পঙ্গপাল কি খাওয়া যায়?

এই না হলে আমরা বাঙ্গালী !!! 😀
পঙ্গপাল খাওয়া হারাম না। পঙ্গপাল ১০০% হালাল সুস্বাদু একটি পতঙ্গ । পঙ্গপাল বা ঘাসফড়িঙ খাওয়া সুন্নত।
আমাদের দেশে খাওয়ার প্রচলন নেই, তাই আমাদের রুচিতে বাধে। তাই বলে হালালকে হারাম বলা যাবেনা।
যদি আমাদের দেশে পঙ্গপাল হানা দেয়। তখন ইচ্ছা করলে এগুলো ধরে ফ্রিজে অনেকদিন সংরক্ষন করতে পারেন।
এগুলোর ভেতরে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন রয়েছে । এগুলো কাঁচা, ভাজি অথবা রান্না করে খেতে পারেন।
তবে কাঁচা খাওয়ার চেয়ে পা, আর পাখনা ফেলে দিয়ে ভালো করে রান্না অথবা ভাজি করে খেতে হবে। যাতে ভেতরের ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা যায়।
এই খাদ্যের কথা সব আব্রাহামীয় ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ আছে। বুখারী শরিফ অনুযায়ী, নবীজিও এই খাদ্যটি খেতেন। ইহুদীদের কাছে এই খাদ্যটি একটি "কোশার" খাবার। আরবদের কাছে এই খাবার প্রিয়।
পাহাড়িরা এই খাবারের ভিন্ন একটি প্রজাতিকে মাটি খুঁড়ে বের করে খায়।
বলতে হবে এই সুখাদ্যের কি নাম-
এটা আর কিছু না, সারা দুনিয়ায় যা দুর্ভিক্ষ আর খাদ্যাভাবের কারণ, সে নিজেও একটা খাদ্য- পংগপালের পতংগ। ইংরেজী নাম লোকাস্ট। এর অনেক প্রজাতি আছে সব মহাদেশে। আমরা যেটা খাই সেটা তারই বৃহৎ পরিবারের একটা প্রজাতি। চাকমারা বলে গুংগুরু, মারমারা বলে প্রই।
এই পঙ্গপাল গুলোকে চাইনিজরা রাস্তার ধারের দোকান গুলোর কড়াইতে মচমচে করে ভেজে কাগজের ঠুঙ্গায় পুরে মুড়ির মতো করে খায়। এটা নাকি খেতে ভীষণ সুস্বাদু। আপনারা ট্রাই করতে পারেন।
পঙ্গপাল শুধু চায়নাতে নয়, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সকল দেশেই জনপ্রিয় খাবার। এমনকি আরবের কোন কোন জাতিগোষ্ঠীর কাছেও এটি খাবার হিসেবে প্রচলিত।
কংগো রিপাবলিকে পোকা মাকড় গুড়া চিংড়ি মাছের ন্যায় বিক্রি করতে দেখেছি। আফ্রিকার অনেক দেশেও পোকা খাওয়ার প্রচলন আছে।
এই পোকাগুলো নোংরা কোন খাবার খায় না, কেবলই সবুজ ঘাস, পাতা, ফুল, ফল খায়। এই প্রজাতির বেশীরভাগ পতঙ্গের গায়ের রঙ সবুজ থাকে।
অন্য দুটি পোকা চিংড়ি এবং ক্র্যাব আমরা অনেকেই দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে গ্রহণ করেছি। অন্যান্য পোকা খাওয়া কেবলই সময়ের অপেক্ষা।
দলিলসমূহঃ
ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাঃ বলেছেনঃ খাদ্যরূপে ‘দু’প্রকারের মৃত প্রাণী এবং দু’প্রকার রক্তকে আমাদের মুসলিমদের জন্য হালাল করা হয়েছে। দু’প্রকার মৃত প্রাণী হচ্ছেঃ টিড্ডি (পঙ্গপাল) ও মাছ। এবং রক্তের দু’প্রকার হচ্ছে হালাল প্রাণীর কলিজা ও হৃৎপিণ্ড।
বুখারী ৫৪৯৫, মুসলিম ১৯৫২, মুসলিম ১৮২১, ১৮২২, নাসায়ী ৪৩৫৬, ৪৩৫৭, আবূ দাউদ ৩৮১২, আহমাদ ১৮৬৩৩, ১৮৬৬৯, দারেমী ২০১০। বুলুগুল মারাম: ১৩।
অন্য বর্ণনায় আছে, ‘আমরা তাঁর সাথে পঙ্গপাল খেয়েছি।’ (বুখারী-মুসলিম)
[1]
* [অর্থাৎ পঙ্গপাল খাওয়া হালাল এবং তা মাছের মত মৃতও হালাল।]
[1] সহীহুল বুখারী ৫৪৯৫, মুসলিম ১৯৫২, তিরমিযী ১৮২১, ১৮২২, নাসায়ী ৪৩৫৬, ৪৩৫৭, আবূ দাউদ ৩৮১২, আহমাদ ১৮৬৩৩, ১৮৬৬৯, ১৮৯০৮, দারেমী ২০১০
بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا
وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ أَبِي أَوْفَى رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَبْعَ غَزَوَاتٍ نَأكُلُ الجَرَادَ . وَفِي رِوَايةٍ : نَأكُلُ مَعَهُ الجَرَادَ . متفق عليه
পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে
২৬/১৮৪২। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে থেকে সাতটি যুদ্ধ করেছি, তাতে আমরা পঙ্গপাল খেয়েছি।’
অন্য বর্ণনায় আছে, ‘আমরা তাঁর সাথে পঙ্গপাল খেয়েছি।’ (বুখারী-মুসলিম)
[1]
* [অর্থাৎ পঙ্গপাল খাওয়া হালাল এবং তা মাছের মত মৃতও হালাল।]
[1] সহীহুল বুখারী ৫৪৯৫, মুসলিম ১৯৫২, তিরমিযী ১৮২১, ১৮২২, নাসায়ী ৪৩৫৬, ৪৩৫৭, আবূ দাউদ ৩৮১২, আহমাদ ১৮৬৩৩, ১৮৬৬৯, ১৮৯০৮, দারেমী ২০১০.
শাইখ মতিউর রহমান মাদানী হুজুরের এই বক্তব্য টি শুনতে পারেন।
[বি.দ্রঃ কোন তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হয়নি শুধু মাত্র কপি-পেস্ট করা হয়েছে]

Post a Comment

Previous Post Next Post