আমি কিভাবে পাইলট হব?

আকর্ষণীয় পেশা হবার কারণে পাইলট হতে চান অনেকে। তবে এর জন্য বিশেষ দক্ষতা অর্জনের দরকার হয়। বাংলাদেশে পাইলট হবার ট্রেনিং নেবার জন্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক এবারের লেখায়।
পাইলট হবার ধাপ কী কী?
  • স্বীকৃত কোন অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং নেবার আগে প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়।
  • কোর্স শেষে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাডেমিতে লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।
  • লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সরাসরি বিমান চালনার জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশনে স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়।
  • সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির পরীক্ষা ও সিএমবীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্স (SPL) পাওয়া যায়।
  • এসপিএল দিয়ে ৪০-৫০ ঘণ্টা বিমান চালানোর সার্টিফিকেট অর্জন করে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স (PPL) পাবার জন্য আবেদন করতে হয়। সাথে প্রয়োজন তিন মাসের থিওরি ক্লাস আর এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ফ্লাইট চালানোর অভিজ্ঞতা।
  • থিওরি ক্লাস ও আন্তঃজেলা ফ্লাইট চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জনের পর লিখিত ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা লাগে। এতে উত্তীর্ণ হলে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স পাওয়া যায়।
পাইলট হিসাবে চাকরি করতে চাইলে আপনার প্রয়োজন কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (CPL)। এ লাইসেন্স পেতে ১৫০ থেকে ২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। এছাড়া উত্তীর্ণ হতে হয় লিখিত ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায়। পাশাপাশি দরকার ক্রস কান্ট্রি ফ্লাইট চালানোর অভিজ্ঞতা ও তিন মাসের থিওরি কোর্সের সার্টিফিকেট। পুরো ট্রেনিং শেষ হবার পর একজন পাইলট হিসাবে কাজের সুযোগ পাবেন।
পাইলট হবার ট্রেনিং কোথায় নেবেন?
বাংলাদেশ ফ্লাইং অ্যাকাডেমি (Bangladesh Flying Academy)
১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অফ বাংলাদেশ (CAAB) দ্বারা অনুমোদিত। পাইলট হবার জন্য তারা ৩ বছরের প্রশিক্ষণ দেয়। বছরে দুইবার (জানুয়ারি ও জুলাই বা আগস্টে) ভর্তি নেওয়া হয়।
ফ্লাইংয়ের পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীর জন্য গ্রাউন্ড বিষয়ক তাত্ত্বিক কোর্সের ব্যবস্থাও করে বাংলাদেশ ফ্লাইং অ্যাকাডেমি। পদার্থবিদ্যা, গণিত ও ইংরেজিসহ ন্যূনতম জিপিএ৩ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রশিক্ষণের জন্য পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এছাড়া যারা স্নাতক শ্রেণীতে পড়ছেন, তারাও বৈমানিক প্রশিক্ষণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
– বাংলাদেশ ফ্লাইং অ্যাকাডেমির ওয়েবসাইট
– যোগাযোগের নাম্বার: +৮৮ ০২ ৮৯০১১৯০
আরিরাং ফ্লাইং স্কুল (Arirang Flying School)
সিএএবি দ্বারা অনুমোদিত এ প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক শিল্প গ্রুপ ইয়াংওয়ানের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প রয়েছে তাদের। এছাড়া ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সীমানার মধ্যে আছে আরো একটি বিমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
আরিরাং ফ্লাইং স্কুলের ডামি ককপিট রেড বার্ড এফএমএক্স ফ্লাইট সিমুলেটর সত্যিকারের বিমান চালনা ও প্রযুক্তিজ্ঞান দিতে পারে প্রশিক্ষণার্থীদের। এখানে ভর্তি হতে হলে ১০০ নম্বরের ইংরেজি, অঙ্ক, সাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা দিতে হয়। এরপর মৌখিক ও কম্পিউটার দক্ষতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সুযোগ পাওয়া যাবে এ প্রতিষ্ঠানে পড়ার।
– আরিরাং ফ্লাইং স্কুলের ফেসবুক পেইজ
– যোগাযোগের নাম্বার: +৮৮ ০২ ৮৯০১৮৪৮
ফুটনোটগুলি

Post a Comment

Previous Post Next Post