আখ অনেকেরই বেশ পছন্দের একটি ফল বা ফসল।তবে আখের খোসা কষ্ট করে ছাড়িয়ে অনেকেই খেতে চান না, তাই আখের রসটাকেই অনেকে পছন্দ করেন।আমরা অনেকেই গ্রীষ্মকালে রাস্তা-ঘাটে আখের রস বিক্রি করতে দেখি, অনেকে খেয়েও থাকেন। কিন্তু রাস্তার এই আখের রস স্বাস্থ্যকর হয় না, এতে অনেক জীবাণু থাকে। তাই যতটুকু সম্ভব ঘরেই আখের রস বানিয়ে নিলে ভাল, নতুবা আখ চিবিয়ে খেলে তো আর কথাই নেই, এতে দাঁত মজবুত হবে।
তবে প্রতিদিন এক গ্লাসের বেশি আখের রস না খাওয়াই ভাল কারণ, এর ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে, যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যেতে পারে।এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম,ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম এবং আরও সব উপকারি উপাদান এবং এগুলো নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।
এক গ্লাস আখের রস আমাদের শরীরকে পারে মুহুর্তের মধ্যে চাঙ্গা করতে, পুরো শরীরকে ডান্ডা করে দেয়।প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়াও দূর করে। আরো অনেক কিছুই লেখা আছে নিচের ছবিতে।
নিন্মে আখের রসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছি এবং এর উপকারীতা সম্পর্কে বলছিঃ
- পানিশূণ্যতা দূর করে
- কিডনির সমস্যা দূর করে
- হাড় ও দাঁত মজবুত করে
- দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দূর করে
- কিডনির স্বাস্থ্য ভাল রাখে
- ত্বকের জন্য উপকারী
- হৃদরোগ কমায়
- হজম শক্তি বাড়ায়
- ওজন কমায়
- ক্যানসার প্রতিরোধ করে
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল
- নখ ভাল রাখে
- পুষ্টির অভাব পূরণ করে
- ব্রণ দূর করে
- লিভারের সমস্যা দূর করে
- গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী
- শরীরে তাতক্ষণিক শক্তি যোগায়
- নিশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে ও দাঁতের ক্ষত দূর করে
তবে যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা ভাবতে পারেন এতে ডায়াবেটিস বাড়তে পারে। তবে আখের রসে আছে প্রাকৃতিক চিনি যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে। তবে যারা ডায়াবেটিস-২ টাইপে ভোগছেন তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
আমাদের শরীর পুষ্টির অভাবে ভোগছে কিনা তা আমরা বুঝব আমাদের নখ দেখে।নখ যদি ভংগুর হয় ও বর্ণহীন থাকে ও যদি সাদা দাগ থাকে তাহলে বুঝব আমরা পুষ্টিহীনতায় ভোগছি। এই ক্ষেত্রে আমরা আখের রসকে খাদ্য তালীকায় রাখতে পারি।এতে নখ তার হাড়ানো উজ্ব্যলতা ফিরে পাবে।
তাছাড়া আখের রসে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায়,শরীরকে অভ্যন্তরিন ভাবে পরিষ্কার করে, হাইড্রেটেড করে শরীরকে, শরীরকে জীবাণুমুক্ত করতেও সাহায্য করে।এতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল যা শরীরকে রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
তাই আমরা আমাদের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন পানীয়ের মধ্যে আখের রসকেও রাখতেই পারি।