টিকটিকি একটি বিরক্তিকর প্রাণির নাম। বেশিরভাগ বাচ্চারাই এই সরীসৃপ প্রাণিটিকে দেখে ভয় পায়। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় এই প্রাণিটির দেখা মিলেই যায়। যদিও এটি ঘরের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে ঘরকে পরিষ্কার রেখে আমাদের উপকার করে থাকে, কিন্তু এই টিকটিকিই পরিষ্কার ঘরকে মুহুর্তের মধ্যেই অপরিচ্ছন্ন করে দেয়। এর মল অনেক বিষাক্ত। অনেক সময় আমাদের দেয়ালকে নোংরা করে দেয় এর মল। তাই তেলাপোকার মতো টিকটিকিও একটি উপদ্রবের নাম। তাই এই উপদ্রবের হাত থেকে বাঁচতে কিছু বলতে চাই।
ঘরে টিকটিকির উপদ্রবের র হাত থেকে বাঁচার উপায় : এই বিষয়ে নিন্মে আলোচনা করছি।
- ময়ূরের পালক: কোন এক অদ্ভুত কারণে টিকটিকি ময়ূরের পাখা বা পালক অনেক ভয় পায়। যেখানেই ময়ূরের পালক টিকটিকি দেখতে পায় এর আর ধারের কাছে আসতে চায় না টিকটিকি। তাই ঘরের ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখুন কয়েকটি ময়ূরের পালক। তারপর দেখবেন ম্যাজিক !
- পেঁয়াজ: পেঁয়াজে রয়েছে সালফার যার গন্ধ টিকটিকি একদম সহ্য করতে পারে না। যে দিক দিয়ে টিকটিকি বেশি যাতায়াত করে বিশেষ করে ঘরের ভেন্টিলেটরে টিকটিকি বেশি দেখতে পাওয়া যায় সেখানে পেঁয়াজ কুঁচি কুঁচি করে কেটে দিয়ে রাখুন। দেখবেন টিকটিকি গায়েব।
- শুকনো মরিচ গুঁড়ো: শুকনো মরিচ গুঁড়া করে ঘন্টা খানেক পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি ছেঁকে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে যেখানে যেখানে টিকটিকির উপদ্রব সেখানে স্প্রে করুন। শুকনো মরিচের এ গন্ধ ও ঝালের কারণে টিকটিকি দূরে পালাবে।
- রসুন: রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কোয়া বের করে উপদ্রবের স্থানে রেখে দিতে পারেন, এর গন্ধে টিকটিকি দূরে পালাবে। তাছাড়া, একটি স্প্রে বোতলে পেঁয়াজের রসের সাথে রসুনের রস ব্যবহার করে উপদ্রবের স্থানে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যাবে।
- ডিমের খোসা: ডিমের গন্ধ টিকটিকি সহ্য করতে পারে না। ডিমের খোসা আলাদা করে রেখে উপদ্রবের স্থানে, বিশেষ করে ঘরের ভেন্টিলেটরে এই ডিমের খোসা রেখে দিলে টিকটিকির উপদ্রব কমবে। তবে তা সিদ্ধ ডিমের খোসা হলে হবে না, কাঁচা ডিমের খোসা হতে হবে।
- ন্যাপথালিন: টিকটিকি দূর করতে যেখানে যেখানে এর উপদ্রব বেশি সেখানে ন্যাপথলিন রেখে দিলে টিকটিকি দূরে থাকবে।
- বরফ ঠান্ডা পানি: টিকটিকি শীতল রক্তের প্রাণী। টিকটিকি দেখলেই বরফপানি স্প্রে করে দিন। দেখবেন টিকটিকি ঠাণ্ডায় জমে গেছে। এরপর এটি তুলে বাইরে ফেলে দিন।
এই সকল পদ্ধতি অবলম্বন করলে টিকটিকি থেকে সহজে রক্ষা পাওয়া যাবে। তবে টিকটিকি অনেক নিরীহ ধরনের প্রাণি, একে মেরে ফেলবেন না। কারণ এটি পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ধন্যবাদ।
Tags:
সোশ্যাল পোস্ট