ভারতের জিহাদী আন্দোলন

ভারতের জেহাদী আন্দোলন  বনাম  মুহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব

 ভারতের জিহাদী আন্দোলন  বনাম  মুহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব  শায়খ মুহাম্মদ যিনি জন্ম গ্রহন করেছিলেন আরবের নাজদে ১৭০৩ সালে আর মৃত্যুবরণ করেছিলেন ১৭৮৭ সালে। বাবার নাম তার আবদুল ওয়াহাব। আরবের প্রচলিত প্রথা অনুসারে  আবদুল ওহাবের পুএ মুহাম্মদের নাম রাখা হয় মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাব। নাজদীতে জন্ম গ্রহন করায় পরিচিতির জন্য  নামের শেষে নাজদী যোগ করা হয়, তাই তিনি  মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাব নাজদী হিসেবে  ইতিহাসে তিনি  পরিচিত হন। কিন্ত  অসৎ ইংরেজ ও তাদের দালালদের কারসাজিতে ছেলের পরিবর্তে বাপের নামেই  ইতিহাস তৈরী হলো  অর্থ্যাৎ  ছেলে মুহাম্মদ হয়ে উঠলো ওয়াহাব।  

ইতিহাসের এক দূর্যোগ মুহুর্তে ওহাবের পুএ মুহাম্মদ  জন্ম গ্রহন করেন,  

যখন আরবের মুসলমানরা ইসলামের পূন্যাদর্শ থেকে বিমুখ হয়ে গিয়েছিল। শিরক, বেদাআত আর ধর্মীয় অনাচার ছেয়ে গিয়েছিল সমগ্র আরবে। এক আল্লাহর পরিবর্তে শত শত উপাস্য গড়ে তুলেছিল।  

 সে সময় বিচ্যুত মুসলমানরা মিশরের   বদভী রেফায়ী, ইরাক ও  ভারতে আবদুল কাদের জিলানী,  মক্কা ও তায়েফে ইবনে আব্বাস এবং এ্যামানে ইবনে উলওয়ানের নিকট মানুষ তাদের মনস্কামনা পূর্ন করার জন্য দোয়া প্রার্থনা করতো। মুসলমানরা গাছ গাছড়া ও পাথরের নিকট মাথা নত করতে ছিল।  তখন মুসলমানদের মধ্যে ইজতেহাদ ও গবেষনার দ্বার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অনাচার, অবিচার, নৈরাজ সর্বএ

ছড়িয়ে পড়েছিল।

একজন অমুসলিম মার্কিন লেখক ইস্টাডর্ডের বর্ননা অনুসারে তখনকার অবস্থা ছিল নিম্নরূপ "

" সেই সময় বা যুগে অন্যান্য বিষয়ের ন্যায় মাযহাবও ছিল অতি হীন অবস্হায়,তাসাউফের শিশুসুলভ কল্পনাসমূহের প্রাচুর্য্য নিখুঁত ইসলামী তাওহীদকে ঢেকে

ফেলেছিল,মসজিদগুলো নির্জন ও নিস্তদ্ধ হয়ে গিয়েছিল,মূর্খ জনগন মসজিদে আসতে ভয় করত; তাবিজ ও জপতপের ধাঁধায় পড়ে বহু ফকির এবং মাতাল  দরবেশদের শিকারে পরিনত হয়েছিল। ফলে তাদের উভয়ই সম্পূর্ণরূপে পরনির্ভরশী হয়ে পড়েছিল।

তারা বুজুরগানের মাজার জিয়ারতে গমন করত এবং কবরে শায়িত ব্যক্তিদেরকে আল্লাহর দরবারে সুপারিশকারী  ও অভিভাবক  বিবেচনা করে তাদের কবরে পূজা করত। মূর্খ জনসাধারণ ধারনা পোষন করে বসেছিল যে,আল্লাহ যেহেতু অতি মহান ( আর তারা অতি অধম)  সেহেতু কোন মাধ্যম ছাড়া তারা আল্লাহর ইবাদত করতে পারে না। তারা কোরআন করীমের শিক্ষা শুধু  বিস্মৃতই হয়নি বরং তার বিরূদ্ধাচারন করতেও দ্বিধাবোধ করত না।  তাছাড়া পবিত্র স্থানগুলো ( মক্কা -মদীনা)  পাপাচারে পরিনত হয়ে গিয়েছিল এবং রাসুলুল্লাহ (সা;)কে হজ্জকে ফরজসমূহের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, তা বিদ'আতের প্রাদুর্ভাব ও সংমিশ্রণে অতি নিকৃষ্ট অনুষ্ঠানে পরিনত হয়ে গিয়েছিল। স্বয়ং হযরত মু্হাম্মদ (সা:) যদি পুনরায় দুনিয়ায় আগমন করতেন তা হলে তিনি অনুসারীদের  ধর্মদ্রোহীতার ( তথা কবর পূজার)  হিড়িক প্রদর্শন করে চরম অসন্তোষই প্রকাশ করতেন।" [ The new world of Islam, page no 25-26]

মু্হাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব ছোটবেলা হতেই ছিলেন সূক্ষ্ম দৃষ্টিসম্পন্ন, ধর্মপরায়ণা ও সহানুভূতিশীল।  তিনি

মানুষের নৈতিক ও ধর্মীয় দুরবস্থা দেখে মর্মাহত হন। আরো দুঃখিত হন বিভিন্ন  মাযহাবীদের কর্মকাণ্ড দেখে। 

 তথাকথিত আলেম সমাজের  অবস্হানও তখন অধিক মর্মবিদারক হয়ে গিয়েছিল। মানুষের মধ্যে ইসলামের প্রভাব একেবারেই বিলীন হতে চলছিলো। পীরপূজা, কবরপূজা, শিরক, বিদাআত,  গাছ গাছড়া পূজা, প্রস্তরপূজা ইত্যাদি সর্বএ  ছড়িয়ে পড়েছিল। মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মৃত পীর ওলি আউলিয়াদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করতো।

মুহাম্মদ বিন ওয়াহাব ইসলামের এ করুন পরিস্থিতি দেখে, তিনি এসব দূর করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন,সমাজ বিপ্লবের ডাক দেন। তিনি বলেন,

"* আল্লাহ ছাড়া  কারো উপাসনা করা  এবং পীর ও 

ওলীদের কবরে গিয়ে তাদের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

*আল্লাহ ছাড়া কারো নামে মানত করা শিরক।

*কোরআন হাদীসের সরল অর্থকে বেঁকিয়ে ব্যাখ্যা করা

নিষিদ্ধ।

* জামাতের সাথে নামায পড়া যরুরী।

* ধূমপানকারীদের শাস্তি বেএাঘাত।

* মুসলমান দাড়ি কামালেও শাস্তির উপযুক্ত।

* যাকাত ঠিকমত না দিলে সে শাস্তির যোগ্য।

* শুধু কালেমা পড়ে আল্লাহর নাম নিয়ে কোন হালাল 

   পশু জবেহ করলেও তা হালাল খাদ্য হবে না, যদি

   তার চরিএ মোটামুটি কলংকমুক্ত না হয়।

* কবরের উপর কোন সৌধ নির্মাণ,  কবরকে ইট ও 

  পাথর দিয়ে বাধঁনো যাবে না।" 

[ তার বিখ্যাত গ্রন্থ কিতাবুত তাওহীদ থেকে]

এ সব কথা তিনি শুধু বলে বা লিখে যাননি, বাস্তবে রূপ

দিতে তিনি মক্কা ও মদীনার বহু নামকরা সাহাবীদের কবরকে ভেংগে দিয়েছিলেন।  তথাকথিত পীরদের আস্তানা ও কবরপূজা বন্ধ করেছিলেন।  কারণ তিনি রাসুলের আদর্শকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।

আমাদের দেশে ইংরেজদের বিরুদ্ধে   যে সকল ধর্মীয় নেতারা বিদ্রোহ বা সংগ্রাম  করেছিলেন, সুচতুর ইংরেজরা সে সকল বিদ্রোহকে কোনটা সিপাহী বিদ্রোহ, কোনটা মু্হাম্মদী আন্দোলন, কোনটাকে ওহাবী আন্দোলন বা কোনটাকে রং চংগ 

মিশিয়ে হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাংগা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অথচ এসব আন্দোলন হয়েছিল এদেশকে ইংরেজমুক্ত করার জন্য। ইংরেজরা এসব আন্দোলনের  পশ্চাতে

আরবের মুহাম্মদ বিন ওয়াহাবের প্রভাব বা দর্শন কাজ করেছে বলে তারা ইতিহাসে উল্লেখ করেছে।  এসব বিপ্লবীরা মক্কায় গিয়ে মুহাম্মদ বিন ওহাবের দীক্ষা গ্রহন করে ভারতে বৃটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করছে, স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনে করছে। বৃটিশ লেখকদের

এসব অভিযোগ যে একেবারেই কাল্পনিক,  মিথ্যা,  অসত্য  তা প্রমানের জন্য খুব বেশী ইতিহাস পড়তে হয় না। 

ইতিহাসের দিকে আমরা লক্ষ্য করি,

" দিল্লীর শাহ ওলিউল্লাহ থেকে শুরু করে তাঁর পুএ, শিষ্য ও ছাএগন এমনকি শহীদ সৈয়দ আহমাদ এবং তার অনুগামীদের সকলেই মুসলমানদের শরীয়তের উপর প্রত্যাবর্তন করার তাগিদ দিয়েছিলেন।

ফলে কবর বাঁধানো বা কবরের উপর সৌধ নির্মাণ করা

থেকে ক্রমে মিসলমানরা বিরত হতে থাকে।

ইংরেজরা মুসলমান বিপ্লবীদের মতিগতি লক্ষ্য করে, ঐ আন্দোলন যে তাদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়গিরি সৃ্ষ্টি করছে তা বুঝতে পেরেছিল।

তাই তারা কতকগুলো দরিদ্র ও দুর্বলমনা আলেমকে টাকা দিয়ে বলিয়ে নিল-

তোমরা যুগ যুগ ধরে যা করে আসছ, তা করতে থাক

এই বিপ্লবীরা আসলে ওহাবী : ওরা নবী, সাহাবী ও ওলীদের কবর ভাংগার দল। 

ইংরেজ তাদের প্রচারে যোগ দিয়ে বলল: 

১৮২২ সালে সৈয়দ আহমাদ বেরেলী  মক্কায় যান, ওখানে গিয়েই তিনি ওহাবী মতে দীক্ষা গ্রহন করেন।

অথচ এটা একেবারেই মিথ্যা কথা। 

প্রত্যেক সক্ষম  মুসলমানের জীবনে একবার মক্কায় গিয়ে হজ্জ করা অবশ্য কর্তব্য হিসেবেই তিনি গিয়েছিলেন। তার হজ্জে যাওয়ার পূর্বে এবং পরের কার্যাবলীর সংগে আরবের ওহাবী আন্দোলনের কোন যোগাযোগই ছিল না।"

[ চেপে রাখা ইতিহাস: গোলাম আহমাদ মোর্তেজা ; পৃষ্ঠা 

২১০-২১১]

ইতিহাস বলে, আরবের ওহাবী আন্দোলনের সাথে ভারতবর্ষের জেহাদি আন্দোলনের কিছু কিছু সাদৃশ্য থাকলেও ওহাবী আন্দোলনের কোন সম্পর্কই ছিল না।

' ভারতের ওহাবী আন্দোলন' গ্রন্থে প্রফেসার আ. ম. হবিবুল্লাহর মতে,

"জেহাদী আন্দোলনকে  ইংরেজরা ওহাবী বলে আখ্যায়িত করেছে ভারতীয় মুসলমানদের সহানুভূতি নষ্ট করে তাদের প্রতি বিতৃষ্ণা ও বিদ্বেষ জাগাবার দুরভিসন্ধি মূলে। দুটিকে একধর্মী আন্দোলন বলে চিন্হিত করা যায় না।"

আর ঐতিহাসিক ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদারও বলেন,

" আরব দেশে ওহাবী আন্দোলনের উদ্ভব হয়। কিন্ত

ভারতবর্ষে যে অনুরূপ আন্দোলন হয়, তাহার সহিত ওহাবীদের কোনো সমন্ধ ছিলো এমন কোনো প্রমান নাই। স্মরন রাখতে হবে যে, রায়বেরেলীর সৈয়দ আহমেদ  ব্রেলভী যখন ভারতে এ আন্দোলনের প্রবর্তন

করেন তখনও তিনি আরব দেশে যাননি।" [ ভুলে যাওয়া ইতিহাস: এস,এ, সিদ্দকী,পৃষ্ঠা ৫১]

অথচ মু্হাম্মদ বিন মৃত্যুবরন করেন ১৭৮৭ সালে। আর

সৈয়দ আহমাদ বেরেলী হজ্জ করতে যান ১৮২২ সালে।

 মু্হাম্মদ বিন ওহাবের হাতেই নাকি সৈয়দ আহমাদ বেরেলী ওহাবী মতাদর্শ গ্রহন করেছিলেন। এমন নির্জলা মিথ্যা কেবল ইংরেজদের কলম থেকেই বের হতে পারে। ইংরেজদের বিষ মাখানো ইতিহাস পড়ে আমাদের দেশের কিছু আলেমদেরকেও  বলতে শোনা যায়, মু্হাম্মদ বিন আবদুল ওহাব একজন  সাহাবী ও অলি বিদ্বেষী লোক, কবর ভাংগার কারিগর, মাজার ধবংসের রূপকার ইত্যাদি। 

অথচ বিবেকবান একজন হিন্দু বুদ্ধিজীবী ও অধ্যাপক

অমলেন্দু দে আমাদের দেশের বৃটিশ বিরোধী মুসলিম নেতাদের 'ওহাবী' বলা সম্পর্কে  বলেছেন,

" ওহাবী নেতাদের ' ওহাবী ' বলা মানে তাদের শ্রদ্ধা করা তো নয়ই বরং নিশ্চিতভাবে গালি দেওয়াই হয় যেহেতু সেই মহান বিপ্লবীরাই তাদেরকে 'ওহাবী' নামে আখ্যায়িত করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।"

[ বাংগালী বুদ্ধিজীবী ও বিচ্ছিন্নতাবাদ : পৃষ্ঠা-৯৫]

মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব  বিশ্ব নবী  মুহাম্মদ (সাঃ) এর রেখে যাওয়া আদি সহজ সরল ইসলামকে পুন: প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। যেমন- 

তিনি বলতেন, বিপদে আপদে একমাএ আল্লাহর সাহায্য কামনা করা উচিত। 

কারন আল্লাহ তা'আলা বলেন,

" আল্লাহ ব্যতীত আর যা কিছুকে তোমরা ডাক, কোন নগন্যতম ( খেজুর আঁটি) পদার্থের অধিকারী নও তোমরা। তোমরা তাদের ডাকলে তারা তোমাদের সে ডাক শুনে না। শুনলেও তোমাদের ডাকে সাড়া দেয় না।

বরং কিয়ামতের দিন তোমাদের শিরক অস্বীকার করবে। বস্তুত: আল্লাহর ন্যায় তোমাকে কেউ অবহিত করতে পারবে না। "

[ সুরা ফাতির: আয়াত ১৩-১৪]

মু্হাম্মদ বিন ওহাব বলতেন, গায়রুল্লার নিকট প্রার্থনা করবে না। কারন,

রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন,

" আমার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা জায়েজ নয় বরং আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত।" [ জিলাউল আইনায়ন, তবারানী হা/ ৩১৩]

মুহাম্মদ বিন আবদুল ওহাব নাজদীর ধর্মীয় শিক্ষা সম্পর্কে জাস্টিস আবদুল মওদূদ লিখেছেন,

" বিন আবদুল ওহাবের ধর্মীয় শিক্ষা ও মতবাদের আলোচনায় প্রথমেই বলে রাখা ভাল, আবরদেশে 'ওহাবী' নামাঙ্কিত কোন মযহাব বা তরিকার অস্তিস্ব নেই। এই  সংঙ্গাটির প্রচলন আরবদেশের বাহিরে এবং এই মতানুসারীদের বিদেশী দুশমন,বিশেষত: তুর্কীদের ও ইউরোপীয়দের দ্বারা ' ওহাবী' কথাটির সৃ্ষ্টি।

প্রকৃতপক্ষে তিনি কোন মযহাব  সৃষ্টি করেননি, চার ঈমামের  অন্যতম ঈমাম হাম্বলের মতানুসারী ছিলেন তিনি এবং তার প্রযত্ন ছিল, বিশ্বনবীর এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের  আমলে ইসলামের যে রূপ ছিল, সেই আদিম সহজ সরল ইসলামে প্রত্যাবর্তন করা।  

[ ওহাবী আন্দোলন,পৃষ্ঠা- ১১৬]

পীরপূজা, কবরপূজা,  শিরক, বে'দাআত, ধর্মের নামে অধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিনি জেহাদ করেছিলেন

বলেই তাকে নানা রকম গালি গালাজ করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ভিওিহীন অসংখ্য অপবাদ রটানো হয়েছে।

ইতিহাস কি আর চেপে রাখা যায়!

অসত্যকে কি  যুগ যুগ ধরে লুকিয়ে রাখা যায়!

মনে  রাখতে  হবে  যে জাতি অতীতের মনীষাদের

মনে রাখতে  পারে না,সে  জাতি গড়তে পারে না গৌরবময় কোনো  ইতিহাস। সে জাতি মেরুদন্ডহীন, পালহীন নৌকার মত যার কোন নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থল নেই।

আলোর প্রভাবে যেমন অন্ধকার বিদূরিত হয়,

সত্যান্বেষীর কাছে মিথ্যা পরাজিত হবেই।

মু্হাম্মদ বিন আবদুল ওহাব এখন সত্যাশ্রয়ী লোকের নিকট একজন ইসলামের খাদেম,সমাজ সংস্কারক, সুন্নার পুন: প্রতিষ্ঠাকারী এবং 

 সংগ্রামী, বিপ্লবী এক মুজাহিদ হিসেবে সমাদৃত।  

Post a Comment

Previous Post Next Post