মহাবিশ্ব সম্পর্কিত কোরআন এর বানী!

  

মহাবিশ্ব সম্পর্কিত কোরআন এর বানী!


আকাশ/মহাকাশ/মহাবিশ্বঃ

১. আকাশ সম্পর্কিতঃ-

আকাশ বলতে বোঝানো হয়েছে, যেটা আমাদের দৃষ্টি সীমানায় প্রতিফলিত হয়। দিনের বেলায় যেটা নীল দেখায়, কার্যত এটা উন্মুক্ত।

(১৩ঃ২) আল্লাহই স্তম্ভ ছাড়া আকাশমন্ডলীকে ঊর্ধ্বে স্থাপন করেছেন; তোমরা তা দেখছ।

(৭৯ঃ২৮) তিনি তার ছাদকে সুউচ্চ ও সুবিন্যস্ত করেছেন।

(৫৫ঃ৭) তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত।

(২১ঃ৩২) আকাশকে করেছেন সুরক্ষিত ছাদ;

কিন্তু তারা আকাশে অবস্থিত নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

(২ঃ২২) যিনি পৃথিবীকে তোমাদের জন্য বিছানা ও আকাশকে ছাদ সরূপ সৃষ্টি করেছেন এবং 

আকাশ হতে পানি বর্ষণ ক’রে তার দ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফল-মূল উৎপাদন করেছেন।

আকাশ কে 'ছাদ' বলার কারন, আকাশ মূলত অদৃশ্য ছাদ সদৃশ, যা বায়ুমন্ডল এর স্তর (ট্রপোস্ফেয়ার, মেসোস্ফেয়ার ও এক্সোসস্ফেয়ার) এর সাথে তুলনা করা যায়, যেটা আমাদের সূর্য্যের অতি গাড়ো বেগুনী রশ্মি থেকে ওজন স্তর দিয়ে ফিল্টার হয়ে পৃথীবীতে আসতে সাহায্য করে। এছাড়া ছোট বড় উল্কা বা পাথর যেগুলো পতিত হয় তা বায়ুমন্ডলের মাধ্যমে জ্বালিয়ে দিতে সাহায্য করে।

আরেকটু গভীরে বলতে, সূর্য্যের মধ্যকার বিষ্ফোরনে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় তা ছোট একটি ১০০ বিলিয়ন এটম বোমার সমতুল্য, যা পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড 'ভ্যান এলেন বেল্ট' বর্ম হিসেবে সুরক্ষা রাখে, নয়তো Solar Flare সব ধংশ করে দিত।


২. মহাবিশ্ব সম্পর্কিতঃ-

মহাবিশ্ব বলতে আমাদের পৃথীবী নমাক গ্রহ সহ চন্দ্র, সূর্য্য ও সকল নক্ষত্রমন্ডলী এবং গ্যালাক্সি সম্বেলিত মহাকাশ এর ভেতরকার পুরো জগৎ কে বুঝায়। 

(৩৭ঃ১১) অবিশ্বাসীদেরকে জিজ্ঞাসা কর, 

ওদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, 

নাকি আমি অবশিষ্ট যা কিছু সৃষ্টি করেছি তা সৃষ্টি করা কঠিনতর?

(৭৯ঃ২৭) তোমাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আকাশ?

যা তিনি নির্মাণ করেছেন?

(৪০ঃ৫৭) মানব সৃষ্টি অপেক্ষা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি তো কঠিনতর, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।

(৫৫ঃ৩৩) হে জ্বিন ও মানুষ সম্প্রদায়!

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সীমা তোমরা যদি অতিক্রম করতে পার, তাহলে অতিক্রম কর।

(১৫ঃ১৪-১৫) আর যদি আমরা তাদের জন্য আকাশের দরজা খুলে দেই অতঃপর তারা তাতে আরোহন করতে থাকে,

তবুও তারা বলবে, আমাদের দৃষ্টি সম্মোহিত করা হয়েছে; না, বরং আমরা এক জাদুগ্রস্ত সম্প্রদায়।

(৬ঃ১২৫) আল্লাহ কাউকে বিপদ্গামী করতে চাইলে তিনি তার বক্ষ খুব সংকীর্ণ করে দেন;

মনে হয় সে কষ্ট করে আকাশে উঠেছে (অর্থাৎ উপরে আরোহনের সময় যেমন অক্সিজেনের সল্পতায় বুক সংকোচিত হয়ে আসে)।

(৪১ঃ১১) অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ।

অতঃপর তিনি ওকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস।’ওরা বলল, ‘আমরা তো অনুগত হয়ে আসলাম।’

(২১ঃ৩০) যারা কুফরী করে তারা কি দেখে না যে, 

আসমানসমূহ ও যমীন মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে,

তারপর আমরা উভয়কে পৃথক করে দিলাম (Big Bang Theory)

এবং প্রাণবান্ত সব কিছু সৃষ্টি করলাম পানি থেকে;

তবুও কি তারা ঈমান আনবে না?

(৫১ঃ৮) শপথ! বহু পথ বিশিষ্ট আকাশের।

(৫১ঃ৪৭) আমি আকাশ নির্মাণ করেছি আমার (নিজ) ক্ষমতাবলে

এবং আমি অবশ্যই মহা সম্প্রসারণকারী।

( Stives Hockings এর Brief History of Time - বই থেকে জানা যায়,

মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল, যা টেলিস্কোপ আবিষ্কার এর মাধ্যমে কর্নফাম হওয়া যায়)

 ক। চন্দ্রঃ- 

(৭১ঃ১৬)(২৫ঃ৬১) এবং সেখানে চন্দ্রকে স্থাপন করেছেন আলোরূপে ও সূর্যকে স্থাপন করেছেন প্রদীপরূপে।

(২১ঃ৩৩) আর আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং সূর্য ও চাঁদ;

প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।

(৬ঃ৯৬) তিনিই ঊষার উন্মেষ ঘটান, আর তিনিই বিশ্রামের জন্য রাত

এবং গণনার জন্য চন্দ্র ও সূর্যকে সৃষ্টি করেছেন,

এ সব পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ কর্তৃক সুবিন্যস্ত।

(১৩ঃ২)(৩১ঃ২৯)(৩৫ঃ১৩)(৩৯ঃ৫)(২১ঃ৩৩) সূর্য ও চাঁদকে নিয়মাধীন করেছেন,

প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলবে।

খ। সূর্য্যঃ-

সূর্য্য ৭.২০ লক্ষ কিমিঃ বেগে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সীর চতূর্দিকে ঘুরছে, অনেক গুলো গ্যালাক্সি নিয়ে যে ক্লাস্টার সেটাও ঘুরছে, আবার পৃথিবী নিজ কক্ষপথে ১৮ মাইল বেগে আবর্তন করে, যদি কক্ষপথ থেকে ২.৫ মিমি বাহিরে দিয়ে প্রদক্ষিণ করত তবে বরফ হয়ে যেতো ; 

আবার ৩.১ মিমি কম কক্ষপথ দিয়ে আবর্তন করতো তবে গরমে মারা যেতাম,

সুতরাং সূর্য্য থেকে পৃথিবীর কক্ষপথের দূরুত্ব একটি সুনিপুণ সত্তার পরিমাপ করা, যেটা আবার সূর্য্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহনের 'রিং এর বলয়ের' পরিমাপ দিয়ে বুঝা যায়।

(৭৮ঃ১৩) এবং সৃষ্টি করেছি একটি প্রদীপ্ত প্রদীপ (সূর্য)।

(৩৬ঃ৩৮) আর সূর্য ভ্রমণ করে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে।

(২৫ঃ৪৬)(৮১ঃ১) তারপর আমরা এটাকে (সূর্য্যকে) আমাদের দিকে ধীরে ধীরে গুটিয়ে আনি (বিজ্ঞানের ভাষায় যেটাকে কনস্টিলেশন অব হারকিউলিস বা আলফা লেয়ার বলে)।

সূর্য্যে ৭০% হাইড্রোজেন, ২৮% হিলিয়াম বাকি ২% অন্যান্য পরমাণু দিয়ে গঠিত। প্রতি সেকেন্ডে ৬০ কোটি টন হাইড্রোজেন ৫৯.৬ কোটি টন হিলিয়ামে পরিবর্তিত হয়, অবশিষ্ট ৪০ লক্ষ টন তাপ এবং আলো হিসেবে উদগরীত হয়।

প্রবিত্র কোরআন এ 'শামস' বা সূর্য্য নামে একটা সূরা আছে, আয়াত ১৫ টি, প্রতিটি আয়াতের শেষে 'হা' ও 'হি' বর্নে সমাপ্ত হয়েছে, যা 'হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম এর নির্দেশক। 

৯১ তম সূরা হাইড্রোজেন ছাড়া পিরিওডিক টেবিলে মৌলিক পদার্থের সংখ্যা ৯১ এবং এগুলো হাইড্রোজেন উপাদান দিয়ে গঠিত। মূল কথা সবচেয়ে হালকা থেকে ভারী উপাদানে সকল পরমাণু হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত। এজন্য সূর্যের হাইড্রোজেন পরমানু বিশ্বজগতের অবশিষ্ট ৯১ উপাদান গঠন করে।  

গ। নক্ষত্রঃ- 

ধারণা করা হয় মহাবিশ্বে প্রায় ২০০ বিলিয়ন গ্যালাক্সি রয়েছে, যার প্রতিটিতে ২০০ বিলিয়ন করে নক্ষত্র রয়েছে।

আবার সেগুলোর ও নিজস্ব গ্রহ ও উপগ্রহ রয়েছে।

(৫৩ঃ৪৯) আর এই যে, তিনি লুব্ধক (শি'য়রা) নক্ষত্রের প্রতিপালক।

(২৫ঃ৬১) কত বরকতময় তিনি, যিনি নভোমণ্ডলে সৃষ্টি করেছেন বিশাল তারকাপুঞ্জ।

(৮৫ঃ১) শপথ! বুরূজবিশিষ্ট (গ্যালাক্সি সম্বেলিত) আসমানের,

(১৫ঃ১৬) আর অবশ্যই আমরা আকাশের বুরুজসমূহ (গ্যালাক্সি) সৃষ্টি করেছি এবং

দর্শকদের জন্য সেগুলোকে সুশোভিত করেছি।

(৬ঃ৯৭) আর তিনিই তোমাদের জন্য তারকামন্ডল সৃষ্টি করেছেন যেন তা দ্বারা তোমারা স্থলের ও সাগরের অন্ধকারে পথ খুঁজে পাও।

(৩৬ঃ৪০) সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চাঁদের নাগাল পাওয়া এবং রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রমকারী হওয়া।

আর প্রত্যেকে (সকল গ্যালাক্সি সহ) নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটে।

ঘূর্নন গতিঃ

পৃথিবীর ঘুর্নায়মান গতি ১,০০০ মাইল/ঘন্টা,

সূর্য্য ৬৬,৬০০ মাইল/ঘন্টা,

গ্যালাক্সি ৫ লক্ষ মাইল/ ঘন্টা এবং 

২০০ মিলিয়ন নক্ষত্র সহ মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির গতি ১.১ মিলিয়ন মাইল/ ঘন্টা।      

ঘ। উল্কাঃ

(৩৭ঃ৬-১০)(৬৭ঃ৫) আমি তোমাদের নিকটবর্তী (১ম) আকাশকে নক্ষত্ররাজি দ্বারা সুশোভিত করেছি।

এবং একে প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান হতে রক্ষা করেছি।

ফলে, শয়তানরা ঊর্ধ্ব জগতের কিছু শ্রবণ করতে পারে না। ওদের ওপর সকল দিক হতে (উল্কা) নিক্ষিপ্ত হয়;

ওদেরকে বিতাড়নের জন্য। আর ওদের জন্য আছে অবিরাম শাস্তি।

তবে কেউ গোপনে হঠাৎ কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত ঊল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে।

ঙ। ডার্ক মেটারঃ

(৬৯ঃ৩৮-৩৯) আমি কসম করছি তার, যা তোমরা দেখতে পাও,

এবং যা তোমরা দেখতে পাওনা তারও;

(বর্তমান গবেষণায় আবিষ্কৃত মহাকাশের Dark energy 70%, Dark mater 25%, visible objects only 5%.)  

চ। Black Hole:

নক্ষত্রের জ্বালানি শেষ হয়ে ধ্বংস হবার আগে স্ফীত হয়, যা ১৫-১০০ মিলিয়ন ডিগ্রি উত্তাপ হয়, এবং লাল জায়েন্ট এ রুপ নেয়। একটি সুপার জায়েন্ট আকারে ৬ কোটি সূর্য্য রাখা যাবে। কোন সুপারনোভা সংকোচিত হয়ে Black Hole এ রুপ নেয়, যার ঘনত্ব ১ চামচ = ১ বিলিয়ন টনের ওজনের সমান। অর্থাৎ তা অসীম ঘনত্ব ও শুন্য আয়তন বিশিষ্ট খুবই শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রে রূপ নেয়। যা সহজেই বিশাল বিশাল গ্রহকে নিমিষেই টেনে ধ্বংস করে দিতে পারে।           

(৫৬ঃ৭৫-৭৬) আমি শপথ করছি নক্ষত্র রাজির অস্তাচলের।

অবশ্যই এটা এক বড় শপথ, যদি তোমরা জানতে।

(৮১ঃ১৫-১৬) আমি প্রত্যাবর্তনকারী তারকাপুঞ্জের শপথ করছি;

যা চলমান হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়।

আরো দেখুনঃ (৫৩ঃ১)(৭৭ঃ৮)

৩. মহাকাশ সম্পর্কিতঃ-  

মহাকাশ হচ্ছে, আমাদের দৃষ্টি সীমানার বাহিরে অবস্থিত কঠিন বা অভেদ্য কোন বস্তু, যার প্রবেশের জন্য দরজা আছে এবং অনুমতির প্র‍য়োজন, যা বর্তমান বিজ্ঞান এখনো পৌঁছাতে পারে নাই। মহাকাশের সংখ্যা ৭ টি। 

(২৩ঃ১৭)(৭৮ঃ১২)(২ঃ২৯)(২৩ঃ৮৬) আর অবশ্যই আমি তোমাদের ঊর্ধ্বে সৃষ্টি করেছি সাতটি আসমান এবং

আমি সৃষ্টি বিষয়ে মোটেই উদাসীন নই।

(৫০ঃ৬) তারা কি তাদের উপরে অবস্থিত আসমানের দিকে তাকিয়ে দেখে না?

আমরা কিভাবে তা নির্মাণ করেছি ও তাকে সুশোভিত করেছি এবং তাতে কোন ফাটলও নেই?

(৬৭ঃ৩-৫) যিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সাত আসমান। 

রহমানের সৃষ্টিতে আপনি কোন খুঁত দেখতে পাবেন না;  

আপনি আবার তাকিয়ে দেখুন, কোন ত্রুটি দেখতে পান কি?

তারপর আপনি দ্বিতীয়বার দৃষ্টি ফেরান,

সে দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে আপনার দিকে ফিরে আসবে।

(৬৫ঃ১২) আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আকাশ এবং পৃথিবীও অনুরূপ,

ওগুলোর মধ্যে নেমে আসে তাঁর নির্দেশ,

যাতে তোমরা বুঝতে পার যে, অবশ্যই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান 

এবং জ্ঞানে আল্লাহ সবকিছুকে পরিবেষ্টন করে রয়েছেন।

(৪২ঃ২৯) আর তাঁর অন্যতম নিদর্শন হচ্ছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি 

এবং এ দুয়ের মধ্যে তিনি যে সকল জীব-জন্তু (এলিয়েন) ছড়িয়ে দিয়েছেন সেগুলো; 

আর তিনি যখন ইচ্ছে তখনই তাদেরকে সমবেত করতে সক্ষম।

আপনি কি জানেন, একটি পরমাণুর সাথে মহাবিশ্বের গ্যালাক্সির ডিজাইনের অদ্ভুত মিল আছে, উভয়টি ঘড়ির কাটার বিপরীতে (বাম থেকে ডানে) ঘুরছে। আমরা জানি, পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াস কে ঘিরে ইলেকট্রন সমূহ অবিরত আবর্তন করে, যেটা গ্যালাক্সিতে  নক্ষত্র সমূহও আবর্তিত হচ্ছে।

সুতরাং আমাদের স্বীকার করতেই হচ্ছে,

(৬৪ঃ১) আসমানসমূহে যা কিছু আছে এবং যমীনে যা কিছু আছে

সবই আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে, 

আধিপত্য তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই; 

আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।

Post a Comment

Previous Post Next Post