সাফল্যের অর্থ জানুন! সাফল্যে আসলে কি?

 

সাফল্যের অর্থ জানুন!  সাফল্যে আসলে কি?

সাফল্যের অর্থ জানুন!  সাফল্যে আসলে কি? আমরা কম বেশি সব মানুষেই জীবনে সফল হতে চাই। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই জানে না সাফল্য বলতে আসলে কি বোঝায়। 


কিংবদন্তি সেলস টেইনার পাবলিক স্পিকিং সে কারণেই সম্ভবত বলেছিলেন,
তুমি তোমার সারাজীবন সাফল্যের পেছনে দৌড়াদৌড়ি না করে একবার পাঁচটা মিনিট এক জায়গায় বসে ডিফারেন্ট করো যে সাফল্য আসলে জিনিসটা কি?

সফল হওয়ার মানে একেকজনের কাছে একেক রকম সফল হওয়ার হাজারটা রাস্তা আছে কিন্তু দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করলে বেলা শেষে আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না ।

একবার শিয়াল আর বিড়াল এক মাঠে বসে গল্প করছিল গল্পের বিষয়বস্তু ছিল কুকুর। শিয়াল বলল  কুকুরকে নিয়ে আমার খুব একটা মাথাব্যাথা নাই । কারণ কুকুর থেকে বাচার অন্তত একশত ফর্মুলা আমার জানা আছে । 

বিড়াল বলছিল আমি গাছে উঠতে পারি এই একটা ফর্মুলায়ই জানি ।  তাদের এই আলোচনার মধ্যেই একদল কুকুর তাদের দৌড়ানি দিলো বিড়াল যেহেতু একটা ফর্মুলা একমুহূর্ত অপচয় না করে গাছে উঠে গেল। কিন্তু কুকুর  বসে গবেষণা শুরু করলো যে এই 100 টার মধ্যে কোন ফর্মুলা  এপ্লাই করা যায় এই চিন্তা করতে করতে এসে ধরা খেয়ে গেল ।

এই গল্পটা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে যারা জানেন তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিয়ালের মত ধরা খাই । তাই ফর্মুলা  একটা বেছে নিতে হবে আপনার সাফল্যের পথ । 

সাফল্য মানে এই নয় যে আপনি কত টাকার মালিক সাফল্য মানে এই নয় যে আপনার কতগুলো ডিগ্রী আছে বা  পদমর্যাদা কি ?
হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা জিম কেরি এভাবে বলেছিলেন, 
যে আমি মনে করি প্রতিটা মানুষের ধনী এবং বিখ্যাত হওয়া উচিত । এবং তারা সারা জীবনের স্বপ্ন দেখেছে তার সবকিছু করতে পারা উচিত । যাতে তারা বুঝতে পারে যে এটা আসলে সমাধান নয় ।

সাফল্য মানে তাহলে কি? সাফল্য মানে পাওয়া আপনি যা  হতে চান বা পেতে চান । যেটা আপনাকে সুখী অনুভূতি এনে দিবে ।
এখানে দুটি জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ ।

এক নাম্বার হচ্ছেন আপনি , আপনি কি মনে করছেন সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । 
পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের কাছে সাফল্যের আলাদা আলাদা রঙ রুপ বা সংজ্ঞা থাকতে পারে ।  আপনার আশেপাশে একজন মানুষের কাছে সাফল্যের একেক রকম পরিচয় থাকতে পারে ।  কারো কাছে নায়ক, কারো কাছে ডাক্তার। ‌ আবার কারো কাছে মিনিস্টার হতে পারে সাফল্যের উদাহরণ। কারো কাছে অনেক টাকা মানে আগামীকালের খাবার কেনার মতো পর্যাপ্ত পয়সা থাকা, আবার কারো কাছে ব্যক্তিগত বিমান কেনার মতো টাকা থাকা । 

আট বছর বয়সের সাফল্য মানে বাসায় ফেরার রাস্তা মনে রাখতে পারা ।
18 বছর বয়সের সাফল্য ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া ।
৩৫ সে সাফল্য মানে অর্থ উপার্জন ।
৪৫ সে যৌবন ধরে রাখতে পারা ।
৬৫ বছর বয়সে সাফল্য হচ্ছে রোগ মুক্ত সুস্থ শরিল ।
৮৫ বছর বয়সে সাফল্য মানে এগেইন বাসায় ফেরার রাস্তা মনে রাখতে পারা ।

একেক বয়সে , একেক সময়ে , একেক পরিস্থিতিতে একজন মানুষের চাওয়া একেক রকম হবে ।
কিন্তু সেসব এর বাইরে এসে আপনাকে ডিফাইন করতে হবে আপনার সাফল্যের যাত্রাপথ ।
একসময় আপনার মনে হবে আপনি একটা মিথ্যে মরীচিকার পিছনে ছুটেছেন । আশেপাশের মানুষদের চোখে আপনার সাফল্য যতই হোক না কেন আপনাকে পূর্ণতা দিতে পারবে না আপনার কাছে অর্থহীন মনে হবে। 

হলিউড অভিনেত্রী মেরিন মন্ড আত্মহত্যা করে তখন তিনি অন্যতম সেরা এবং বিখ্যাত ছিল। বলিউড অভিনেত্রী ও দিব্বাভারতীয় আত্মহত্যা সময় তার ক্যারিয়ারের সেরা সময় ছিলেন।
কিন্তু তাদের কাছে অর্থহীন মনে হয়েছে । তাই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে আউট কাম হতে হবে ।
আপনার সম্পদ যদি আপনার সুখের আত্মতৃপ্তির কারণ না হয় তবে সেসব সম্পদের বিশেষ কি মূল্য আছে? 

বেশ কিছুদিন ধরে মিডিয়ায় আলোচনা হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী ব্যবসায়ী অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এর ডিভোর্স এর খবর ডিভোর্স এর কারণে তাকে ৪০ বিলিয়ন ডলার দিতে হচ্ছে । এমন কিছু অশান্তি থেকে মুক্তি চান যার মূল্য তার কাছে 40 বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। তাই একটি বিষয় সবসময় মনে রাখবেন পয়সা সব কিছুই নয় এটা সবকিছুর একটা অংশ মাত্র টাকা দিয়ে অনেক কিছু করতে পারবেন । 

আবার অনেক কিছুই করতে পারবেন না টাকা দিয়ে খাবার কিনতে পারবেন কিন্তু টাকা থাকলে খেতে পারবেন না । দেখবেন বেশিরভাগ রিচ ফুড খাওয়া মানা । টাকা দামের ঘড়ি কিনতে পারবেন। কিন্তু সময় কিনতে পারবেন না। বেশিরভাগ দামি ঘড়ি ওয়ালা দের হাতে একদম সময় থাকেনা । টাকা দিয়ে খাট কিনতে পারবেন কিন্তু টাকা দিয়ে ঘুম কিনতে পারবেন না। টাকায় মনের মত ওয়েডিং রিং পাওয়া যায়। কিন্তু টাকায় মনের মানুষ পাওয়া যায় না। সুতরাং পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রে টাকায় শেষ কথা নয়।
সাফল্যে একটি প্রক্রিয়ার ফসল একটি সঠিক প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে আসতে হবে । এবং এর জন্য নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হবে । উপযুক্ত মূল্য দিতে হবে সাফল্যের কোনো শর্টকাট রাস্তা নাই । রেডিমেড ফর্মুলা অটোমেটিক্যালি পেয়ে যায় তার মূল্য উপলব্ধি করতে পারিনা। কিন্তু এই উপলব্ধি মূলত সাফল্য । 

কোটি টাকার বিনিময়েও আপনি আপনার চোখদুটো হারাতে রাজি হবেন না । অথচ যতক্ষণ চোখ দুটো আছে আমরা কি তার মূল্য উপলব্ধি করতে পারি । সেদিন আপনার দাঁতে ব্যথা শুরু হবে সেদিন আপনি একমত হবেন । দাত-ই সকল সুখের মূল ।

যখন কানে ব্যথা শুরু হবে তখন মনে হবে সবার উপরে কান সত্য তাহার উপরে নাই । আপনার শরীরে ছোট ছোট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর মূল্য যদি হিসেব করেন । কিন্তু আমরা তো অনুভব করিনা কারন আমাদের সবার জন করতে হয়নি ।

উপযুক্ত মূল্য দিয়ে ওর সাথে যে সুখানুভুতি সাফল্য দুর্গম হতে পারে কিন্তু সেই অর্থবহ সাফল্য ।
আপনার আশেপাশে দেখবেন মনোযোগ পাওয়ার জন্য সর্টকাটে সফল হওয়ার জন্য হাস্যকর প্রতিযোগিতায় নেমেছে এসব দেখে বিভ্রান্ত হবেন না । অর্থনীতির সাধারণ সূত্র নিশ্চয়ই মনে আছে সস্তা জিনিসের চাহিদা বেশী । নিজেকে সস্তা বানাবেন না ইদুর দৌড়ে নামবেন না ।

 নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলে আগের সব অর্জন ছাপিয়ে হতাশায় মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। যেমন ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হওয়ার সময় পছন্দের একটা সাবজেক্ট পেলে বড় রকমের সাফল্য এবং এর আনন্দ অতুলনীয় হয় । কিন্তু পরবর্তীতে ভালো ফলাফল করতে না পারলে বা ভালো চাকরি না পেলে সে আনন্দ হতাশার পরিনিত হয়। 

কারণ সব বন্ধুবান্ধবের সাথে তুলনা করে নিজের অবস্থানে অসন্তোষ তৈরি হয় । সে ক্ষেত্রে মনে রাখবেন সাফল্য-ব্যর্থতার অনুপস্থিতি নয় এর মানে চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন ।সাফল্য মানে যুদ্ধ জয় প্রতিটি লড়াই নয়। ফুটবলে যেমন ১ টি টিম দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও মেচ জিততে পারে । ২ মেচ হেরেও টুর্নামেন্ট জিততে পারে । জীবনের প্রতিটা প্রচেষ্টায় তেমনি আপনি পিছিয়ে থেকেও আপনি জিততে পারেন । 

কোন ব্যর্থতাযই চূড়ান্ত নয়, পৃথিবীর সফল মানুষদের জীবন ব্যর্থতায় ভরা তাদের জীবনের ব্যর্থতার গল্প গুলোই তাদের সাফল্য উজ্জ্বল করেছে, মহিমান্বিত করেছে যেখানে অনিবার্য সেখানে বুদ্ধিমান মানুষের চাওয়া কেমন হওয়া উচিত রবীন্দ্রনাথের কবিতায় শিখিয়েছেন,

বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয় দুঃখ তাতে নাই বা দিলে সান্ত্বনা দুঃখ যেন করিতে পারি জয়

বিপদের ভয় হতাশা জয় করার নামই প্রকৃত সাফল্য ।



  সাফল্যে পেতে 
লক্ষ্য স্থির করুন

সাফল্য আসলে কি কেন সফল লোকের ডিফাইন করা জরুরি সাফল্য মানে যদি হয় কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন । সেই লক্ষ্য অর্জনের দুটি বিষয় খুব জরুরী একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করা । দুই সেও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির থাকা ।

এবার আলোচনা করবো কিভাবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করবেন বা গোল সেট করবেন । সে বিষয়ে আলোচনা দিয়ে শুরু করবো তারপর পর্যায়ক্রমে কথা বলবো কিভাবে লক্ষের পথের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করবেন মনসংযোগ করবেন । মন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে দিয়ে নিজেকে সে লক্ষ্য অর্জনের দিকে চালিত করবেন।

লক্ষ্যবিহীন পথ চলাতেও  এক ধরনের আনন্দ আছে, নদীর স্রোতে কচুরিপানার মতো ভাসতে কার না ভালো লাগে ।
কিন্তু এভাবে একসময় আপনি কখন যে অথৈ সাগরে এসে পড়বেন টেরও পাবেন না।  কিন্তু ততক্ষণে হয়তো পেছনে ফেরা কঠিন হয়ে পড়বে ।  আবার অনেকে দেখবে লক্ষ্য হিন আয়েসি দিন পার করে , তবুও দিন শেষে ঠিকই ভালো কিছুই করছে তারা সফলই হচ্ছে । এরা হচ্ছে যাতে মাতাল তালে ঠিক ।মনকে নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল জানলে অটোমেটিক লক্ষে পোঁছা সম্ভব । সফল হতে গেলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে সেটা শারীরিক এবং মানসিক উভয় পরিশ্রম । তবে শুধু পরিশ্রমের সাফল্য মিলে না আপনাকে লক্ষ্য স্থির করতে হবে আপনি নিশ্চয়ই এমন ফ্লাইটে উঠবেন না যে ফ্লাইট কোথায় নামবে আপনি সেটাই জানেন না । লক্ষ এমন একটি গন্তব্য যেদিকে আপনি আপনার সুনির্দিষ্ট প্রচেষ্টাকে চালিত করবেন ।

 লক্ষ অর্জনের জন্য প্রবলেম সলভ আপনার সমস্যার সমাধানে দক্ষ হতে হবে । কারণ সমস্যা সমাধানের সাফল্য । সমস্যা যদি না থাকে তো আপনার দরকার কী ? কারো ও আইনি সমস্যা না থাকলে তার ত উকিল এর দরকার নেই। কারো শারীরিক সমস্যা না থাকলে তো সে ডাক্তার ডাকবে না। আপনার অফিসে যেদিন থেকে আর সমস্যা থাকবে না সেদিন থেকে আপনার চাকরি থাকবে না । তাই সমস্যা খুঁজে বেড়াবেন, কারণ সমস্যা মানে কাজ আর কাজ মানে প্রমোশন । সৃজনশীলতা এবং কল্পনা শক্তিকে কাজে লাগাবেন নতুন আইডিয়া ডেভলপ করতে ।

প্রতিদিন আমরা এই যে প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা দেখছি এর পেছনে একদল মানুষের আবিরাম ভাবনা । কিভাবে মানুষের নতুন সমস্যা খুঁজে বের করা যায় । এবং আরো ভালো সমাধান দেয়া যায় । এখন ইন্টারনেট না থাকা যে একটা সমস্যা তার ৩০ বছর আগের মানুষ তা বুজত না । গুগল ছাড়া ইন্টারনেট চলত । জিপিএস ছাড়া গাড়ি চালানো যেত । এরপর সার্চ ইঞ্জিনের দরকার পড়ল জিপিএস স্মার্টফোন যা দেখছি এখন তাই অনিবার্য প্রয়োজন । এক মুহূর্ত আর চলছে না এসব ছাড়া ।

তাই আপনিও ভাবুন আপনার সমস্যাগুলোর আরো ভালো সমাধান নিয়ে ভাবুন দেখবেন দারুন কিছু ভাবনা আসছে আপনার মাথায় । সফল মানুষেরা লক্ষ্যে অবিচল এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সাফল্য অলৌকিক ভাবে আসে না এটা একটা সুসমন্বিত কর্মপ্রক্রিয়া । তাই আপনাকে আগে পরিকল্পনা করতে হবে । আমরা কেউই ব্যর্থ হওয়ার পরিকল্পনা করি না বরং সঠিক পরিকল্পনা করতেই ব্যর্থ হই । পরিকল্পনা ভুল বা পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হলে সব শ্রম জলে যাবে ।

অফিসের জন্য তাড়াহুড়া করে রেডি হওয়ার পর মনে পড়লো আন্ডার অয়্যারই পরেনি মানে কাজ আরো বেড়েছে, কাজ না কমালেও কাজ আর বারাবেন না । তাই তাড়াহুড়া করবেন না। কাজের পরিকল্পনা করুন এবং তারপর কোনটা কর্মকৌশল ঠিক করবেন । এরপর আসে কর্মকৌশল প্রয়োগ করুন ।

একটা ভালো কর্ম পরিকল্পনা এবং কর্মকৌশল থাকলে কাজটা অনেক সহজ । একটা যুদ্ধে যুদ্ধ পরিকল্পনা এবং যুদ্ধকৌশল ঠিক করে শীর্ষ জেনারেলরা । যুদ্ধ পরিকল্পনা ও কৌশল ভালো হলে সৈনিকদের জন্য যুদ্ধ অনেক সহজ । এ কারণে যুদ্ধ জয়ের কৃতিত্ব জেনারেলরা পায়। একটা ব্যবসা বা অন্য যেকোনো কাজের বেলায় সমানভাবে প্রযোজ্য সাফল্যের কৃতিত্ব শীর্ষ কর্মকর্তারা পায় । মাথার ঘাম পায়ে ফেলআর চাইতে মাথা খাটান কাজের সঠিক পথ তৈরী করুন এরপর লক্ষ্য সিস্থির করুন ।

একবার এক গুরু তার শীর্ষদের তির চালানো শিখাচ্ছিলেন তিনি একটি গাছের ডালে একটা কাঠের পাখি রাখলেন নিশানা হিসেবে এরপর তিনি এক এক করে শীর্ষদের আদেশ দিলেন পাখির চোখ বরাবরই তাঁক করতে ।  প্রথম জনকে জিজ্ঞেস করলেন কি দেখতে পাচ্ছো জবাব দিলো একটা গাছের ডাল একটা পাখির বাসা একটা পাখি এবং সেই পাখির চোখ গুরু বললেন তুমি পাশে গিয়ে বসো ।
দ্বিতীয় শীর্ষকে ও প্রশ্ন করলেন কি দেখতে পাচ্ছ জবাব এল আমি শুধু পাখির চোখ দেখতে পাচ্ছি । গুরু বললেন এইবার তির চালাও এবং যথারীতি তির লক্ষ্য ভেদ করলো । 

দেখবেন তীরন্দাজ রা বা শুটাররা এক চখ বন্ধ করে রাখে যাতে লক্ষ্য বস্তুর উপরে ফোকাস করতে পারে । এবং মনোযোগ নষ্ট করে সেসব জিনিস আড়াল করে রাখতে পারে । আমাদের ও আমাদের লক্ষ্যবস্তুতে এভাবে মনোনিবেশ করতে হবে যাতে অপ্রাসঙ্গিক কাজগুলো আমাদের চোখে না পড়ে ।
তবে লক্ষ্য অর্জন অনেক সহজ হবে। লক্ষ্য হতে পারে দলীয় ব্যক্তিগত এবং পেশাগত। লক্ষ্য নির্ধারণ আপনাকে কয়েকভাবে সাহায্য করবে । দইনন্দিক কাজ গুলোর একটি দিক- নির্দেশনা প্রতিষ্ঠা করবেন । আমাদের দৈনন্দিন করণীয় কাজ গুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে পারব যেগুলো আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে । প্রত্যাশিত ফলাফল চিনহিত করতে পারা । লক্ষ্য নিধারন না করার মানে আমাদের কি প্রত্যাশা তাই আমরা জানি না ।

১ একটা নির্দিষ্ট কাজ সম্পূর্ণ করার মধ্য দিয়ে একটা সুনির্দিষ্ট কিছু অর্জন । আমি অনেক টাকার মালিক হতে চাই অনেক টাকা মানে একেকজনের কাছে একেক ।  একজন রিকশাওয়ালা যদি বলে আমার অনেক টাকা লস হয়েছে কত হতে পারে 500-5000 ।
কিন্তু যদি মার্ক জুকারবার্গ বলে অনেক টাকা লস হয়েছে নিশ্চয়ই কয়েক বিলিয়ন তাই অনেক টাকা স্পেসিফিক কিছুনা আবার কিভাবে অনেকগুলো টাকা আসবে । 
অনেক ভালো একটা চাকরি পেতে চাই । নাথিংক স্পেসিফিক কারো কাছে প্রিয় দারয়ানের চাকরি অনেক ভালো চাকরি । 
আবার বারাক ওবামাকে যদি এখন ভাইসপ্রেসিডেন্ট এর চাকরি দেয়া হয় সেটা তার জন্য ভাল কোনো চাকুরি নয় ।

২ পরিমাপ যোগ্য কখন বা কিভাবে বুঝবেন যে আপনার জন্য কতখানি অগ্রগতি করেছেন বা কখন বুঝবেন যে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছেছেন । 

3 সুনিদ্দিস্ট দিন খন দেয়া না থাকলে আপনি কিভাবে ঠিক করবেন কখন যাত্রা শুরু করবেন এবং কি গতিতে অগ্রসর হবেন । কোন অ্যাসাইনমেন্ট সকালের মধ্যে শেষ করতে হবে বাধ্যবাধকতা থাকলে আপনি সারা রাতা জেগে হলেও কাজটা শেষ করবেন আর কোন বাধ্যবাধকতা না থাকলে দুই বছর পরে কাজ টি করা হবে না । 

৪ এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনি সর্বোচ্চ কতখানি মূল্য দিতে প্রস্তুত। বাজেট করতে হবে অর্থনৈতিক মূল্যায়ন করতে পারবেন ।

লক্ষ্য হচ্ছে সুনিদ্দিস্ট মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে , সুনিদ্দিস্ট সময়ের মধ্যে, পরিমাপ যোগ্য কাজ সুসম্পন্ন করার মাধ্যমে, একটি সুনির্দিষ্ট অর্জনের পরিকল্পনা ।
আপনার লক্ষ অবশ্যই অবশ্যই লিখে ফেলতে হবে। এই উপকরণগুলো বিবেচনায় নিয়ে একটা কার্যকর লক্ষ্য স্থির করলে আপনাকে জিপিএস এর মত রাস্তা দেখাবে এমন কি ভুল করলেও জিপিএস এর মত আপনাকে আপনার ট্রাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে । 

Post a Comment

Previous Post Next Post