কুরআনে যেসকল ফল ও উদ্ভিদের কথা বর্ণনা করা হয়েছে

কুরআনে যেসকল ফল ও উদ্ভিদের কথা বর্ণনা করা হয়েছে




১. আল ইনাবু : আঙুর ফল। ‘এবং আঙুর ও শাকসবজি।’ (সূরা আবাসা ৮০ : ২৮)।

২. আর রুম্মান : আনার। ‘সেখানে রয়েছে ফলমূল; খেজুর ও আনার।’ (সূরা রহমান ৫৫ : ৬৮)।
৩. আত তিন : ডুমুর (ফল বা গাছ)। ‘ডুমুর ও জলপাই (বা তার গাছের) এর শপথ।’ (সূরা তিন ৯৫ : ১)।
৪. আন নাখিল : খেজুর গাছ। ‘এবং শস্যক্ষেত ও দুর্বল এবং ঘন গোছাবিশিষ্ট খেজুর বাগানে।’ (সূরা শুয়ারা ২৬ : ১৪৮)।
৫. আজ-জারউ : বীজ, চারা, শস্য বা শস্যক্ষেত। ‘মহান আল্লাহ, যিনি সৃষ্টি করেছেন নানা ধরনের বাগান। যার কিছু মাচার ওপর বিছানো থাকে (কা-হীন) এবং কিছু মাচার ওপর বিছানো থাকে না (কা-বিশিষ্ট) এবং যিনি সৃষ্টি করেছের খেজুর গাছ ও বিভিন্ন স্বাদের খাদ্যশস্য।’ (সূরা আনআম ৬ : ১৪১)।
৬. আর রাতাবু : তাজা ও পাকা খেজুর। ‘তুমি খেজুর গাছের কা- ধরে নাড়া দাও। তোমার ওপর তা ফেলবে পাকা তাজা খেজুর।’ (সূরা মরিয়াম ১৯ : ২৫)।
৭. আল ফাকিহাতু : যে কোনো ফল। ‘তাতে রয়েছে ফলমূল ও খোসায় ঢাকা খেজুর।’ (সূরা রহমান ৫৫ : ১১)।
৮. আজ জায়তুন : জলপাই। ‘ডুমুর ও জলপাই (বা তার গাছের) এর শপথ।’ (সূরা তিন ৯৫ : ১)।
৯. আস সামারু : যে কোনো ফল। ‘খেজুর ও আঙুর ফলগুলো। তা থেকে তোমরা গ্রহণ করো নেশাদ্রব্য ও উত্তম রিজিক।’ (সূরা নাহল ১৬ : ৬৭)।
১০. আস সিদরু : কুল বা বরই গাছ। ‘কাঁটাবিহীন বরই গাছ তলায়।’ (সূরা ওয়াকিয়া ৫৬ : ২৮)।
১১. আল আসলু : ঝাউ গাছ। ‘আমি তাদের বাগান দুইটিকে এমন দুই বাগানে পরিবর্তন করলাম, যেখানে রইল কিছু বিস্বাদ ফল, ঝাউ গাছ ও কুল গাছ।’ (সূরা সাবা ৩৪ : ১৬)।
১২. আল খামতু : তেঁতো ও বিস্বাদ খাবার বা আরবি ভাষায় ‘আরাক’ নামক বিশেষ লতা গাছ। ‘আমি তাদের বাগান দুইটিকে এমন দুই বাগানে পরিবর্তন করলাম, যেখানে রইল কিছু বিস্বাদ ফল, ঝাউ গাছ ও কুল গাছ।’ (সূরা সাবা ৩৪ : ১৬)।
১৩. আল আব্বু : পশুখাদ্য। গৃহপালিত ও বন্যপশু যে ফল খায়। ‘তাতে উৎপন্ন করেছি ফলমূল ও ঘাস।’ (সূরা আবাসা ৮০ : ৩১)।
১৪. আল কিসসাউ : শসা। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্য; তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা ২ : ৬১)।
১৫. আল ফুমু : মটরকলাই বা গম। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্য; তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা ২ : ৬১)।
১৬. আল বাকলু : সবজি বা যে কোনো উদ্ভিদ। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্য; তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা ২ : ৬১)।
১৭. আল আদাসু : ডাল। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্যÑ তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা ২ : ৬১)।
১৮. আল বাসালু : পেঁয়াজ। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্য; তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা ২ : ৬১)।
১৯. আল হাব্বু : শস্যদানা বা বীজ। ‘নিশ্চয় আল্লাহ বীজ ও আঁটিকে অঙ্কুরিত করেন।’ (সূরা আনআম ৬ : ৯৫)।
২০. আস সানাবিলু : শিষ বা মুকুল। ‘যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের দৃষ্টান্ত হলো বীজের মতো, যা থেকে সাতটি শিষ বের হয় এবং প্রত্যেক শিষে থাকে ১০০ বীজ।’ (সূরা বাকারা ২ : ২৬১)।
২১. আন নাবাতু : উদ্ভিদ। ‘যেন আমি তা (পানি) দিয়ে উৎপন্ন করি শস্যদানা ও উদ্ভিদ।’ (সূরা নাবা ৭৮: ১৫)।
২২. আর রায়হানু : পুদিনা জাতীয় এক ধরনের গুল্ম ও ধনিয়া পাতা বা যে কোনো সুগন্ধ গুল্ম। ‘আরও রয়েছে ভূষিযুক্ত শস্যদানা ও সুগন্ধি ফল।’ (সূরা রহমান ৫৫ : ১২)।
২৩. আজ জানজাবিলু : আদা বা এক ধরনের মূল্যবান সুগন্ধি। ‘তারা সেখানে এমন শূরা পান করবে, যাতে মেশানো থাকবে জানজাবিল’। (সূরা দাহর ৭৬: ১৭)।
২৪. আল কাফুরু : কর্পূর। ‘নিশ্চয় সৎ মানুষ জান্নাতে এমন পাত্রে পান করবে, যাতে মেশানো থাকবে কর্পূর।’ (সূরা দাহর ৭৬ : ৫)।
২৫. আজ জাক্কুমু : কাঁটাযুক্ত গাছ বা ক্যাকটাস। ‘আপ্যায়নের জন্য এটাই উত্তম না কাঁটাযুক্ত গাছ?’ (সূরা সাফফাত ৩৭ : ৬২)।
২৬. আন নাজমু : ঘাস বা এমন গাছ, যার ডাল হয় না। ‘লতাপাতা ও বৃক্ষরাজি তাঁকে সিজদা করে।’ (সূরা রহমান ৫৫ : ৬)।
২৭. আস সাজারু : ডালবিশিষ্ট গাছ। ‘লতাপাতা ও বৃক্ষরাজি তাঁকে সিজদা করে।’ (সূরা রহমান ৫৫ : ৬)।
২৮. আল কিনওয়ানু : খেঁজুরের কাঁদি। ‘এবং খেজুর গাছ, যার শীর্ষদেশ কাঁদির ভারে নুয়ে থাকে।’ (সূরা আনআম ৬ : ৯৯)।
২৯. আত তালউ : খেঁজুর গাছের শিষ। ‘এবং খেজুর গাছ, যার শীর্ষদেশ কাঁদির ভারে নুয়ে থাকে।’ (সূরা আনআম ৬ : ৯৯)।
সুবহানআল্লাহ্ সৃষ্টি জগৎ কতইনা বৈচিত্র্যময়, আপনার নিয়ামত গ্রহন করে শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন ইয়া রব

Post a Comment

Previous Post Next Post