদ্ধতিরও পরিপন্থী । তাই এমন অযৌক্তিক অবৈজ্ঞানিক কথাও নবিজি নিজে বলতে পারেনা । 

সুতরাং এটা হাদীস হিসেবে ডিসকোয়ালিফাইড। বাতিল । 

আবার দেখুন সহিহ বুখারি ৫৭৭৯ হাদিস
ভরবেলা ( আজওয়া) ৭ টি খেজুর খেলে সে দিন যদি সে বিষ ও পান করে । সেই বিষ তার কন ক্ষতি করতে পারবেনা । 

এই হাদিস দিয়ে এটা আপনার খেজুরের বিক্রি বাড়াতে সহায়তা করলেও এর নূন্যতম বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই । 
সুতরাং আমি বিশ্বাস করি এটা নবীজির নামে মিথ্যাচার ।

কয়েকজন শায়খুল হাদীস বন্ধুর ফেসবুক ওয়ালে কিছু দিন আগে এমন একটা পোস্ট দেখছি যে খ্রিস্টানদের সাথে একটা বিতর্কে ।  একজন ইসলামিক স্কলার প্রকাশ্যে বিষ পান করেন আজওয়া খেজুর সংক্রান্ত হাদিস এর সত্যতা প্রমাণের জন্য  । যারা এ ক্যাপশন সর্বস্ব পোষ্ট শেয়ার করছেন তারা এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করে নিন । এ ন্যূনতম চিন্তাভাবনা করেননি যে বৃটেনের মতো দেশে জনসম্মুক্ষে বিষপান আদৌ সম্ভব কিনা ।

কুরআনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ সকল মানদন্ডে উতিন্ন কোরআনের ব্যাখ্যা হিসেবে বিবেচিত প্রকৃত হাদিসের সংখ্যা কত উত্তর প্রায় 3000 প্রকৃত সাইজ হবে কোরআনের অর্ধেক ।

আমার হাদিস তাফসির নিয়ে পরবতটিতে পোস্ট করবো হাদীসগুলোর আলোচনা করলে সেখানে দেখবেন আমি হাদিস বিরুধি কিছুই বলি না ।

বর্তমান বাজারে হাদিস আছে প্রায় ৩৫ লক্ষ আবার এ শুধু সুন্নিদের হাদিস ।

শিয়াদের হাদিস আবার ভিন্ন । এরকম বিভিন্ন তরীকা বা মাজহাব যার যার আলাদা আলাদা হাদিস এর সিলেকশন আছে । 

হাদিসের সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার স্বার্থ অনুযায়ী সেটাকে সহি বা জাল বলতে পারবেন । যেটা কোরআন এর বেলাতে সম্ভব না ।
 
এত হাদিস কারা মেনুফেকচার করলো । ধর্মের দোকান দাররা দুনিয়ার বড় বড় মুহাদ্দিসরা সবাই এক মত উপমহাদেশে জাল হাদিসের সংখ্যা কয়েক লক্ষ । কিন্তু কোন হাদিস গুলো জাল সে বিষয়ে অবশ্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসরা এখন ও একমত হতে পারেননি ।

হাদিসের যেহেতু সত্যতা নিরূপণের জটিল ব্যাপার থাকে তাই কোয়ালিফাইড মুহাদ্দেস ব্যতীত যে কেউ যত্রতত্র হাদিস বর্ণনা করতে পারবে না। এটা হাদীস বর্ণনার একটা শর্ত । ঠিক যেমন কোয়ালিফাইড ডাক্তার ছাড়া যে কেউ চিকিৎসা করতে পারবে না ।  কিন্তু ফেসবুকে এখন মাশাল্লাহ সবাই কপি পেস্ট মুহাদ্দেস . 

আমি কাউকে হাদিস না মানতে নিরুৎসাহিত করছি না ।আমি কাউকে নামাজে নিরুৎসাহিত করছিনা । 
প্রচলিত ফেরকা বাজানো জাল হাদিস নিয়ে ভুল ভাঙ্গানোর জন্য লিখছি । শুধু বোঝানোর চেষ্টা করছি কোরআনে কি বলা হয়েছে কেন হয়েছে যাতে আপনি নিজস্ব চিন্তা গবেষণার আলোকে উপলব্ধি করতে পারেন ।

কোরআনের সালাত ধারায় কি বলা হয়েছে কেন হয়েছে যাতে আপনি নিজস্ব চিন্তা গবেষণার আলোকে উপলব্ধি করতে পারেন । নামাযের প্রটোকল কি হওয়া উচিত আল্লাহ যেহেতু কোনো বিশেষ পদ্ধতি নির্ধারিত করে দেননি । তাই যে যে ভাবে সালাত আদায় করছেন কারোটা কেউ ভুল বলার এক্তিয়ার নাই ।

অনেকে বলে আমাদের প্রচলিত নামাজের বিবরণ হাদিসে আছে , এখন তাকে যদি বলেন হাদিস গুল দেন আমি পরি । দেখবেন আমাদের সালাতের বিবরণ হাদিস আছে এমন হাদিস তারাও দিতে পারবে না । 

আমরা সালাত পরি সাহাবী আজমাইনদের ইজমা আইম্মায়ে মুজতাহিদীন ও আলেমদের ফতোয়া এবং কথিত চিরন্তন শরিয়াভিত্তিক । সাহাবী আজমাইনদের ইজমা মানে সকল সাহাবীর ঐকমত। কবে কখন কোথায় কোন বিষয়ে নবীজির সাহাবীরা একমত হয়েছেন তা ভেরিফাই করার যেহেতু কোনো সুযোগ নেই ।

সুতরাং সাহাবী আজমাইনদের ইজমাই একটি বম্বাস্টিক আরবি ( হাই সাউন্ডিং) বলে দিলাম বাছ পাবলিক চুপ ।

কোনভাবে যদি আপনি প্রধান সাহাবিদের সম্মিলিত নথি উদ্ধার করতে পারেন। বা হয় কনদিন  তাহলে দেখবেন আমাদের নামাজের বিবরণ সেখানেও নাই । তাহলে আইম্মায়ে মুজতাহিদীন ফেকাহ / এই হাই সাউন্ডিং আরবি শব্দটির অর্থ হচ্ছে, ইমামগণ যারা ইস্তেহাদ বা গবেষণা করে আমাদেরকে ধর্মের একটি রেডিমেট ফর্মুলা দিয়ে গেছে। 

যেমন আমরা হানাফী মাজহাবে নামাজ পরি । কিছু দিন পরে ইমাম সাফি এসে বললেন তোমাদের নামাজ-রোজা কিছুই হয়না । নামাজ কেমনে পড়তে হবে । এই মর্মে উনি আবার একটা বই লিখবেন ।

এখন সেটা হানাফিরা গ্রহণ করেনি । এবার তার পরে নাসিরুদ্দিন আলবানী এসে বললেন তোমাদের কারো টাই হবেনা নামাজ পড়তে হবে নবীজি যেভাবে পড়েছেন । ভালো কথা তো নবীজী কিভাবে পড়েছেন এ প্রসঙ্গে নাসিরুদ্দিন আলবানী উনি একটা বই লিখলেন,  অর্থাৎ দিন শেষে উনি ইমাম আবু হানিফার কাজটাই করলেন।  

আহলে হাদিসের লোকেরা সেই বই অনুযায়ী নামাজ পড়ে যা কার্যত আলবানী মাযহাব । হাদিস অনুযায়ী নামাজ পড়লে হাদিসেই ত আছে বা থাকার কথা নাসিরুদ্দিন আল বানীর বই লাগবে কেন । বা তার লিখতে হবে কেন ? 

এখানেই শেষ নয় আহলে হাদিসের সবচেয়ে বড় ৩ জন পন্ডিত নাসিরুদ্দিন আলবানী , এবনে উসাইমীন ,  ইবনেবাজ ,  এর মধ্যে কমপক্ষে সারে 400 বিষয়ে মতপার্থক্য আছে । এমনটা হানাফি, সাফি , হাম্মলি পণ্ডিতদের মধ্যে রয়েছে । 

এরপর এই রোগ যাতে আর না ছড়ায় তার জন্য লকডাউন এর আইডি হিসেবে তাকরিদের ধারণা আসে । অর্থাৎ যে যেই মাজহাবে যেভাবে আছে সে সেই মাজহাবে যেখানে থাকবে সেখান থেকে নড়াচড়া করা যাবে না ।  সেই মাজহাবের রুলস নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবেনা ।  এর বাইরে নিজস্ব গবেষণা করলেই সে গায়রে মুকাল্লিদ বা তাকরিদ অস্বীকার কারি । 

আমি বাংলায় বার বার কোরআন পড়তে বলি তাই অনেকের ধারণা আমি আরবি পারিনা । আমি মাদ্রাসায় পড়েছি আরবী  জানি কিন্তু মাদ্রাসায় যত যত কিতাব পড়ানো হয় । নাহু, সরফ ,শরহে বেকায়া , নুরুল আনওয়ার , কুদুরী , বালাগাত , ফাসাহাত , মানতেক , মাজদা , ফায়েজ , এক্তেহারে , এগুলো কোরআন বোঝার জন্য খুব একটা লাগেনা । উচ্চতর একাডেমিক গবেষণার জন্য হয়তো প্রয়োজন হয় । কাউমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রী দাওরায়ে হাদিস দাওরায়ে কোরান কিন্তু নাই ।

বড় বড় বেশিরভাগ কথিত আলেম সব কিন্তু শায়েকুল হাদিস  শায়েকুল  কোরআন নেই । সরকারি মাদ্রাসা থেকে যারা কামিল পাশ করে তারা 95 ভাগই হয় মুহাদ্দিস না হয় মুফতি । বাংলাদেশের 95 ভাগ মাদ্রাসায় তাফসীর বিভাগ-ই নাই অনেকের দাবি আরবি ভাষা বা ব্যকরন না বুঝলে কোরআন যথাযথ ভাবে বোঝা সম্ভব নয় ।

ভালো কথা তো সেই আরবি ভাষা / ব্যাকরণ জানা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন কিন্তু আমাদের আরবী সুরে সুরে তেলাওয়াত করে তারপর বাংলা তরজমা করেই আম্মাদের বুজাচ্ছে । বা বুঝাছেন । এবং আপনি শেষ পর্যন্ত ওই বাংলা টুকুই বুঝবেন ।

কোরআনের প্রসিদ্ধ অনুবাদগুলো আরবি ভাষা ব্যাকরণ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি জানা আলেমরাই করেছে ।
সৌদি আরবের কিং ফাহাদ কমপ্লেক্স এবং বাংলাদেশের ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত সম্পাদনা পর্ষদ এর মাধ্যমে কোরআনের যথাসাধ্য নির্ভুল অনুবাদ প্রকাশ করে ।  শুধু শুধু মানুষকে হাইকোর্ট দেখিয়ে কুরআনের সত্য থেকে দূরে রাখার কোন মানে হয় না ।

অনেক হাফেজী মাদ্রাসা আছে খোদ আমেরিকা-ইউরোপে কুরআনের পাখিরা কোরআন মুখস্ত করেন ।
কোরআনে হাফেজ মানে আমরা সবাই জানি যার কুরআন মুখস্থ । কিন্তু হেফজ মানে মুখস্তা করা না । সংরক্ষণ করা ।

যেমন আল্লাহ হাফেজ আল্লাহ আপনার হেফাজত করুক ।
নাকি আল্লাহ আপনাকে মুখস্ত করুক ।

একটা সময় ছিল যখন ছাপাখানা ছিলনা তখন মুখস্থ করা ছাড়া কোন সংরক্ষণ প্রায় অসম্ভব ছিল । সেই হিসেবে সারা পৃথিবীতে হাফেজ রা ছড়িয়ে পড়েছিল কোরআন প্রতিষ্ঠা করতে । কিন্তু এখন মুখস্ত করা কি কোরআন সংরক্ষণের জন্য জরুরী ।  এই আধুনিক যুগে  কোরআন সংরক্ষণের করা কি হাফেজ ছাড়া সম্ভব না । 

হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা হয় আমাদের হাফেজরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন আলহামদুলিল্লাহ । 
কিন্তু হাফেজরা কোরআনের অর্থ জানো না । কারণ কুরআনের অর্থ জানার দরকার নেই । অর্থ না বুঝে কুরআন তেলাওয়াত করলেও প্রতি হরফে দশ নেকি এইটা মিথ্যা বানোয়াট কথাটাও যে কোরআনের নাই ।

এটা আপনি অর্থ পরলেই বুঝে ফেলবেন তেলাওয়াত শব্দের অর্থ পাঠ করা বা পড়া ।  এখন অর্থ না বুঝলে সেটা কি পড়া । আপনি চাইনিজ ভাষায় মেডিকেল সাইন্সের সব বই অর্থ না বুঝে সব মুখস্থ করলেন এখন চিকিৎসা করবেন ক্যামনে । বেশিরভাগ ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের পছন্দের আলেমরা যা বলছে তাই অন্ধের মত অনুসরণ করে কোরআন কি বলছে তা জানার প্রয়োজন ও মনে করেনা । কোরআন তেলাওয়াত শোনা কিন্তু অর্থ না বুঝলে সেটা কি শোনাও

সূরা আরাফ 205
وَاذْكُر رَّبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرُّعاً وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالآصَالِ وَلاَ تَكُن مِّنَ الْغَافِلِينَ
আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকো না।

কোরান বুঝতে হবে । নিজেদের সুবিধা পছন্দ অনুযায়ী বুঝলে হবে না । অর্থ না বুঝে কোরআন পড়া হচ্ছে ( সুম্মুন বুকমুন ) বধীর ও ববা । আর না বুঝে তর্ক করা হচ্ছে ( লা ইয়াকিনুন ) নিজের আকল কে ব্যবহার না করা ।

বাংলালিংকের একটা বিজ্ঞাপন ছিল এই দিন কি আর আছে দিন বদলাইছে না ।

এখন বাংলা অনুবাদ সহ কোরআন তো সবার হাতে হাতে । কেউ কোনো ফতোয়া দিলে আগে জিজ্ঞেস করবেন এই কথাটা কোরআনে আছে । আপনি সে বিষয়ে আয়াতগুলো অনুবাদ পড়ে দেখুন । যেখানে কনফিউশন কয়েকটা অনুবাদ করস * চেক করুন । কাউকে অন্ধের মত কেন অনুসরণ করবেন । 

যে কথা কোরআনে নাই । তা কোন হাদিসে থাকলো ও  সে হাদিস এডমিশন নয় তা বাতিল । এবিষয়ে আইম্মায়ে মুজতাহিদীনরাও একমত সাহাবা ইয়াজমাইদের ইজমাও তাই । ইমাম আবু হানিফার সহ সকল মুজতাহিদী তাদের বই এর ভূমিকায় বলে গেছেন । যে তাদের কোনো বক্তব্য যদি কোরআন এবং সহিহ সুন্নাহ পরিপন্থী হয় । সে ক্ষেত্রে তাদের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় । ইমাম বুখারী সহ সকল হাদিস সংকলক বলে গেছেন তাদের সংগৃহীত কোন হাদীস যদি কোরআনের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ প্রমাণিত হয় । সে হাদিস শরীয়তের বিধান হিসেবে প্রযোজ্য হবে না ।

দুনিয়ার কোন আলেম কি বলেছে বা বলতে পারবে যে তার ফতোয়া কোরআনের সাথে কন্ট্রাডিক্টরি হলেও সত্য আমলযোগ্য । সুতরাং আপনি তামাম জাহান ঘুরে যত সোনা দানাই সংগ্রহ করেন দিন শেষে কষ্টিপাথর হচ্ছে কোরআন ।  কোরআন বলবে আসল না নকল সোনা 22 ক্যারেট নাকি 24 ক্যারেট ।

আমি হাদিস ফেকা ফাজায়েলে আমল সবি মানি এবং কাউকে মানতে মানা করিনা । কিন্তু কোরান মানবেন কোরআন হিসেবে হাদিস মানবেন হাদিস হিসেবে কিচ্ছা কাহিনী মানবেন কিচ্ছা কাহিনী হিসাবে । 

কোরআন হচ্ছে নবি করিম সাঃ এর হাদিস যেটা তিনি বর্ণনা করেছেন আল্লাহর বাণী হিসেবে । এই কোরআনের একটা শব্দও সন্দেহ করা যাবে না । মুসলিম  হিসাবে আমরা বিশ্বাস করি কোরআন আল্লাহর বানি , যেমন বাইবেল সহ ৪ টা আসমানি কিতাপ ও আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ বানি কিন্তু কোরআন ছাড়া  বাকি গুলো কি আমরা মানি বা মানার অনুমতি আছে ? 

আমাদের মুসলিম সমাজে একটি কথার সুপ্রতিষ্ঠিত যে খ্রিস্টানরা বাইবেলকে অল্টার করেছে তাই বাইবেল বাতিল । তাওরাত কে পরিবর্তন করেছে । কিন্তু এই কথাটা আমি কোরানের কোথাও পাইনি । বরং কোরআন বলছে এদের মধ্যে কোন পার্থক্য করা চলবে না । 

বুখারি মুসলিম সহ অনন্যা সকল হাদিস বিশ্বাস করবেন যে এটা সত্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যেকোনো কিছুই হতে পারে  । হাদিস সত্য মিথ্যা সহি বা জাল হতে পারে এ কথা কি দুনিয়ার কোন মোহাদ্দেস অস্বীকার করতে পারবেন । তাফসীর বিশ্বাস করবেন তাফসীরকারক এর নিজস্ব ভাবনা বিশ্লেষণ হিসাবে । তাফসীর লিখার জন্য আল্লাহর তরফ থেকে কাউকে লাইসেন্স দেয়া হয়নি । আপনি আমি যে কেউ তাফসির লিখতে পারি । তাফসীর বিশ্বাস করবেন তাফসীর হিসাবে । ইতিহাসকে বিশ্বাস করবেন ইতিহাস হিসাবে । ইতিহাস লিখে সরকারি দল । তারা আপনাকে যা বিশ্বাস করাতে চায় তাই ইতিহাস । ইসলামের ইতিহাসের প্রধান ঐতিহাসিক হচ্চেন আমেরিকার ক্রিস্টান ইউনিভার্সিটির ফিলেপ কে হিট্টি বা পিকে হিট্টি । সুতরাং ইতিহাস হচ্ছে ঐতিহাসিক সত্য ।

সুতরাং ইতিহাস হচ্ছে ঐতিহাসিক সত্য অর্থাৎ এটা series li নেয়া যাবেনা । সাহাবী আজমাইনদের এজমা আইম্মায়ে মুজতাহিদীনদের ফিকাহ আলেমদের ফতোয়া চিরন্তন শরীয়তকে বিশ্বাস করবেন । এজমা, ফিকাহ , বা ফতোয়া , কথিত চিরন্তন হিসেবে । বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে যে সব আজব দুনিয়া গজব কাহিনী শুনেন সেগুলো বিশ্বাস করবেন । তবে কল্পকাহিনী হিসেবে । 

আমরা সিনেমা দেখি উপন্যাস পরি কিন্তু সেটা কল্পকাহিনী হিসেবে । এই সব গুলতে যদি কোনো ভালো উপদেশ থাকে তা ভালো কাজ হিসেবে করবেন ফরয-ওয়াজিব হিসেবে নয় । দাড়ি টুপি হিজাব সবি ঠিক আছে যতক্ষণ আপনি এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করবেন । দাড়ি পুরুষের সৌন্দর্য অনেক সুপারস্টার ও এখন দাড়ি রাখেন কিন্তু ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়নি । হিজাব হালের ফ্যাশন হিজাব এখন অনেকের চয়স ও এই সব নিয়ে কোরআনে কন বাধ্য বাদ্দকতা কোরআনে আরোপ করা হয় নি । 

কোরআন বহির্ভূত কন কিছুকে পার্সোনাল চয়েস বা ফ্যাশন হিসাবে করেন তাতে কন সমস্যা নাই । কিন্তু ধর্মীয় বিধিবিধান হিসেবে করলে উল্টা গুনা হবে । আল্লাহ প্রদত্ত বিধান এর বাইরে কোন কিছুকে ধর্মীয় বিধি-নিষেধ হিসেবে পালনকারীদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে (উলাইকা হুমুল মুশরিকুন ) তারাই মুশরিক অর্থাৎ আল্লাহ যা ফরয বলেননি বা যা হারাম বলেননি তা ফরয বা হারাম মনে করে করা যাবে না ।

আপনি কি করলেন সেটার পাশাপাশি কি উদ্দেশ্যে করলেন সেটাও জরুরী যেমন অনেকে হাতের আংটি পরেন তা যদি ফ্যাশন হিসেবে পরি এতে কোন সমস্যা নাই ।  কিন্তু এই পাঁথরকে ভাগ্য নির্ধারক হিসেবে বিশ্বাস করলে তা ধর্মীয় দৃষ্টিতে শিরেক বা জেনারেল স্টুপিডিটি । আপনি পীরকে উপদেষ্টা হিসেবে মানলে কোন অসুবিধা নাই । কিন্তু যদি বিশ্বাস করেন পীর আপনাকে পুলসিরাত পার করে দিবে এবং পীর সাহেব যদি এমন অনুমোদন দেন তবে পীর মুরিদ ২ জনই মুশরিক ২ জনই জাহান্নামি । অলি-আউলিয়াদের কবর জিয়ারত দোয়া করা দোষের কিছু নাই । বরং এই সম্মান দোয়া তাদের পাপ্প্য ।

কিন্তু বেশিরভাগ মাজারে যা হচ্ছে তা পরিষ্কার শেরেক । আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর এর অর্থ যদি রাসূল আল্লাহর সমকক্ষ বোঝেন তাহলে গুনা -টুনা না একেবারে আবুজেহেলের মত মুসরিক । 

যেমনটা জিশুকে ঈশ্বর মনে করে ।
আপনি হয় ত জানেন না যে আবু জেহেল , আবু লাহাব , নাস্তিক ছিল না তারা মস্ত বড় ধার্মিক ছিল সহজ করে বলতে গেলে , রেফারি অফসাইডে বাঁশি বাজানোর পরেও গোল দিছে তাই তার গোল হয়ই নাই উল্টা লাল কার্ড খাইছে ।

কোরআন পরেন কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করেন দেখবেন সবকিছুই পরিষ্কার ।
কিন্তু যারা কোরআন কোনদিন উলটিয়েও দেখে না নিজেদের পছন্দের আলেমদের অন্ধ অনুসরণ করে এবং তাদের আলেমদের কথার সাথে না মিললে কোরআনের রেফারেন্স কেউ গোমরাহি বলে । 

সূরা মূলক আয়াত৯-১০
قَالُوا بَلَى قَدْ جَاءنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللَّهُ مِن شَيْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ كَبِيرٍ
তারা বলবেঃ হ্যাঁ আমাদের কাছে সতর্ককারী আগমন করেছিল, অতঃপর আমরা মিথ্যারোপ করেছিলাম এবং বলেছিলামঃ আল্লাহ তা’আলা কোন কিছু নাজিল করেননি। তোমরা মহাবিভ্রান্তিতে পড়ে রয়েছ।

আয়াত ১০
وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ
তারা আরও বলবেঃ যদি আমরা শুনতাম অথবা বুদ্ধি খাটাতাম,অর্থাৎ চিন্তা-গবেষণা করতাম তাহলে আমরা জ্বলন্ত আগুনের জাহান্নামবাসীদের মধ্যে থাকতাম না ।
সুতরাং আপনার গবেষণা আপনাকে করতে হবে আপনার স্টাডি এনালাইসিস করার দায় আপনার কারো রেডিমেড ফর্মুলা নেয়া যাবে না ।

কোরআনের কাছাকাছি থাকুন প্রকৃত সত্যকে জানুন ।
আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হন ।
আমিন

Post a Comment

Previous Post Next Post