কিছু বিখ্যাত আগের ও পরের ছবি দিতে পারবেন কি?

১.আমেরিকান গার্ল ইন ইতালি
১৯৫১ সালে তোলা ছবিটিতে হেঁটে যাওয়া নারীটির নাম নিনালি ক্রেইগ। আইকনিক এই ছবিটি তুলেছিলেন রুথ অর্কিন। এই ছবি সম্পর্কে ছবিটির নায়িকা নিনালি বলেন “কেউ কেউ এটিকে নারী উত্যক্তকরণের উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু আসলে এটি উত্যক্তের উদাহরণ নয়, এই ছবির মানে হচ্ছে একজন নারী স্বাধীনভাবে সুন্দর কিছু সময় কাটাচ্ছে।” ছবিটি তোলার সময় তার বয়স ছিল ২৩ বছর।
সেই বিখ্যাত ছবির পাশে একই শাল একই পোশাকে নিনালি ক্রেইগ। © Keith Beaty/Toronto Star। বর্তমানে তার বয়স ৮৯ বছর।
২.ওয়েট ফর মি, ড্যাডি
১৯৪০ সালে ক্লড ডেটলফ-এর তোলা এই ছবিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম আইকনিক ছবি। ছবিতে ৫ বছর বয়সী ওয়ারেন বার্নার্ড তার মায়ের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বিদায় জানাতে ছুটে যাচ্ছে তার বাবার কাছে।
আইকনিক ছবির স্ট্যাচুর সামনে সেদিনের সেই বালকটি।
তার বাবা জ্যাক বার্নার্ড ৫ বছর পর যুদ্ধ থেকে ফিরে এসেছিলেন। সেই শিশুটির বয়স বর্তমানে ৮০-এরও উপরে। তিন সন্তানের বাবা এবং কয়েকজন নাতি-নাতনীর দাদাও তিনি।
৩.বিটলস এর ভক্ত
১৯৬৪ সালের এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে পাঁচ বন্ধু মিলে স্কুল ফাঁকি দিয়ে চলে যাচ্ছে তৎকালীন গানের ক্রেজ বিটলসের পারফরমেন্স দেখতে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে বিটলসের প্রথম সফর। এদের একজনের নাম বব টথ। এমন কাজ করার কারণে তাকে স্কুল থেকে ৩ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ৪০ বছর পর ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেনে নিয়ে বলেছিলেন, সেদিন স্কুল পালিয়ে বিটলসের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি আসলে ভালোই ছিল।
বর্তমানে সেই পাঁচজন
সেদিনের পাঁচজন কিশোর-কিশোরী আজ অনেক বড় হয়ে গেছেন। ২০১৩ সালে তারা সকলে মিলে সেই আইকনিক ছবিটি নতুন করে তোলে।
৪.নেভারমাইন্ড
এই ছবিটি ১৯৯১ সালে প্রকাশিত নেভারমাইন্ড নামক একটি এলবামের কভার। বিশ্বব্যাপী এলবামটির ৩০ মিলিয়নেরও বেশি পরিমাণ কপি বিক্রি হয়েছে। এটি বিখ্যাত হবার পাশাপাশি এর কভারের শিশুটিও বিখ্যাত হয়ে যায়। মিউজিকের ইতিহাসে অন্যতম বিখ্যাত কভার এটি। ছবির এই শিশুটির নাম স্পেনসার এলডেন। ছবিতে থাকা ডলারের নোটটি বড়শীর মাধ্যমে ফেলা হয়েছিল। এই ছবির জন্য শিশুটির পিতামাতাকে সে সময় ২০০ ডলার প্রদান করা হয়েছিল।
বর্তমানে স্পেনসার।
সেদিনের ছেলেটি আজ অনেক বড় হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো সবাই তাকে এলবামের নামেই ডাকে। ২৫ বছর পর ২০১৬ সালে ছবিটি আবার তোলা হয়।
সোর্স; গুগল

Post a Comment

Previous Post Next Post